AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kolkata Derby: ডার্বি ফিরল বাংলায়, মোহনবাগানের টানা ৬ জয়, ইস্টবেঙ্গল সেই অন্ধকারে

আড়াই বছর পর বাংলায় ফিরল আবেগের ডার্বি। আর সেই চিরকালীন লড়াইয়ে ১-০ জিতল মোহনবাগান।

Kolkata Derby: ডার্বি ফিরল বাংলায়, মোহনবাগানের টানা ৬ জয়, ইস্টবেঙ্গল সেই অন্ধকারে
মরসুমের প্রথম ডার্বিতে জয়ী মোহনবাগান
| Edited By: | Updated on: Aug 28, 2022 | 7:57 PM
Share

দীপঙ্কর ঘোষাল

অক্সিজেন…। কলকাতার মাঠে দীর্ঘ আড়াই বছর পর ডার্বি (Kolkata Derby)। বাংলার ফুটবল সমর্থকদের কাছে অক্সিজেন। সেই চেনা ছবি। কাদাপাড়া, বেলেঘাটা বিল্ডিং মোড় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের এন্ট্রি পয়েন্ট। দল ছুট হলেই প্রতিপক্ষ সমর্থকের টিটকিরি উড়ে আসছে। বাইকে প্রিয় দলের পতাকা লাগিয়ে ছোটা। ছোটা হাতিতে ঠাসাঠাসি করে নানা স্লোগান দিতে দিতে মাঠে আসা। কেউ বা জার্সির উপর শার্ট চাপিয়ে এসেছেন। মাঠে এসে শার্ট খুলে প্রিয় দলের জার্সিতে। ফুটবল উৎসবের মেজাজ। টিকিট যা ছাড়া হয়েছিল, গ্য়ালারি ভরল। মন ভরল না। দলের জন্য দিনের শেষে তিন পয়েন্ট গুরুত্বপূর্ণ। ইমামি ইস্টবেঙ্গলের (Emmami East Bengal) বিরুদ্ধে এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) মূল্যবাণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারল। এটাই তাদের কাছে প্রাপ্তি। সমর্থকদের প্রাপ্তির ভাড়ারে কিছু জুটল কি?

এটিকে মোহনবাগান-১ : ইমামি ইস্টবেঙ্গল-০

(সুমিত পাসি-আত্মঘাতী)

প্রস্তুতির দিক থেকে দু’দলের উলাটপূরাণ। প্রথম ম্যাচে হার কিংবা দ্বিতীয় ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসির সঙ্গে ড্র। ফল যাই হোক, মোহনবাগান দল গুছিয়ে নিতে পেরেছে। বড় ম্যাচে সে দিক কিছুটা হলেও এগিয়ে ছিল এটিকে মোহনবাগান। অন্যদিকে, সবার শেষে দল গঠন করেছে ইস্টবেঙ্গল। বিদেশিদের আসতে সময় লেগেছে। সকলকে নিয়ে দীর্ঘসময় প্রস্তুতির সুযোগ হয়নি। ফুটবলারদের মধ্যে বোঝাপড়া একেবারেই তৈরি হয়নি। ইস্টবেঙ্গল কোচ বারবার সে কথা স্বীকার করেছেন। ম্যাচেও একই অজুহাত দেওয়ার সুযোগ নেই। সবুজমেরুনকে তিন পয়েন্ট নেওয়ার সুযোগ তারাই করে দিয়েছেন।

ম্যাচের শুরুতে প্রতিপক্ষকে বুঝে নিতে কিছুটা সময় নিলেন সবুজ মেরুন ফুটবলাররা। সময় বেশি লাগল না। বাঁ দিক থেকে আশিক কুরুনিয়ান এবং ডানদিক থেকে আশিস রাই আক্রমণের পরিস্থিতি তৈরি করে দিয়েছেন। গোল কিছুতেই হচ্ছিল না। অবশেষে এটিকে মোহনবাগান এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের ভুলেই। লিস্টন কোলাসোর নীচু কর্নার, ক্লিয়ার করার জায়গায় নিজেদের গোলেই ঢুকিয়ে দেন সুমিত পাসি। দ্বিতীয়ার্ধে দলে একঝাঁক পরিবর্তন করেও লাভ হয়নি ইমামি ইস্টবেঙ্গলের। বরং গোলে কমলজিৎ সিং না থাকলে আরও গোল খেত ইস্টবেঙ্গল। কিরিয়াকুও একটি গোল লাইন সেভ করেন। টানা আধডজন ডার্বিতে হার ইস্টবেঙ্গলের। এটিকে মোহনবাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইথকে কার্যত বলই ধরতে হয়নি। সমুদ্রের ঢেউ যেমন একটা সীমানা অবধি গিয়ে ভেঙে যায়। ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণের চেষ্টাও তাই।