SAFF U19 Women’s Championship: তীব্র বিতর্ক, মহানাটকের শেষে SAFF-এ যুগ্ম জয়ী ভারত ও বাংলাদেশ
ফুটবল ইতিহাসে এমন ভাবে কোনও ম্যাচের মীমাংসা হয়নি। এই প্রথম বার এমন একটা চূড়ান্ত নাটকীয় ও বিতর্কিত ফাইনাল দেখা গেল। যা নিয়ে দীর্ঘদিন চর্চা চলবে। আর সব চর্চার শেষে থাকবে যে এ বারের সাফ অনূর্ধ্ব ১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে (SAFF U19 Women's Championship) যুগ্ম জয়ী হয়েছে ভারত (India) ও বাংলাদেশ (Bangladesh)।
কলকাতা: নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের স্কোরলাইন একই থাকলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। এমনটা সকল ফুটবল প্রেমী দেখেছেন। টাইব্রেকারে ৫ শটে ম্যাচের নিষ্পত্তি না হলে খেলা চলে যতক্ষণ না ফলাফল মেলে ঠিক ততক্ষণ। কিন্তু অনূর্ধ্ব ১৯ মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে যা ঘটল, তা আগে কখনও হয়নি। ফুটবল ইতিহাসে এমন ভাবে কোনও ম্যাচের মীমাংসা হয়নি। এই প্রথম বার এমন একটা চূড়ান্ত নাটকীয় ও বিতর্কিত ফাইনাল দেখা গেল। যা নিয়ে দীর্ঘদিন চর্চা চলবে। আর সব চর্চার শেষে থাকবে যে এ বারের সাফ অনূর্ধ্ব ১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে (SAFF U19 Women’s Championship) যুগ্ম জয়ী হয়েছে ভারত (India) ও বাংলাদেশ (Bangladesh)।
চরম নাটক ও তীব্র বিতর্কের ঝুলি খোলার আগে জানানো যাক ম্যাচের ব্যাপারে… কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সাফ অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলাদের চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও বাংলাদেশ। মাত্র ৮ মিনিটে শিবানী দেবীর গোলে ভারত এগিয়ে যায়। এরপর নির্ধারিত সময়ে আর দুই দলের কোনও ফুটবলার গোল করতে পারেননি। ইনজুরি টাইমে গিয়ে বাংলাদেশের হয়ে সমতা ফেরান সাগরিকা। যে কারণে নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ শেষ হয় ১-১ ড্রতে। এরপর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। এই অবধি সব ঠিকই ছিল। টাইব্রেকারে যে দল জিতত ট্রফি যেত সেই শিবিরে। কিন্তু এর সবই যেন হল ঘেঁটে ঘ।
টাইব্রেকারে যে এমন কিছু ঘটতে চলেছে তা কল্পনা করেননি দুই দলের ফুটবলাররা। দুই দলই তাদের নিজেদের প্রথম ১১ শট গোল করেছিল। এতে খুব অবাক হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু এরপর যা হল তা সত্যিই অবাক করার মতো। শ্রীলঙ্কার ম্যাচ কমিশনার ডি সিলভা জয়সুরিয়া টাইব্রেকার বন্ধ করে ম্যাচ রেফারিকে ডেকে দুই দলের অধিনায়ককে টস করতে বলেন। টস জেতেন ভারতের অধিনায়ক। স্বাভাবিকভাবেই এরপর উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন ভারতীয় ফুটবলাররা।
ঠিক এরপরই বাংলাদেশের ফুটবলাররা এই টসের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। ম্যাচ কমিশনারের কাছে অভিযোগও জানায় বাংলাদেশ শিবির। এরপর ম্যাচ কমিশনার টসের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেন। বলা হয় আবার সাডেন ডেথ হবে। পুরো পরিস্থিতি দেখে রীতিমতো বিরক্ত হয়ে মাঠ ছাড়েন ভারতীয় ফুটবলাররা। এরপর ঘোষণা করা হয় যদি ভারতীয় ফুটবলাররা মাঠে না ফেরেন বাংলাদেশকে জয়ী ঘোষণা করা হবে। এই সমস্ত নাটক চলতে চলতে দীর্ঘ সময় ব্যয় হয়।
প্রায় ৫ ঘণ্টার নাটক শেষে বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান, সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হকের উপস্থিতিতে ভারত এবং বাংলাদেশকে যুগ্মভাবে এই টুর্নামেন্টের জয়ী ঘোষণা করা হয়। ভারতের অধিনায়ক এবং সহ অধিনায়ক ছাড়া আর কেউ পুরস্কার গ্রহণ করতে আসেননি।