Indian Football: সুনীল-সন্দেশদের সঙ্গে এক টেবিলে মধ্যাহ্নভোজন লজেন্স মাসির

Sunil Chhetri: কলকাতায় মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, ইউনাইটেড স্পোর্টসে খেলার সুবাদে লজেন্স মাসিকে খুব ভালো মতোই চেনেন সুনীল ছেত্রী। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মাঠে নামার আগে সেই যমুনা দাসকেই বেঙ্গালুরু এফসির টিম হোটেলে ডেকে নেন ভারতীয় ফুটবলের আইকন।

Indian Football: সুনীল-সন্দেশদের সঙ্গে এক টেবিলে মধ্যাহ্নভোজন লজেন্স মাসির
Image Credit source: TWITTER
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 18, 2022 | 3:06 PM

কলকাতা: যমুনা দাস। কলকাতা ময়দানে অবশ্য তিনি ‘লজেন্স মাসি'(Lozenge Mashi) নামেই পরিচিত। কারও কাছে আবার তিনি ‘লজেন্স দিদি’। ইস্টবেঙ্গল মাঠ থেকে কিশোরভারতী ক্রীড়াঙ্গন, কখনও বা যুবভারতী, খেলা থাকলেই লজেন্স হাতে গ্যালারিতে দেখা যায় যমুনা দাসকে। রাজ্যের বাইরেও কখনও কখনও ফুটবলের গ্যালারিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। প্রায় ৩০ বছর ধরে তিনি ময়দানে লজেন্স বিক্রি করছেন। কোভিডের আগে তাঁর স্বামী মারা যান। কোভিডকালে ২ বছর খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন লজেন্স মাসি। তাঁকে সাহায্য করতে কখনও এগিয়ে এসেছেন কোনও ফুটবলার, কিংবা কোনও ফ্যান ফোরাম। আবার অনেক সমর্থকও সাহায্য করেছেন তাঁকে। কলকাতা ময়দানে এই লজেন্স মাসি সবার কাছেই অত্যন্ত প্রিয় এবং কাছের। ক্লাব কর্তারাও সময় অসময় তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। সেই লজেন্স মাসিকেই এ বার টিম হোটেলে ডেকে নিলেন সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)।

কলকাতায় মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, ইউনাইটেড স্পোর্টসে খেলার সুবাদে লজেন্স মাসিকে খুব ভালো মতোই চেনেন সুনীল ছেত্রী। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মাঠে নামার আগে সেই যমুনা দাসকেই বেঙ্গালুরু এফসির টিম হোটেলে ডেকে নেন ভারতীয় ফুটবলের আইকন। সবার সঙ্গে লজেন্স মাসিকে পরিচয় করিয়ে দেন সুনীল ছেত্রী। সন্দেশ ঝিঙ্গান, গুরপ্রীত সিং, প্রবীর দাস, হীরা মণ্ডলরা অবশ্য তাঁকে আগে থেকেই চেনেন।

বেঙ্গালুরু এফসি সেই মুহূর্ত তুলে ধরে নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায়। অসাধারণ সেই ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় নেটদুনিয়ায়। দুই দশক ধরে লজেন্স মাসিকে চেনেন সুনীল ছেত্রী। তাঁকে দলের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজনে আমন্ত্রণ করেন ভারতীয় ফুটবল দলের আইকন। এক টেবিলে বসে সুনীল ছেত্রী, গুরপ্রীত সিং, সন্দেশ ঝিঙ্গানদের সঙ্গে খাবার খান লজেন্স মাসি। শেষে তাঁর হাতে বেঙ্গালুরু এফসির জার্সি তুলে দেন সুনীল। এই সুন্দর মুহূর্ত ফুটবলপ্রেমীদের কাছে আজীবন ফ্রেমবন্দি হয়ে থাকবে।