AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Qatar World Cup: বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য কাতার কত টাকা খরচ করছে, জানলে তাজ্জব হয়ে যাবেন!

বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই আলোচনায় কাতার। এই প্রথম প্রথা ভেঙে শীতকালীন বিশ্বকাপ হবে। আর সেই বিশ্বকাপ আয়োজন করতে গিয়ে কিনা রেকর্ড অর্থ ব্যয় করতে চলেছে কাতার।

Qatar World Cup: বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য কাতার কত টাকা খরচ করছে, জানলে তাজ্জব হয়ে যাবেন!
Image Credit: Twitter
| Edited By: | Updated on: Sep 28, 2022 | 10:00 AM
Share

কাতার: এতদিন রেকর্ড ছিল ব্রাজিলের। সে সব ভেঙে চুরমার! বাড়তে বাড়তে বাজেট যে এমন আকাশ ছুঁয়ে ফেলতে পারে, কেউ ভেবেছিল? অন্তত ফুটবল বিশ্ব ভাবেনি। ভাবেনি বলেই তো চোখ কপালে উঠে যাচ্ছে ফুটবল ভক্তদের। ধনী দেশ খরচপাতি নিয়ে ভাববে না স্বাভাবিক। তাই বলে এমন জলের মতো অর্থ ব্যয় হবে? এই কারণেই বোধহয় বিশ্বকাপ (FIFA World Cup 2022) আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই আলোচনায় কাতার। এই প্রথম প্রথা ভেঙে শীতকালীন বিশ্বকাপ হবে। আর সেই বিশ্বকাপ আয়োজন করতে গিয়ে কিনা রেকর্ড অর্থ ব্যয় করতে চলেছে কাতার (Qatar 2022)। ঠিক কত অর্থ ব্যয় করতে চলেছে কাতার? তার হিসেব সামনে আসতেই চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে।

রাখঢাক করার দরকার নেই। বিশ্বকাপ আয়োজন করার জন্য কাতার ২০০ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে চলেছে! টাকার অঙ্কে কত হতে পারে? প্রায় ১৬ লক্ষ ৩৩ হাজার কোটি টাকার মতো! যা শুনে তাজ্জব হয়ে গিয়েছে সবাই। হওয়ারই কথা। এই পরিমাণ অর্থ সারা বিশ্বে কোনও টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে গিয়ে কোনও দেশই খরচ করেনি! এমনকি, অলিম্পিকের মতো ইভেন্ট আয়োজন করতে গিয়ে কোনও দেশকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করতে দেখা যায়নি।

বিশ্বকাপ মেগা ইভেন্ট। যে দেশই আয়োজক হোক না কেন, সারা বিশ্ব এই ইভেন্টের সঙ্গে জুড়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এই বিশ্বকাপ আয়োজন করতে গিয়ে মিলিয়ন থেকে বিলিয়নে পা দেওয়ার প্রথম যাত্রা শুরু করেছিল আমেরিকা। ১৯৯৪ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য ০.৫ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছিল। পরের বিশ্বকাপ আয়োজন করার জন্য, অর্থাৎ ১৯৯৮ সালে ফ্রান্স খরচ করেছিল ২.৩ বিলিয়ন ডলার। ২০০২ সালের বিশ্বকাপ আয়োজন করার জন্য কোরিয়া ও জাপান যৌথ ভাবে খরচ করেছিল ৬.৫ বিলিয়ন ডলার। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের খরচ আবার খানিকটা কমে গিয়েছিল। জার্মানি সে বার খরচ করেছিল ৪.৩ বিলিয়ন ডলার। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের খরচ ছিল ৩.৩ বিলিয়ন ডলার। চার বছর পর কিন্তু ব্রাজিল বিশ্বকাপ আয়োজন করতে গিয়ে যাবতীয় রেকর্ড ভেঙেচুরে দিয়েছিল। সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপ জেতার মতোই ২০১৪ সালে সবচেয়ে বেশি অর্থও খরচ করেছিল তারা। ১৩.৮ বিলিয়ন ডলার রেকর্ড ছিল এতদিন। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপের সময়ও যা ছুঁতে পারেনি। বিশ্বকাপ আয়োজন করতে গিয়ে রাশিয়া করত চলেছিল ১০.৭ বিলিয়ন ডলার। কাতার আবার সে সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে হেলায়। রাশিয়ার থেকে প্রায় ১১ গুণ বেশি অর্থ খরচ করতে চলেছে তারা।

কেন এমন বিপুল অর্থ ব্যয় কাতারের? পরিকাঠামোর জন্য ব্যয় করা হয়েছে অনেকখানি অর্থ। স্টেডিয়াম, হোটেল, টিমগুলোর জন্য আধুনিক পরিকাঠামো, ফুটবল ভক্তদের থাকার আয়োজন, এ সব তৈরি করা হয়েছে। ছোট দেশ হওয়ার কারণে ফুটবল রেওয়াজ সে ভাবে কোনও দিনই ছিল না কাতারে। যে কারণে প্রায় সব স্টেডিয়ামই নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু পরিকাঠামো গত কারণে খরচ হয়েছে ৬.৫ বিলিয়ন ডলার। তা হলে ২০০ বিলিয়ন ডলার কেন ব্যয় করা হল?

বিশ্বকাপের কমিউনিকেশন্স এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফাতমা আল নুয়াইমির ব্যাখ্যা, ‘২০৩০ সালের দিকে তাকিয়ে কাতার পরিকাঠামো গত পরিবর্তন এনেছে। বিশ্বকাপ তারই একটা অংশ। শহরের উন্নয়নের, জাতীয় পরিকাঠামো, ব্যবসা বানিজ্যের প্রসার, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নয়নের দিকেও নজর রাখা হয়েছে। আসলে ২০০ বিলিয়ন ডলার কাতার ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের জন্যই খরচ হয়েছে।’ এত কিছুর জন্যই মেট্রো চালু হয়েছে, হামাদ বিমানবন্দর তৈরি হয়েছে।