Lionel Messi: ৯ বছর বয়সে শুরু প্রেম! আন্তনেলার সঙ্গে প্রথম দেখার দিনটা কেমন ছিল মেসির?
Leo Messi-Antonela Roccuzzo: খ্যাতি, ক্যামেরার থেকে অনেক দুরে শুধু কাজ আর বিশ্বাসকে পুঁজি করে ছেলেবেলাতেই নিজেদের ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছিলেন তাঁরা। অনেকেই তাঁদের প্রশংসা করেন, তাঁদের জীবন আলাদা দিকে নিয়ে গেলেও, তাঁরা একে অপরের সঙ্গে থেকে গিয়েছেন সারাজীবন।

কলকাতা: বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারদের একজন তিনি। কিন্তু যখন তিনি সফলতার শিখরে পৌঁছননি, বার্সেলোনায় পা রাখেননি, আর্জেন্টিনার রোজারিওয় সাফল্যের স্বপ্ন দেখতেন, তখন থেকেই পছন্দ করতেন এক কিশোরীকে। তিনি আর কেউ নয়, আন্তনেলা রোকুজ্জো। যিনি এখন তাঁর স্ত্রী। খ্যাতি, ক্যামেরার থেকে অনেক দুরে শুধু কাজ আর বিশ্বাসকে পুঁজি করে ছেলেবেলাতেই নিজেদের ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছিলেন তাঁরা। অনেকেই তাঁদের প্রশংসা করেন, তাঁদের জীবন আলাদা দিকে নিয়ে গেলেও, তাঁরা একে অপরের সঙ্গে থেকে গিয়েছেন সারাজীবন।
আন্তনেলার সঙ্গে মেসির প্রথম দেখা হয়েছিল মাত্র ৯ বছর বয়সে। তাঁর বন্ধু লুকাস স্কাগলিয়ার বাড়িতে ভিডিয়ো গেম খেলতে গিয়েছিলেন মেসি। লুকাস আন্তনেলার খুড়তুতো ভাই। হঠাৎ করে আন্তনেলা সেই ঘরে ঢুকে পড়েন। প্রথম দেখাতেই আন্তনেলাকে ভালো লেগে যায় লিওর। খুব লজ্জা পাওয়া সত্ত্বেও কিশোর মেসি মেয়েটির পরিচয় জানতে চেয়েছিলেন লুকাসের কাছে। সেই শুরু। তারপর থেকে আর আন্তনেলা মনে-মাথায় ঢুকে পড়েছিলেন মেসির। পরে লুকাসের বাড়িতে বারবার যাতায়াত শুরু করে মেসি। শুধু একে আন্তনেলার দেখা পাওয়ার জন্য। ২০০০ সালে মেসি ফুটবল খেলার জন্য স্পেনে চলে যান। তারপর থেকে দু’জন চিঠি লিখে নিজেদের মধ্য়ে যোগাযোগ রেখেছিলেন। মেসি লিখতেন, ভবিষ্যতে একসঙ্গে থাকার স্বপ্ন দেখেন তিনি। অন্য দেশে থাকা সত্ত্বেও তাঁদের ভালোবাসা কখনওই ম্লান হয়নি।
একটি দুর্ঘটনা তাঁদের আবার কাছাকাছি নিয়ে আসে। আন্তনেলার খুব কাছের এক বন্ধু গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যায়। ওই ঘটনার জেরে ভেঙে পড়েছিল আন্তনেলা। তাঁর পাশে থাকার জন্য় স্পেন থেকে ফিরে যান মেসি। এই মুহূর্তেই তাঁদের শুধু ছেলেবেলার বন্ধুর থেকে বেশি কিছু হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিয়েছিল। প্রথমে দু’জনেই বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন। পরে ২০০৭ সালে আন্তনেলা তাঁর বন্ধুদের মেসির সঙ্গে প্রেমের কথা জানান। আরও দু’বছর পরে মেসি বিষয়টিকে সামনে নিয়ে আসেন।
২০১২, ২০১৫ ও ২০১৮ সালে তাঁদের তিন সন্তান রদ্রিগেজ থিয়েগো, মাতেও ও সিরোর জন্ম হয়। মেসি তাঁর পায়ে সন্তানদের নামের ট্যাটুও বানান। এরপর ২০১৭ সালে রোজারিওতে মেসি ও আন্তনেলার বিয়ে হয়। সবচেয়ে বড় কথা, মেসি যেমনই খেলুক না কেন আন্তনেলাকে স্ট্য়ান্ড থেকে মেসিকে চিয়ার করতে দেখা যায়। বেশিরভাগ সময়ই সন্তানদেরকে সঙ্গে নিয়েই। ট্রফি জিতুন বা নাই জিতুন, চাপের পরিস্থিতি হোক, সব সময় আন্তনেলাকে পাশে পান মেসি। অনেক ক্ষেত্রেই মেসি বলেছেন যে আন্তনেলা কীভাবে পরিবারকে আগলে রাখেন। এটা মনে রাখা উচিত, যে জীবনের সমস্ত পরিস্থিতিতে সঙ্গে থাকেন তাঁরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
