Sarabjot Singh: হতে চেয়েছিলেন ফুটবলার, হলেন শুটার; সরবজোতের সোনার সফর…

Shooting World Cup: বাবা জিতেন্দর সিং পেশায় কৃষক। ছেলেকে বোঝান, এই খেলায় অনেক খরচ। কয়েক মাস ধরে ছেলের আবদার সামলে অবশেষে 'হ্য়াঁ' করতে বাধ্য় হন জিতেন্দর।

Sarabjot Singh: হতে চেয়েছিলেন ফুটবলার, হলেন শুটার; সরবজোতের সোনার সফর...
মধ্যমণি সোনজয়ী সরবজোৎ সিং।Image Credit source: OWN Photograph
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 22, 2023 | 7:38 PM

ভোপাল : হতে চেয়েছিলেন ফুটবলার। একটা দৃশ্য তাঁর ছোট্ট মনে পরিবর্তন আনে। আর ফুটবলার হওয়া হয়নি। পরিবর্তে বেছে নিয়েছিলেন শুটিং। সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক ছিল, এখন উপলব্ধি পারছেন। তাঁর সঙ্গে পুরো দেশও হয়তো একই উপলব্ধি করছে। ভারতের মাটিতে হচ্ছে শুটিং বিশ্বকাপ। এই প্রথম দিল্লির বাইরে কোনও শহরে বিশ্বকাপ। ভোপালে শুটিং বিশ্বকাপে সোনা জিতে নজর কাড়লেন তরুণ শুটার সরবজোৎ সিং। কেরিয়ারে প্রথম বিশ্বকাপ সোনা জিতে প্য়ারিস অলিম্পিকের জন্য়ও এক পা বাড়িয়ে রাখলেন এই তরুণ শুটার। এর আগে কাইরো বিশ্বকাপে পদক জয়ের সুযোগ এসেছিল। ফাইনালেও উঠেছিলেন সরবজ্যোৎ। স্নায়ুর চাপ সামলে রাখতে পারেননি ঠান্ডা মাথার এই শুটারও। চতুর্থ স্থানে শেষ করেছিলেন। এ বার দেশের মাটিতে বিশ্বকাপে সোনার নিশানা। ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন বাতিল করে শুটার। সফরটা নিজেই বর্ণনা করলেন সরবজোৎ। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।

সালটা ২০১৪। অম্বালার ভগীরথ পাবলিক স্কুলের ছাত্র সরবজোৎ দেখেন, তাঁরই বয়সি কয়েকজন শুটিং প্র্যাক্টিস করছেন। তার আগে অবধি ইচ্ছে ছিল ফুটবলার হবেন। কিন্তু এই দৃশ্য় দেখে মত বদল। বাড়ি ফিরেই বাবার কাছে আবদার, শুটিং শিখতে চান। বাবা জিতেন্দর সিং পেশায় কৃষক। ছেলেকে বোঝান, এই খেলায় অনেক খরচ। কয়েক মাস ধরে ছেলের আবদার সামলে অবশেষে ‘হ্য়াঁ’ করতে বাধ্য় হন জিতেন্দর। আইএসএসএফ শুটিং বিশ্বকাপে প্রথম সোনা জয়ের পর সরবজোতকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত হতেই পারে পরিবার। সরবজোৎ বলছেন, ‘কাইরোতে প্রথম সিনিয়র বিশ্বকাপ খেলি। ফাইনালেও উঠেছিলাম। তবে চতুর্থ স্থানে শেষ করি। এই ব্য়র্থতাই যেন তাগিদ বাড়ায়। দুই বিশ্বকাপের মাঝে সময় খুব কম থাকলেও ভালো প্রস্তুতি নিতে পেরেছিলাম।’

ভোপাল বিশ্বকাপে কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে ৫৮৫ স্কোরে ফাইনালে ওঠেন সরবজোৎ। ফাইনালে আজারবাইজানের রুসলান লুনেভকে ১৬-০ ব্য়বধানে হারিয়ে সোনা জয়। একই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ ভারতীয় শুটার বরুণ তোমরের। সোনাজয়ী সরবজোৎ আরও বলছেন, ‘সিনিয়র স্তরে এটাই আমার প্রথম পদক। সারাক্ষণ মাথায় একটা জিনিসই ঘুরতো, দেশের হয়ে কিছু করব। কাইরো বিশ্বকাপের সময় শারীরিক, মানসিক কোনও প্রস্তুতিই ভালো ছিল না। মাঝে মনোবিদের পরাপর্শ নিই, ফিটনেসেও বাড়তি জোর দিয়েছিলাম।’