Asian Games 2023 Team India Medals Tally: স্টেথো ছেড়ে হাতে রইল রাইফেল! সোনার মেয়ের এই কাহিনি জানেন?
Asian Games 2023 Medals Table 27 September in Bengali: মেডিক্যালে সুযোগ পেলে কেউ ছেড়ে দেওয়া সহজ নয়। অন্তত মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্যও তো একেবারেই নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, অভিভাবকরা চান তাঁর সন্তান পড়াশোনার ক্ষেত্রেই বেশি মনযোগী হোক। কিন্তু তাঁর ক্ষেত্রে যেন বিষয়টা উল্টো। এমবিবিএস ছাড়া প্রসঙ্গে সিফট বলেন, 'আমিও জানি না। পরিবারের সিদ্ধান্তেই ছেড়েছিলাম। এটা আমার হাতে নেই। আমি পরিবারের পরামর্শ ছাড়া কিছু করি না। হতেই পারে কোনও দিন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দিলাম!'
কলকাতা: এশিয়াডে ভারতের পদক সংখ্যা বাড়ছে। প্রত্যাশা তেমনই ছিল। এখনও অবধি আজকের দিনটাই এ বারের গেমসে ভারতের জন্য সেরা। তথ্য তাই বলছে। বুধবার সব মিলিয়ে আটটি পদক জিতেছে ভারত। এর মধ্যে স্মরণীয় ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা। ৫০ মিটার রাইফেল 3 পজিশনে রেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছেন সিফট কৌর সাম্রা। এ ছাড়াও শুটিংয়ে টিম ইভেন্টে সোনা মানু ভাকেরদের। সব মিলিয়ে এ দিন দুটি সোনা, তিনটে করে রুপো ও ব্রোঞ্জ ভারতের ঝুলিতে। এর মধ্যে আলাদা করে বলতে হয় সিফট কৌর সাম্রার কথা। বিশ্ব রেকর্ড গড়ে সোনা জয়ের সফরটা কেমন তাঁর? বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
স্টেথোস্কোপ নাকি রাইফেল! দুটোর মধ্যে একটা বেছে নিতে হত। পরিবারের পরামর্শে দ্বিতীয়টিই বেছে নেন। গত মার্চেই এই সিদ্ধান্ত। যা একে বারেই সহজ ছিল না মেডিক্যালের ছাত্রী সিফট কৌর সাম্রার কাছে। ২৩ বছরের সিফট MBBS ছেড়ে পুরোপুরি শুটিংয়েই মন দেন। আর বুধবার সোনার পদকে বুলস আই সিফটের। ফরিদকোটের GGS কলেজের মেডিক্যালের প্রাক্তন ছাত্রী বলেন, ‘মার্চ মাসে এমবিবিএস ছেড়ে দিয়েছি। আপাতত অমৃতসরের কলেজে ফিজিক্যাল এডুকেশন এবং স্পোর্টসে ব্যাচেলর ডিগ্রির পড়াশোনা করছি।’
মেডিক্যালে সুযোগ পেলে কেউ ছেড়ে দেওয়া সহজ নয়। অন্তত মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্যও তো একেবারেই নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, অভিভাবকরা চান তাঁর সন্তান পড়াশোনার ক্ষেত্রেই বেশি মনযোগী হোক। কিন্তু তাঁর ক্ষেত্রে যেন বিষয়টা উল্টো। এমবিবিএস ছাড়া প্রসঙ্গে সিফট বলেন, ‘আমিও জানি না। পরিবারের সিদ্ধান্তেই ছেড়েছিলাম। এটা আমার হাতে নেই। আমি পরিবারের পরামর্শ ছাড়া কিছু করি না। হতেই পারে কোনও দিন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দিলাম!’
শুটিংয়ের ক্ষেত্রেও পরিকল্পনা ছিল না। সবটাই হঠাৎ হয়ে যাওয়া, এমনটাই বলছেন। সিফটের কথায়, ‘আমার এক কাজিনের সৌজন্যে শুটিংয়ের সঙ্গে পরিচয়। এক বার রাজ্যস্তরে নামার সুযোগ পাই। আমার পরিবারের মনে হয়, এতে আমি ভালো ফল করব। সৌভাগ্যবশত সাফল্য পেয়েছি। এখন আমি একজন শুটার।’