ইউএস ওপেন জেতানো কোচ রিচার্ডসনকে ছাঁটলেন রাডুকানু

রিচার্ডসনের আগে রাডুকানুর কোচ ছিলেন নিগল সিয়ার্স। যিনি আবার অ্যান্ডি মারের শ্বশুর। তাঁর কোচিংয়ে তেমন সাফল্য আসেনি। উইম্বলডনের রাউন্ড-সিক্সটিন থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল রাডুকানুকে। তারপর তাঁর কোচ হিসেবে এসেছিলেন রিচার্ডসন। তাঁকেও ছেঁটে ফেললেন তিনি।

ইউএস ওপেন জেতানো কোচ রিচার্ডসনকে ছাঁটলেন রাডুকানু
ইউএস ওপেন জেতানো কোচ রিচার্ডসনকে ছাঁটলেন রাডুকানু (ছবি-ইউএস ওপেন ওয়েবসাইট)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 26, 2021 | 8:52 AM

লন্ডন: যে কোচকে সঙ্গে নিয়ে ইউএস ওপেন জিতেছিলেন এমা রাডুকানু (Emma Raducanu), সেই অ্যান্ড্রু রিচার্ডসনকে (Andrew Richardson) সরিয়ে দিলেন। ডব্লিউটিএ ট্যুরে যাতে সেরা জায়গাটা ধরে রাখতে পারেন, যাতে আরও উত্থান হয় তাঁর, তার জন্য এক অভিজ্ঞ কোচের সন্ধানে আছেন তিনি। সেরেনা উইলিয়ামসের প্রাক্তন কোচ প্যাট্রিক মোরাটোগলুর মতো কাউকে চাইছেন তিনি।

রিচার্ডসন দীর্ঘদিন উঠতি ব্রিটিশ প্লেয়ারদের সঙ্গে কাজ করছেন। কেন্টের ব্রমলে টেনিস সেন্টারে কয়েক মাস কোচিং করিয়েছেন রাডুকানুকে। তারপর ১৮ বছরের মেয়েকে নিয়ে নিউ ইয়র্ক গিয়েছিলেন ফ্লাশিং মিডোতে। সেখানে নেমেই চমকে দিয়েছেন রাডুকানু। ব্রিটিশ তারকার উত্থান চমকে দিয়েছে টেনিস দুনিয়াকে। অনেক দিন পর যেন মেয়েদের টেনিসে নতুন তারকার খোঁজ মিলল।

রিচার্ডসনের আগে রাডুকানুর কোচ ছিলেন নিগল সিয়ার্স। যিনি আবার অ্যান্ডি মারের শ্বশুর। তাঁর কোচিংয়ে তেমন সাফল্য আসেনি। উইম্বলডনের রাউন্ড-সিক্সটিন থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল রাডুকানুকে। তারপর তাঁর কোচ হিসেবে এসেছিলেন রিচার্ডসন। তাঁকেও ছেঁটে ফেললেন তিনি।

রাডুকানু বলেছেন, ‘উইম্বলডনের পর আমার বিশ্ব ব়্যাঙ্কিং ছিল ২০০-র কাছাকাছি। ওই সময় আমার মনে হয়েছিল রিচার্ডসন সেরা কোচ, যিনি আমার উন্নতিতে সাহায্য করতে পারেন। ওঁকে নিয়েই আমি ইউএস ওপেন খেলতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কখনওই ভাবিনি যে, ফ্লাশিং মিডোয় চ্যাম্পিয়ন হতে পারি।’

সাফল্য আসা সত্ত্বেও কেন রিচার্ডসনকে সরাচ্ছেন, তাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন। রাডুকানুর কথায়, ‘এই মুহূর্তে আমি কেরিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আছি। বিশ্বের সেরা প্লেয়ারদের সঙ্গে খেলছি। এই পরিস্থিতিতে আমি এমন একজনকে চাইছি, যিনি বিশ্বের সেরা প্লেয়ারদের সঙ্গে খেলার জন্য আমাকে তৈরি করে দেবেন। এই দুনিয়ায় আমি নতুন। তাই অভিজ্ঞ কাউকে ভীষণ ভাবে দরকার। যাতে নিজেকে আরও মেলে ধরতে পারি।’

রিচার্ডসনকে সরানো যে কঠিন ছিল, তা মেনে নিচ্ছেন রাডুকানু। ‘রিচার্ডসনকে সরানো আমার পক্ষে সহজ ছিল না। বিশেষ করে ও আমার জন্য অনেক করেছে। কিন্তু কেরিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অনেক সময় কঠিন সিদ্ধান্তগুলো নিতে হয়। নিজের কথা ভেবেই আমি এটা করেছি।’