AVANI EXCLUSIVE : ”শেষ শটের পর স্বপ্নের মত লাগছিল”
সোনা জয়ের আনন্দের ফাঁঁকে TV9 বাংলাকে ফোনে ধরা দিলেন ইতিহাস গড়ার অবনী লেখরা
রক্তিম ঘোষ
কলকাতাঃ নীরজের সোনা জয়ের ঘোরের মধ্যে প্যারালিম্পিকে আরও একটি সোনা। অবনী লেখারা। গোলাপি শহর জয়পুরের অবনী প্রথম অলিম্পিকেই সোনা জিতে নজর কাড়লেন। অলিম্পিক হোক বা প্যারালিম্পিক মহিলাশ্যুটার হিসেবে সোনা জয়ের কীর্তি গড়লেন অবনী লেখরা। সোনা জয়ের আনন্দের ফাঁঁকে TV9 বাংলাকে ফোনে ধরা দিলেন ইতিহাস গড়া অবনী লেখরা।
প্রশ্নঃ শুভেচ্ছা অবনী
উত্তরঃ ধন্যবাদ। অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রশ্নঃ প্রথম প্রতিক্রিয়া?
উত্তরঃ আমি খুশি। দারুণ খুশি। আমি কৃতজ্ঞ। সবকিছুর জন্য।
প্রশ্নঃ শেষ শটে যখন বুঝলেন সোনা জিতছেন, কেমন ছিল সেই মুহূর্তটা?
উত্তরঃ শেষ শটের পর কেমন যেন স্বপ্নের মত লাগছিল। অভিভূত লাগছিল সেই মুহূর্তটা। সবকিছু স্বপ্নের মত। মনে হচ্ছিল আমি বোধহয় পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ। টপ অফ দ্য ওয়ার্ল্ডে রয়েছি, মনে হচ্ছিল।
প্রশ্নঃ কবে থেকে শুরু হয়েছিল শ্যুটিংয়ের যাত্রা?
উত্তরঃ ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে আমার শ্যুটিং কেরিয়ার শুরু। তখনও অবশ্য ভাবিনি শ্যুটিংকে কেরিয়ার হিসেবে বেছে নেব। দ্বিতীয়বার জাতীয় গেমসে পদক জয়ের পর থেকে শ্যুটিং নিয়ে সিরিয়াস হই। আরও সময় দেওয়া শুরু করি অনুশীলনে।
প্রশ্নঃ প্যারালিম্পিয়ানদের তো শুধুমাত্র তাঁর ইভেন্টের প্রতিযোগিতায় লড়াইয়ে শেষ হয়না। জীবন যুদ্ধ চলে প্রতিনিয়ত। শারীরিক প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে নিত্য লড়াই। তার সঙ্গে শ্যুটিং। কেমন ছিল সেই লড়াইয়ের সফর?
উত্তরঃ কঠিন ছিল। অনেক কঠিন ছিল। অনেক প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে। তবে এই লড়াইয়ে পাশে পেয়েছি সরকারকে। আমার পরিবারকে, আমার কোচকে। আমার সতীর্থদের। জীবনে তো কম ওঠাপড়া দেখিনি মাত্র ১৯ বছর বয়সে। এঁরা না থাকলে সত্য়ি লড়াইটা কঠিন হয়ে উঠত।
প্রশ্নঃ কেমন ছিল আপনার সোনার জন্য লড়াইয়ের পথটা?
উত্তরঃ গত ১ বছর প্রস্তুতি চলেছে। কঠোর পরিশ্রম করেছি। ফোকাসড ছিলাম। রাইফেল কাঁধে নিয়ে বারবার ভেবেছি, নিজের ১০০ শতাংশ উজাড় করে দেব।