AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সাগর খুনের দিন চার গুণ্ডাকে ডেকে এনেছিলেন সুশীল

তদন্তে নেমে পুলিশ ভুপিন্দর, মোহিত, গুলাব ও মনজিত্‍ নামের চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। ঝামেলার দিন যাদেরকে ডেকেছিলেন সুশীল। আর এই চারজনই কুখ্যাত গুণ্ডা।

সাগর খুনের দিন চার গুণ্ডাকে ডেকে এনেছিলেন সুশীল
ফাইল চিত্র
| Updated on: May 27, 2021 | 7:22 PM
Share

নয়াদিল্লি: তাঁর আইনজীবী দাবি করছেন, ছত্রসাল স্টেডিয়ামে (Chhatrasal Stadium) ৫ মে-র ঘটনার পিছনে ‘হাত’ ছিল না সুশীল কুমারের (Sushil Kumar)। বরং তিনি ঝামেলা মেটানোর চেষ্টাই করেছিলেন। কিন্তু দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের তদন্ত কিন্তু অন্য তথ্য তুলে ধরছে। ছত্রসাল স্টেডিয়ামে সে দিনের ঝামেলার জন্য তৈরি ছিলেন দু’বারের অলিম্পিক পদকজয়ী কুস্তিগির। আর তাই চার কুখ্যাত গুণ্ডাকে ফোন করে ডেকেছিলেন। শুধু তাই নয়, তাদের মোবাইল লোকেশন যাতে পরে ট্র্যাক করতে না পারে পুলিশ, তার জন্য মোবাইল অফ করে আসার পরামর্শও দিয়েছিলেন সুশীল।

তদন্তে নেমে পুলিশ ভুপিন্দর, মোহিত, গুলাব ও মনজিত্‍ নামের চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। ঝামেলার দিন যাদেরকে ডেকেছিলেন সুশীল। আর এই চারজনই কুখ্যাত গুণ্ডা। খুন, তোলাবাজি, জমি দখলের মতো ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। রোহিনী জেলার ডিসিপি প্রণব তয়াল বলেছেন, ‘ওই চারজনকে জেরা করে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন দুপুর ১২টা নাগাদ দুটো গাড়ি করে ছত্রসাল স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছেছিল ওরা। ওই চারজনই নানা অপরাধমূলক ঘটনার সঙ্গে জড়িত। ওরা যে ওই ঘটনায় জড়িয়ে ছিল, সেটা স্বীকারও করে নিয়েছে। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে যাওয়ায় ওরা গাড়ি আর নিজেদের অস্ত্রশস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়।’

ঘটনা হল, ওই চার কুখ্যাত গুণ্ডাকে ডেকে এনেছিলেন সুশীলই। কালা জাঠেড়ির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি, নীরজ বাওয়ানা গ্যাংয়ের ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়া এই ঘটনার মূল কারণ বলে জানা যাচ্ছে। সুশীল এমনিতেই রগচটা। জাঠেড়ি গ্যাংকে শিক্ষা দেওয়ার সুযোগ খুঁজছিলেন। সেটাই পেয়ে গিয়েছিলেন সে দিন। তাই পরিকল্পনা মতো ডেকে এনেছিলেন ওই চার গুণ্ডাকেও।

এরই মধ্যে আবার সুশীলকে নিয়ে মিডিয়ায় খুল্লামখুল্লা লেখালিখি হওয়ায় অলিম্পিক কুস্তিগিরের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। সাগর ধনকড় খুন নিয়ে তদন্ত চলছে পুলিশের। সুশীল অভিযুক্ত ঠিকই, অপরাধী প্রমাণিত হননি। এই মর্মে আইনের এক ছাত্র দিল্লি হাইকোর্টের কাছে আবেদন করেছে। যার প্রেক্ষিতে কাল, শুক্রবার এই বিষয়টির উপর আলোকপাত চান চিফ জাস্টিস ডিএন প্যাটেল ও জাস্টিস জ্যোতি সিংয়ের বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: কেউই অপরাজিত নয়, বলছেন নাদাল