AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Google Search Tips: খবরদার গুগলে এই 6 বিষয় সার্চ করবেন না, আইনি জটিলতায় জড়াবেন, জেলেও যেতে হতে পারে…

Tips To Be Safe While Google Searching: এমন অনেক জরুরি এবং স্পর্শকাতর বিষয় থাকে, যেগুলি আপনি গুগল সার্চ করলে হাজতবাস পর্যন্ত করতে হতে পারে। কারণ, গুগলের নিজস্ব দল রয়েছে যারা কোথা থেকে কী সার্চ করা হচ্ছে, এই বিষয়গুলি মনিটর করেন।

Google Search Tips: খবরদার গুগলে এই 6 বিষয় সার্চ করবেন না, আইনি জটিলতায় জড়াবেন, জেলেও যেতে হতে পারে...
প্রতীকী ছবি।
| Edited By: | Updated on: Nov 02, 2022 | 3:15 PM
Share

Keywords To Not Search On Google: মানুষের জীবনের অন্যতম জরুরি অঙ্গ হয়ে উঠেছে গুগল। যে কোনও সমস্যা, যে কোনও পরিষেবা, যে কোনও সাহায্য- মানুষ প্রথম অনুসন্ধানটা চালা গুগলেই। এখন গুগলে আমরা অনেক কিছুই সার্চ করি। অনেক কিছু না জেনেই আবার গুগল সার্চ করে থাকি। আর তাই হল সবথেকে বড় সমস্যার। এমন অনেক জরুরি এবং স্পর্শকাতর বিষয় থাকে, যেগুলি আপনি গুগল সার্চ করলে হাজতবাস পর্যন্ত করতে হতে পারে। কারণ, গুগলের নিজস্ব দল রয়েছে যারা কোথা থেকে কী সার্চ করা হচ্ছে, এই বিষয়গুলি মনিটর করেন। মনে রাখবেন, আপনার গুগল সার্চ তথা সমস্ত অ্যাক্টিভিটির হিস্ট্রি ডিলিট করার আগের মুহূর্ত পর্যন্তও সেগুলি বহাল তবিয়তে হিস্ট্রিতে থেকে যায়। পাশাপাশি গুগল সার্চের অপব্যবহার আপনাকে মহা বিপদে ফেলতে পারে। তাই, গুগলে আমরা যাই করি না কেন, ভুলেও এই ছয়টি কিওয়ার্ডস কখনও সার্চ করা উচিত নয়।

1) বম্ব কীভাবে তৈরি করবেন

কীভাবে বম্ব তৈরি করে, খবরদার গুগল সার্চ করবেন না। বড় সমস্যায় পড়তে পারেন। কারণ, এই সার্চিং বিষয়গুলি বিভিন্ন সিকিওরিটি সংস্থাও ট্র্যাক করে। তাই বম্ব তৈরির পদ্ধতি কখনও গুগলে সার্চ করবেন না। এই বিষয়টা আপনি সার্চ করলে সরকারি সিকিওরিটি এজেন্সিগুলি সরকারের কাছে রিপোর্ট করতে পারে।

2) চাইল্ড পর্নোগ্রাফি

খুবই খতরনাক একটি সার্চ। আপনি যদি গুগলে এরকম কিছু অনুসন্ধান করেন তবে তা শিশু নির্যাতনের আওতায় পড়ে। এই অনুসন্ধান আপনাকে জেলে নিয়ে যেতে পারে। কারণ, চাইল্ড পর্নোগ্রাফি শিশুদের যৌন শোষণের আওতায় পড়ে। এটি POSCO-র অধীনে আপনাকে বিরাট অসুবিধার দিকে নিয়ে যেতে পারে। অনলাইনে চাইল্ড পর্নোগ্রাফির বিরুদ্ধে ভারতে কঠোর আইন রয়েছে। এই ধরনের ঘৃণ্য অনুসন্ধানকে অপরাধমূলক মানসিকতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

3) গর্ভপাত সংক্রান্ত তথ্য

আপনি যদি গর্ভপাতের তথ্যের জন্য গুগল করেন, তাহলে আইনি জটিলতায় জড়াতে পারেন। ভারতে গর্ভপাত আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। শুধুমাত্র একজন ডাক্তারের জন্যই এর অনুমতি মিলতে পারে। তাই এই ধরনের অনুসন্ধান করার আগে সাবধান হন।

4) কাস্টমার কেয়ার নম্বর

অনেক সময়, মানুষজন গুগলে ব্যাঙ্কের কাস্টমার কেয়ার নম্বর অনুসন্ধান করে কল করেন। কিন্তু গুগলের মাধ্যমে কোনও কাস্টমার কেয়ার নম্বর জোগাড়র করলে আপনার পিছু নিতে পারে কোনও হ্যাকার। কারণ, হ্যাকাররা গুগল সার্চে ভুল নম্বরগুলিকে উপরের দিকে রাখে। ব্যবহারকারীরা সেই নম্বরে কল করলেই আর্থিকভাবে প্রতারিত হন। সেই কারণেই বিশেষ করে যদি ব্যাঙ্কের কাস্টমার কেয়ার নম্বরের প্রয়োজন হয়, তাহলে তা সংগ্রহ করুন সেই ব্যাঙ্কের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেই।

5) চিকিৎসা ও ঔষধ

আর যাই হোক, গুগলে কখনও ডাক্তারের সন্ধান করবেন না। কখনও ওষুধেরও খোঁজ করবেন না। জেনে রাখবেন, ওষুধ নির্ধারণের পিছনে চিকিৎসকদের অধ্যয়ন এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই একটা গুগল সার্চ করলেই যে আপনার অসুস্থতার সঠিক ওষুধ পেয়ে যাবেন, এমনটা নয়। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যার ক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসা, খাদ্যাভ্যাস, যত্নাদি ইত্যাদি বিষয়গুলো গুগল সার্চ করতে পারেন। কিন্তু ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট কিনতে গুগলের শরণাপন্ন হওয়া মোটেই ঠিক নয়।

6) সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে কীভাবে যোগ দেবেন

কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে কীভাবে যোগ দেবেন, তা গুগল সার্চ করবেন না। বিরাট আইনি জটিলতায় জড়াতে পারেন।