মারুতি সুজ়ুকি, অওডি এবং মার্সিডিজ় বেঞ্জের পর এবার চারচাকা গাড়ির দাম বাড়ানোর পথে হাঁটছে টাটা মোটরস, হন্ডা এবং রেনোর মতো একাধিক সংস্থা। ইনপুট খরচ মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়েছে। আর সেই কারণেই ভারতে গাড়ির দাম বাড়াতে চলেছে সংস্থাগুলি। সূত্রের খবর, ২০২২ সালের প্রথম থেকেই লাগু হতে পারে টাটা মোটরস, হন্ডা এবং রেনোর গাড়িগুলির বর্ধিত দাম।
মারুতির তরফ থেকে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে যে, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই বিভিন্ন মডেল অনুযায়ী দাম বাড়ানো হবে। আবার মার্সিডিজ় বেঞ্জের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফিচার এনহ্যান্সমেন্ট এবং ইনপুট খরচ বাড়ার কারণে একাধিক বাছাই করা মডেলে ২ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়ানো হবে।
অন্য দিকে অওডি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকেই সংস্থার প্রতিটি রেঞ্জের গাড়ির দামই ৩ শতাংশ বাড়ানো হবে। ইনপুট এবং অপারেশনার খরচ বাড়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে অওডি, কোম্পানির তরফ থেকে এমনই তথ্য জানানো হয়েছে।
এই বিষয়ে টাটা মোটরস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সংস্থার প্যাসেঞ্জার ভেহিকলস বিজনেস প্রধান শৈলাস বলেন, “পণ্যের দাম, কাঁচামাল এবং অন্যান্য ইনপুট খরচ আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। খরচের এই বৃদ্ধিকে অন্তত আংশিক ভাবে অফসেট করার জন্য একটি উপযুক্ত মূল্যবৃদ্ধি স্বল্প মেয়াদের জন্য আমাদের কাছে অনিবার্য বলে মনে হয়েছে।” প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে টাটা মোটরসের জনপ্রিয় গাড়িগুলি হল, পাঞ্চ, নেক্সন এবং হ্যারিয়ার।
এদিকে হন্ডা কারস-এর এক কর্মকর্তা এই বিষয়ে দাবি করছেন, “পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে ইনপুট খরচের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। আমরা এখনও অধ্যয়ন করছি কতটা হন্ডার গাড়ির দাম গ্রাহকের কথা মাথায় রেখে কতটা কম বাড়ানো যায়।” সিটি এবং অ্যামেজ়-এর মতো গাড়িগুলির দামও চলতি বছরের অগাস্ট মাসে বাড়িয়েছিল হন্ডা।
রেনো কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম থেকেই গাড়ির পরিসরে উল্লেখযোগ্য মূল্যবৃদ্ধির দিকে নজর রাখছে কোম্পানি। ভারতে কেডব্লিউআইডি, ট্রিবার এবং কিগারের মতো একাধিক গাড়ি বিক্রি করে এই ফ্রেঞ্চ সংস্থা।
গত এক বছরে ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম, তামা, প্লাস্টিক এবং মূল্যবান ধাতুর মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সেই কারণেই কোম্পানিগুলি গাড়ির মূল্যবৃদ্ধি করতে এক প্রকার বাধ্য হয়েছে। সেই সঙ্গেই আবার সাম্প্রতিক অতীতে পেট্রোল-ডিজিলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে পরিবহন খরচ বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে সামগ্রিক ভাবে অরিজিনাল ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারারদের কস্ট স্ট্রাকচারও ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: Ola Electric Scooter: অবশেষে ভারতে ওলার ইলেকট্রিক স্কুটারের ডেলিভারি শুরু হচ্ছে, জেনে নিন দিনক্ষণ