সামনে বাইক। আর চুরি করার সুযোগ পেলে কোনও ভুলচুক না করেই সেটিকে নিয়ে পালায় চোরেরা (Bike Thieves)। বাইকের নিরাপত্তা যতই জোরদার করা হোক না কেন, বারবার নতুন উপায়ে বাইক নিয়ে চম্পট দেয় তারা। বদলেছে সময়, বদলেছে বাইক চুরির ধরন। হালফিলে তো আবার সিসিটিভি নজরদারি এবং লক উপেক্ষা করেই বাইক চুরি করছে চোরদের দল। এবার তেমনই একটি সিসিটিভি ফুটেজকে কাজে লাগিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করতে না করতেই চোরদের হাতেনাতে পাকড়াও করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়, চুরি যাওয়া সেই বাইকগুলিও। আর সেখানেই পুলিশের (Police) কাছে এক চোর জানিয়েছে এবং দেখিয়েছে যে, কী ভাবে ৬০ সেকেন্ডেরও কম সময়ে একটা রয়্যাল এনফিল্ড (Royal Enfield) চুরি করেছে সে।
সেই ভিডিয়ো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল। শান্তনীল নাগ নামের এক ব্যক্তি তাঁর ইউটিউব পেজ থেকে সেই ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, পুলিশের উপস্থিতিতেই একজন চোর দেখাচ্ছে, কী ভাবে ৬০ সেকেন্ডেরও কম সময়ে একটা রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০ বাইকের লক সিস্টেম ভেঙে তা সে চুরি করে।
সেই চোর দেখিয়েছে যে, প্রথমেই সে বলপ্রয়োগ করে রয়্যাল এনফিল্ডের হ্যান্ডেলবার লক ভেঙে দেয়। তার পরে বাইকের ইগনিশন ওয়্যার এবং ফিউজ় কানেক্টর, যা ব্যাটারি টার্মিনালের সঙ্গে সংযুক্ত করা থাকে, তা-ও সে দাঁতে করে কেটে দেয়। পরে ইলেকট্রিক স্টার্টার প্রেস করার আগেই সেই ওয়্যার আবার সে কানেক্ট করে, যাতে করে বাইকটি নতুন জীবন ফিরে পায়। ব্যস! তারপরই সেই বাইক নিয়ে চম্পট দেওয়ার কাজটা তার কাজে আরও সহজ হয়ে যায়। পুলিশকে এই বাইক চুরির বিষয়টি ডেমনস্ট্রেট করার সময় সেখানে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন বহু মানুষ। এই কাণ্ড দেখে সকলেই প্রায় অবাক। এমনকি খোদ পুলিশও চোরের এমন বাইক চুরির বুদ্ধি দেখে বেমালুম বকে বনে যান!
২০০৯ সালে লঞ্চ হওয়ার পরক্ষণেই রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০ মডেলটি খুবই জনপ্রিয় হয়। কলেজ পড়ুয়া থেকে শুরু করে পুলিশকর্মী, সেনা জওয়ান, মাঝবয়সী, এমনকি বয়স্করাও রয়্যাল এনফিল্ড ৩৫০ ক্রয় করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। সমস্ত প্রজন্মের কাছেই অল্প সময়ে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে রয়্যাল এনফিল্ডের এই বিশেষ মডেল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, সেই রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০ সমানতালে চোরেদেরও আকর্ষিত করতে শুরু করে। প্রথমত, তার গগনচুম্বী জনপ্রিয়তা এবং দ্বিতীয়ত, তার রিসেল ভ্যালুর জন্যই আজও বাইক চোরদের টার্গেট রয়্যাল এনফিল্ড। তবে শুধু ক্লাসিক ৩৫০ নয়, যে কোনও রয়্যাল এনফিল্ড বাইক খুঁজে সেটিকে চুরি করার তালে থাকে বাইক চোররা।
বাইক চুরি আটকাতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস
আজ অন্যের বাইক চুরি হচ্ছে, কাল হতে পারে আপনার সঙ্গে। শুধু রয়্যাল এনফিল্ড কেন, মাত্রাতিরিক্ত হারে চুরি হচ্ছে একাধিক বাইক। আর তাই আপনার অতি সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। বাইক চুরির ধরন বদলালেও, এই বেসিক কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই আপনার বাইকটিকে চুরি যাওয়া থেকে আটকাতে পারবেন –
১) ইগনিশন কিহোল এমন ব্যবহার করুন, যেটি লক করা যায়।
২) ব্লুটুথ অপারেটেড ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহার করুন।
৩) বাইকে বার্গলার অ্যালার্ম ব্যবহার করুন।
৪) ব্রেক ডিস্ক সর্বদা লক রাখুন।
৫) ফ্রন্ট ফর্কও পারলে লক করে রেখে দিন।
৬) আফ্টার-মার্কেট ইম্মোবিলাইজ়ার বা ট্র্যাকার ব্যবহার করুন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রতিবেদনটি প্রকাশের একমাত্র উদ্দেশ্য, বাইক চুরি সম্পর্কে চালকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা। এই ধরনের চুরির প্রচার করা কখনই আমাদের উদ্দেশ্য নয়।
আরও পড়ুন: হোলির পরের দিন থেকেই দাম বাড়ছে ওলার এস১ প্রো ইলেকট্রিক স্কুটারের
সামনে বাইক। আর চুরি করার সুযোগ পেলে কোনও ভুলচুক না করেই সেটিকে নিয়ে পালায় চোরেরা (Bike Thieves)। বাইকের নিরাপত্তা যতই জোরদার করা হোক না কেন, বারবার নতুন উপায়ে বাইক নিয়ে চম্পট দেয় তারা। বদলেছে সময়, বদলেছে বাইক চুরির ধরন। হালফিলে তো আবার সিসিটিভি নজরদারি এবং লক উপেক্ষা করেই বাইক চুরি করছে চোরদের দল। এবার তেমনই একটি সিসিটিভি ফুটেজকে কাজে লাগিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করতে না করতেই চোরদের হাতেনাতে পাকড়াও করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়, চুরি যাওয়া সেই বাইকগুলিও। আর সেখানেই পুলিশের (Police) কাছে এক চোর জানিয়েছে এবং দেখিয়েছে যে, কী ভাবে ৬০ সেকেন্ডেরও কম সময়ে একটা রয়্যাল এনফিল্ড (Royal Enfield) চুরি করেছে সে।
সেই ভিডিয়ো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল। শান্তনীল নাগ নামের এক ব্যক্তি তাঁর ইউটিউব পেজ থেকে সেই ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, পুলিশের উপস্থিতিতেই একজন চোর দেখাচ্ছে, কী ভাবে ৬০ সেকেন্ডেরও কম সময়ে একটা রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০ বাইকের লক সিস্টেম ভেঙে তা সে চুরি করে।
সেই চোর দেখিয়েছে যে, প্রথমেই সে বলপ্রয়োগ করে রয়্যাল এনফিল্ডের হ্যান্ডেলবার লক ভেঙে দেয়। তার পরে বাইকের ইগনিশন ওয়্যার এবং ফিউজ় কানেক্টর, যা ব্যাটারি টার্মিনালের সঙ্গে সংযুক্ত করা থাকে, তা-ও সে দাঁতে করে কেটে দেয়। পরে ইলেকট্রিক স্টার্টার প্রেস করার আগেই সেই ওয়্যার আবার সে কানেক্ট করে, যাতে করে বাইকটি নতুন জীবন ফিরে পায়। ব্যস! তারপরই সেই বাইক নিয়ে চম্পট দেওয়ার কাজটা তার কাজে আরও সহজ হয়ে যায়। পুলিশকে এই বাইক চুরির বিষয়টি ডেমনস্ট্রেট করার সময় সেখানে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন বহু মানুষ। এই কাণ্ড দেখে সকলেই প্রায় অবাক। এমনকি খোদ পুলিশও চোরের এমন বাইক চুরির বুদ্ধি দেখে বেমালুম বকে বনে যান!
২০০৯ সালে লঞ্চ হওয়ার পরক্ষণেই রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০ মডেলটি খুবই জনপ্রিয় হয়। কলেজ পড়ুয়া থেকে শুরু করে পুলিশকর্মী, সেনা জওয়ান, মাঝবয়সী, এমনকি বয়স্করাও রয়্যাল এনফিল্ড ৩৫০ ক্রয় করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। সমস্ত প্রজন্মের কাছেই অল্প সময়ে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে রয়্যাল এনফিল্ডের এই বিশেষ মডেল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, সেই রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০ সমানতালে চোরেদেরও আকর্ষিত করতে শুরু করে। প্রথমত, তার গগনচুম্বী জনপ্রিয়তা এবং দ্বিতীয়ত, তার রিসেল ভ্যালুর জন্যই আজও বাইক চোরদের টার্গেট রয়্যাল এনফিল্ড। তবে শুধু ক্লাসিক ৩৫০ নয়, যে কোনও রয়্যাল এনফিল্ড বাইক খুঁজে সেটিকে চুরি করার তালে থাকে বাইক চোররা।
বাইক চুরি আটকাতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস
আজ অন্যের বাইক চুরি হচ্ছে, কাল হতে পারে আপনার সঙ্গে। শুধু রয়্যাল এনফিল্ড কেন, মাত্রাতিরিক্ত হারে চুরি হচ্ছে একাধিক বাইক। আর তাই আপনার অতি সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। বাইক চুরির ধরন বদলালেও, এই বেসিক কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই আপনার বাইকটিকে চুরি যাওয়া থেকে আটকাতে পারবেন –
১) ইগনিশন কিহোল এমন ব্যবহার করুন, যেটি লক করা যায়।
২) ব্লুটুথ অপারেটেড ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহার করুন।
৩) বাইকে বার্গলার অ্যালার্ম ব্যবহার করুন।
৪) ব্রেক ডিস্ক সর্বদা লক রাখুন।
৫) ফ্রন্ট ফর্কও পারলে লক করে রেখে দিন।
৬) আফ্টার-মার্কেট ইম্মোবিলাইজ়ার বা ট্র্যাকার ব্যবহার করুন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রতিবেদনটি প্রকাশের একমাত্র উদ্দেশ্য, বাইক চুরি সম্পর্কে চালকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা। এই ধরনের চুরির প্রচার করা কখনই আমাদের উদ্দেশ্য নয়।
আরও পড়ুন: হোলির পরের দিন থেকেই দাম বাড়ছে ওলার এস১ প্রো ইলেকট্রিক স্কুটারের