Flying Motorcycle: ট্রায়াম্ফ ডেটোনা ৬৭৫-এর খোলনলচে বদলে উড়ন্ত বাইকের রূপ দিলেন দিল্লির একদল পড়ুয়া

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়

Apr 18, 2022 | 2:50 PM

Triumph Daytona 675: ট্রায়াম্ফ ডেটোনা ৬৭৫ বাইকটি মডিফাই করে সেটিকে উড়ন্ত মোটরসাইকেলের রূপ দিলেন দিল্লির একদল পড়ুয়া। কী ভাবে তৈরি করলেন, কত টাকা খরচ হয়েছে, সেই সব তথ্য এক নজরে দেখে নিন।

Follow Us

উড়ন্ত বাইক (Flying Motorcycle) এবার দেশে তৈরি হল। আর সেই অসম্ভবকে সম্ভব করলেন কয়েক জন পড়ুয়া (Students)। দিল্লির নেতাজি সুভাষ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির কয়েক জন পড়ুয়া একটি ট্রায়াম্ফ ডেটোনা ৬৭৫ (Triumph Daytona 675) বাইককে ম্যানড এরিয়াল ভেহিকেলে রূপান্তরিত করেছেন। যদিও সেটি আনম্যানড রয়েছে কিছু সুরক্ষাজনিত কারণে। প্রজেক্টটির নাম সোকোরো, যা ডেভেলপ করেছেন শর্মন শর্মা, দাকস লাকরা এবং সৌরভ বেভদ নামের ওই টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির কয়েক জন পড়ুয়া। এই কনসেপ্ট বাইক ২০ সেন্টিমিটার এরিয়াল হাইটে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন ওই পড়ুয়ারা। আর তা যদি হয় তাহলে ৫ থেকে ৭ সেন্টিমিটার উচ্চতায় উড়তে পারবে বাইকটি। আর সেই কারণেই প্রোটোটাইপ মেশিনটি লিফট নেওয়ার জন্য যথেষ্ট থ্রাস্ট তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল। ওই পড়ুয়ারা একপ্রকার নিশ্চিত যে, এটি একজন প্রাপ্তবয়স্কের ওজন খুব সহজেই বহন করতে পারবে। তবে এখনও পর্যন্ত বাইকটির হাইট সুরক্ষা সংক্রান্ত কারণে রেস্ট্রিক্টেড রাখা হয়েছে।

কী ভাবে তৈরি করা হয়েছে এই বাইক

সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ডেটোনা ৬৭৫-এর ইঞ্জিনই রাখা হয়েছে এই বাইকটিতে। তবে তা টিউন করা হয়েছে স্পিডমঙ্কের দ্বারা। এটি একটি তিন-সিলিন্ডারের লিকুইড-কুলড ইঞ্জিন, যা স্টক ফর্মে সর্বাধিক ১১৫ এইচপি পাওয়ার এবং ৭৪ এনএম পিক টর্ক জেনারেট করতে পারে। তবে গাড়ির ইঞ্জিনটি এমন ভাবেই রিটিউন করা হয়েছে যাতে ১৩৫ এইচপি পাওয়ার প্রোডিউস করতে পারে।

ছাত্ররা নিজেরাই এই গাড়িটির চ্যাসিস ডেভেলপ করেছে। ৬৩৫১ অ্যারোস্পেস গ্রেড অ্যালুমিনিয়াম দ্বারা তৈরি করা হয়েছে বাইকটি এবং এটি একটি ট্রেলিস ফ্রেম দ্বারা নির্মিত। অন্যান্য মেটালের তুলনায় এটি একটু দামি হলেও অ্যালুমিনিয়াম এই জন্যই ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে ওজনের দিক থেকে একটা সামঞ্জস্য রক্ষা করা যায় এবং সেই সঙ্গেই বাইকটি টেকসইও হয়। বাইকটির চ্যাসিসের সামগ্রিক দৈর্ঘ্য ১২ ফুট। যদিও রিয়ার এবং ফ্রন্ট চ্যাসিস এক নয়। এই বাইকের ওজন ১৫০ কেজি এবং চ্যাসিসের ওজন ১৮ কেজি। সব মিলিয়ে বাইকটির ওজন ১৬৮ কেজি।

একটি বেল্ট ড্রাইভ টাইপ ট্রান্সমিশনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে বাইকের ইঞ্জিন। কন্টিনেন্টাল থেকে বেল্টগুলি জোগাড় করা হয়েছে। হার্লে ডেভিডসনেও রয়েছে এই একই ধরনের বেল্ট। দুটি বেল্ট অ্যাটাচ করা হয়েছে, যারা সমান ভাবে ফ্রন্ট এবং রিয়ার প্রপেলারে পাওয়ার ট্রান্সফার করতে পারে। এই মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন হিট যখন ৬০০০ থেকে ৭০০০ আরপিএমে, তখন তা লিফ্ট অ্যাচিভ করতে পারে। প্রপেলারে রয়েছে ট্রাই-ব্লেড উডেন ইউনিট। দুটি প্রপেলারই হাতে তৈরি।

কত টাকা খরচ হয়েছে

প্রাথমিক ভাবে ওই পড়ুয়ারা ভেবেছিলেন যে, প্রজেক্টটি শেষ হতে চার মাস সময় লেগে যাবে। প্রথম মাসে তাঁরা মোটরসাইকেলটি ভেঙে ফেলেন, দ্বিতীয় মাসে ট্রান্সমিশন তৈরির জন্য সময় নেন, তৃতীয় মাসে তাঁরা চ্যাসিস তৈরি করেন এবং চতুর্থ মাসে প্রপেলার ও জিনিসপত্র একত্রিত করেন। যদিও, এই প্রকল্পটি প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় নিয়েছে। পড়ুয়ারা ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার বাজেট নিয়ে এই প্রজেক্টের জন্য এগিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় যে, রিসার্চ ও টেস্টিংয়ের কাজেই এই টাকাটা লেগে যায়। শেষমেশ এই প্রজেক্টের জন্য ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হয়, যার মধ্যে বাইকের ইঞ্জিনের খরচও ধরা হয়েছে।

একটি রিমোট কন্ট্রোল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এই বাইক। সেই রিমোট কন্ট্রোল আবার মোবাইল ফোনের সঙ্গে কানেক্টেড। এই একই রিমোট দ্বারা আবার বাইকের থ্রটলও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তবে এই বাইকের ইলেকট্রনিক সংক্রান্ত কিছু সমস্যার কারণে এখনও পর্যন্ত উড়তে সক্ষম হয়নি।

আরও পড়ুন: ৪.৫ লাখ টাকা দামে তিন চাকার ইলেকট্রিক গাড়ি, রেঞ্জ ২০০ কিলোমিটার, ফিচার্স ও স্পেসিফিকেশনস দেখে নিন

আরও পড়ুন: ফের বিপত্তি, এবার ওলা ইলেকট্রিক স্কুটারের সামনের চাকা খুলে বেরিয়ে গেল

আরও পড়ুন: নতুন ম্যাক্সি ইলেকট্রিক স্কুটার নিয়ে আসছে ট্রুভ মোটর, একবার চার্জে ছুটবে ২৩০ কিলোমিটার

উড়ন্ত বাইক (Flying Motorcycle) এবার দেশে তৈরি হল। আর সেই অসম্ভবকে সম্ভব করলেন কয়েক জন পড়ুয়া (Students)। দিল্লির নেতাজি সুভাষ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির কয়েক জন পড়ুয়া একটি ট্রায়াম্ফ ডেটোনা ৬৭৫ (Triumph Daytona 675) বাইককে ম্যানড এরিয়াল ভেহিকেলে রূপান্তরিত করেছেন। যদিও সেটি আনম্যানড রয়েছে কিছু সুরক্ষাজনিত কারণে। প্রজেক্টটির নাম সোকোরো, যা ডেভেলপ করেছেন শর্মন শর্মা, দাকস লাকরা এবং সৌরভ বেভদ নামের ওই টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির কয়েক জন পড়ুয়া। এই কনসেপ্ট বাইক ২০ সেন্টিমিটার এরিয়াল হাইটে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন ওই পড়ুয়ারা। আর তা যদি হয় তাহলে ৫ থেকে ৭ সেন্টিমিটার উচ্চতায় উড়তে পারবে বাইকটি। আর সেই কারণেই প্রোটোটাইপ মেশিনটি লিফট নেওয়ার জন্য যথেষ্ট থ্রাস্ট তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল। ওই পড়ুয়ারা একপ্রকার নিশ্চিত যে, এটি একজন প্রাপ্তবয়স্কের ওজন খুব সহজেই বহন করতে পারবে। তবে এখনও পর্যন্ত বাইকটির হাইট সুরক্ষা সংক্রান্ত কারণে রেস্ট্রিক্টেড রাখা হয়েছে।

কী ভাবে তৈরি করা হয়েছে এই বাইক

সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ডেটোনা ৬৭৫-এর ইঞ্জিনই রাখা হয়েছে এই বাইকটিতে। তবে তা টিউন করা হয়েছে স্পিডমঙ্কের দ্বারা। এটি একটি তিন-সিলিন্ডারের লিকুইড-কুলড ইঞ্জিন, যা স্টক ফর্মে সর্বাধিক ১১৫ এইচপি পাওয়ার এবং ৭৪ এনএম পিক টর্ক জেনারেট করতে পারে। তবে গাড়ির ইঞ্জিনটি এমন ভাবেই রিটিউন করা হয়েছে যাতে ১৩৫ এইচপি পাওয়ার প্রোডিউস করতে পারে।

ছাত্ররা নিজেরাই এই গাড়িটির চ্যাসিস ডেভেলপ করেছে। ৬৩৫১ অ্যারোস্পেস গ্রেড অ্যালুমিনিয়াম দ্বারা তৈরি করা হয়েছে বাইকটি এবং এটি একটি ট্রেলিস ফ্রেম দ্বারা নির্মিত। অন্যান্য মেটালের তুলনায় এটি একটু দামি হলেও অ্যালুমিনিয়াম এই জন্যই ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে ওজনের দিক থেকে একটা সামঞ্জস্য রক্ষা করা যায় এবং সেই সঙ্গেই বাইকটি টেকসইও হয়। বাইকটির চ্যাসিসের সামগ্রিক দৈর্ঘ্য ১২ ফুট। যদিও রিয়ার এবং ফ্রন্ট চ্যাসিস এক নয়। এই বাইকের ওজন ১৫০ কেজি এবং চ্যাসিসের ওজন ১৮ কেজি। সব মিলিয়ে বাইকটির ওজন ১৬৮ কেজি।

একটি বেল্ট ড্রাইভ টাইপ ট্রান্সমিশনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে বাইকের ইঞ্জিন। কন্টিনেন্টাল থেকে বেল্টগুলি জোগাড় করা হয়েছে। হার্লে ডেভিডসনেও রয়েছে এই একই ধরনের বেল্ট। দুটি বেল্ট অ্যাটাচ করা হয়েছে, যারা সমান ভাবে ফ্রন্ট এবং রিয়ার প্রপেলারে পাওয়ার ট্রান্সফার করতে পারে। এই মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন হিট যখন ৬০০০ থেকে ৭০০০ আরপিএমে, তখন তা লিফ্ট অ্যাচিভ করতে পারে। প্রপেলারে রয়েছে ট্রাই-ব্লেড উডেন ইউনিট। দুটি প্রপেলারই হাতে তৈরি।

কত টাকা খরচ হয়েছে

প্রাথমিক ভাবে ওই পড়ুয়ারা ভেবেছিলেন যে, প্রজেক্টটি শেষ হতে চার মাস সময় লেগে যাবে। প্রথম মাসে তাঁরা মোটরসাইকেলটি ভেঙে ফেলেন, দ্বিতীয় মাসে ট্রান্সমিশন তৈরির জন্য সময় নেন, তৃতীয় মাসে তাঁরা চ্যাসিস তৈরি করেন এবং চতুর্থ মাসে প্রপেলার ও জিনিসপত্র একত্রিত করেন। যদিও, এই প্রকল্পটি প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় নিয়েছে। পড়ুয়ারা ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার বাজেট নিয়ে এই প্রজেক্টের জন্য এগিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় যে, রিসার্চ ও টেস্টিংয়ের কাজেই এই টাকাটা লেগে যায়। শেষমেশ এই প্রজেক্টের জন্য ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হয়, যার মধ্যে বাইকের ইঞ্জিনের খরচও ধরা হয়েছে।

একটি রিমোট কন্ট্রোল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এই বাইক। সেই রিমোট কন্ট্রোল আবার মোবাইল ফোনের সঙ্গে কানেক্টেড। এই একই রিমোট দ্বারা আবার বাইকের থ্রটলও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তবে এই বাইকের ইলেকট্রনিক সংক্রান্ত কিছু সমস্যার কারণে এখনও পর্যন্ত উড়তে সক্ষম হয়নি।

আরও পড়ুন: ৪.৫ লাখ টাকা দামে তিন চাকার ইলেকট্রিক গাড়ি, রেঞ্জ ২০০ কিলোমিটার, ফিচার্স ও স্পেসিফিকেশনস দেখে নিন

আরও পড়ুন: ফের বিপত্তি, এবার ওলা ইলেকট্রিক স্কুটারের সামনের চাকা খুলে বেরিয়ে গেল

আরও পড়ুন: নতুন ম্যাক্সি ইলেকট্রিক স্কুটার নিয়ে আসছে ট্রুভ মোটর, একবার চার্জে ছুটবে ২৩০ কিলোমিটার

Next Article