AVGC Promotion Task Force In India: বাজেটে বিশেষ ঘোষণা, টাস্ক ফোর্স গঠন ও চাকরির সম্ভাবনা, দেশের গেমিং মহলে খুশির বাতাবরণ!
Budget 2022: ভারতের ইউনিয়ন বাজেটে গেমিংয়ের প্রতি এই উদ্যোগ দেখে সারা বিশ্বের গেমিং ডেভেলপার সংস্থাগুলি বেশ খুশি। গেমিং জগৎে আগামী দিনে ভারত যে বড়সড় প্রভাব ফেলতে চলেছে সে কথাটা হাবেভাবেই একপ্রকার বুঝিয়ে দিয়েছে সংস্থাগুলি।
আপনি কি গেমিং, কমিক, অ্যানিমেশন বা এই সংক্রান্ত ফিল্ডে নিজের কেরিয়ার গড়তে চান? তাহলে বিপুল কর্মসংস্থান তৈরি হতে চলেছে এই সেক্টরে। আর সেই কথা ঘোষণা করেছেন খোদ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ইউনিয়ন বাজেট (Budget 2022) পেশ করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, সরকার একটি টাস্ক ফোর্স (Task Force) গঠন করতে চলেছে, যার কাজ হবে অ্যানিমেশন, ভিজ়ুয়াল এফেক্টস, গেমিং এবং কমিক (AVGC Sector) সেক্টরে দেশীয় সক্ষমতা তৈরির উপায় এবং বিশ্বব্যাপী চাহিদা পূরণের উপায়গুলি খতিয়ে দেখা।
গতকাল নির্মলা সীতারমণ আরও জানিয়েছিলেন যে, অ্যানিমেশন, ভিজ্যুয়াল এফেক্ট, গেমিং ও কমিক সেক্টর দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য চাকরির বিরাট সুযোগ নিয়ে আসছে। যে টাস্ক ফোর্স গঠন করার কথা বলা হয়েছে অর্থাৎ সেই এভিজিসি প্রোমোশন টাস্ক ফোর্স, তার স্টেকহোল্ডাররা কর্মী নিয়োগের মধ্যে দিয়ে কী ভাবে পরিবেশন করা যায় তা দেখবে এবং বিশ্বব্যাপী এই সেক্টরের চাহিদাও মেটাতে সাহায্য করবে।
গেমিং নিয়ে ভারতে বিগত কয়েক বছর ধরে উন্মাদনা একটু বেশিই লক্ষ্য করা গিয়েছে। পাবজি আসার পর থেকে ব্যান হওয়া ইস্তক সময়ে সেই বিষয়টি যেন আরও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ভারতের ইউনিয়ন বাজেটে গেমিংয়ের প্রতি এই উদ্যোগ দেখে সারা বিশ্বের গেমিং ডেভেলপার সংস্থাগুলি বেশ খুশি। গেমিং জগৎে আগামী দিনে ভারত যে বড়সড় প্রভাব ফেলতে চলেছে সে কথাটা হাবেভাবেই একপ্রকার বুঝিয়ে দিয়েছে সংস্থাগুলি।
ভারতের ক্রাফ্টন-এর প্রধান সিন হিউনিল শন বলছেন, “ভারতের ভিডিয়ো গেমিং ইন্ডাস্ট্রির গ্রোথ বিগত কয়েক বছরে অন্যান্য দেশের তুলনায় নজরকাড়া। আর তার উপরে বাজেটে গেমিংয়ের জন্য এই বিশেষ উদ্যোগ ভবিষ্যৎদ্রষ্টা। এর ফলে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে যেমন স্থানীয় উদ্ভাবন বাড়বে, তেমনই আবার বহু মানুষের চাকরিও হবে।” মোবাইল প্রিমিয়ার লিগ বা এমপিএল-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও সাই শ্রীনিবাস দাবি করলেন, “একটা জিনিস দেখে খুব ভাল লাগল যে, ভারতে যখন গেমিংয়ের মতো বিষয়কে খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না। ঠিক সেখানেই বাজেটে সেই গেমিং ইন্ডাস্ট্রির জন্য বিরাট উদ্যোগ। অর্থমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে আমরা ওয়েলকাম করি।”
এশিয়ান ইস্পোর্টস ফেডারেশনের ডিরেক্টর ও ভাইস প্রেসিডেন্ট সুজি লোকেশ বলছেন, “সরকারের তরফ থেকে গেমিং ও সর্বোপরি এভিসিজি সেক্টর নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবনা চিন্তা করা হয়েছে, যা অনেক দিন ধরেই অবহেলিত ছিল। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে আমাদেরও পলিসি তৈরি করতে সুবিধা হবে এবং দেশের গেমও বিদেশে এক্সপোর্ট করার একটা সুযোগও তৈরি হবে।” উইনজ়ো-র সহ-প্রতিষ্ঠাতা পবন নন্দন বলছেন, “অ্যানিমেশন, ভিজ়ুয়াল এফেক্টস, গেমিং ও কমিক্স নিয়ে অর্থমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে আমরা স্বাগত জানাই। গেমিং খুব শীঘ্রই ট্রিলিয়ান-ডলার ইন্ডাস্ট্রি হতে চলেছে, আর সেখানে ভারতেরও যে যথেষ্ট অবদান রয়েছে, এই বিষয়টা ভেবে আরও ভাল লাগছে।”
গত বছর দেশের বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছিলেন যে, এভিসিজি সেক্টরে দেশে ৯ শতাংশ বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছিল। পাশাপাশি সম্ভাবনার তথ্য উল্লেখ করে তিনি দাবি করেছিলেন, ২০২৪ সালের (সিএজিআর ১৩.৫ শতাংশ) মধ্যে ৩ লক্ষ কোটিতে (৪৩.৯৩ মার্কিন ডলার) পৌঁছে যাবে এই সেক্টর। মন্ত্রী আরও জানিয়েছিলেন, এই সেক্টরকে আরও জনপ্রিয় করতে পারে ‘ক্রিয়েট ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘ব্র্যান্ড ইন ইন্ডিয়া’।
বিশেষ ভাবে উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন, প্রি-প্রোডাকশন থেকে পোস্ট প্রোডাকশন পর্যন্ত এই এভিসিজি সেক্টর প্রতিটি টাচপয়েন্টে খরচের একটা প্রতিযোগিতা নিয়ে আসতে পারে এবং সেই সঙ্গে দক্ষতাও দেখাতে পারে। পীযুষ গোয়েল দাবি করেছিলেন, এই সেক্টরে প্রোডাকশন খরচ পশ্চিমী দেশগুলির থেকে ভারতে এক তৃতীয়াংশ – এক চতুর্থাংশ। মন্ত্রী আরও বলেছিলেন যে, শিল্পের প্রধান অংশগুলিতে ১০০% এফডিআই অনুমোদিত এবং বিশ্বব্যাপী খেলোয়াড়রা ভারতে সুযোগগুলির অন্বেষণ করছে।
আরও পড়ুন: লুনার নিউ ইয়ারের প্রথম দিনই পাবজি নিউ স্টেটে আকর্ষণীয় কুপন, কী ভাবে রিডিম করবেন?
আরও পড়ুন: ফ্রি ফায়ারে ৩৬০ ডিগ্রি গ্লু ওয়ালের সুবিধা কী? সঠিক ভাবে ব্যবহারের কিছু টিপস জেনে নিন
আরও পড়ুন: আর একটা দেশি ব্যাটল রয়্যাল গেম আসছে, ফ্রি ফায়ার ও বিজিএমআই-এর সামনে এবার বড় চ্যালেঞ্জ!