54 Chinese App Ban In India: ভারতে ফের ৫৪টি চিনা অ্যাপ ব্যান করা হল কেন? এতদিন পর সামনে এল আসল কারণ
Nirmala Sitharaman: ৫৪টি চিনা অ্যাপ ভারতে কেন ব্যান করা হল গত সপ্তাহে, তার আসল কারণটি জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি, সোমবার প্রেম দিবসের দিন ভারতে পঞ্চম দফায় মোট ৫৪টি চিনা অ্যাপ ব্যান (Chinese App Ban) করা হয়। সেই তালিকায় রয়েছে, গারিনা ফ্রি ফায়ার (Garena Free Fire), কিউটইউ, ইক্যুয়ালাইজ়ার, মিউজ়িক প্লেয়ার, টেনসেন্ট জ়্রাইভার-সহ একাধিক চিনা অ্যাপ ও গেম। প্রাথমিক ভাবে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয় যে, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঝুঁকির সৃষ্টি করছে এই অ্যাপগুলি, আর সেই কারণেই অ্যাপগুলিকে ব্যান করা হয়েছে। যদিও একসঙ্গে এতগুলি অ্যাপ ব্যানের সঙ্গত কারণ নিয়ে একটা ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছিল। গত মঙ্গলবার দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ পরিষ্কার করে দিলেন, কেন অ্যাপগুলিকে ব্যান করা হয়েছে। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, এই অ্যাপগুলির প্রতিটিই আসলে ‘ক্ষতিকারক’ (Deleterious)। পাশাপাশি তিনি আরও জানালেন যে, ফিনান্সিয়াল স্টেবিলিটি ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল বা এফএসডিসি মিটিংয়েই এই অ্যাপগুলি ব্যান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এমএইচএ বা মিনিস্ট্রি অফ হোম অ্যাফেয়ার্স-এর একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০২০ সালে ভারতে যে যে ২৬৭টি চিনা অ্যাপ ব্যান করা হয়েছিল, সেগুলির ক্লো ভার্সন বা একই ধরনের ফাংশন, প্রাইভেসি সংক্রান্ত সমস্যা এং সিকিওরিটির জন্য ঝুঁকির বিষয় চিহ্নিত হয়েছিল সদ্য ব্যান করা অ্যাপগুলিতেও। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৯ জুন প্রথম ধাপে ৫৯টি চিনা অ্যাপ ব্যান করেছিল ভারত সরকার। তারপরে ১০ অগাস্ট, ২০২০ সালে আরও ৪৭টি চিনা অ্যাপ ব্যান করা হয়। পরবর্তীতে সেই বছরই ১ সেপ্টেম্বর ও ১৯ নভেম্বর যথাক্রমে ১১৮টি এবং ৪৩টি চিনা অ্যাপ ব্যান করা হয়।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে যে, এই ৫৪টি অ্যাপ ইউজ়ারের কাছ থেকে বেশ কিছু জটিল তথ্য সংগ্রহের অনুমতি চায় এবং কিছু স্পর্শকাতর তথ্যও সংগ্রহ করে। আর সেই সব তথ্যরই দুর্ব্যবহার করে শত্রু দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, যা নিয়েই ভারত সরকারের মূল আপত্তি। যদিও অ্যাপগুলি ব্যান হওয়ার পরেও অনেকে ব্যবহার করতে পারছেন বলে জানিয়েছেন। অনেকেই এখনও গারিনা ফ্রি ফায়ার গেমটি অ্যান্ড্রয়েডে খেলতেও পারছেন। তার কারণ হল যাঁদের কাছে অ্যাপগুলি আগে থেকেই ডাউনলোড করা রয়েছে, তাঁরা ব্যবহার করতে পারবেন। তবে কিছু সমস্যা দেখা যাবে। যদিও বিশেষজ্ঞরা অনেকেই ব্যান হওয়া এই ৫৪টি অ্যাপ ব্যবহার করতে বারণই করছেন।
সরকারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে যে, এই অ্যাপগুলি গ্রাহকের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য হাতিয়ে নজরদারি চালাতে পারে। গ্রাহকের ক্যামেরা বা মাইক, এমনকি জিপিএস লোকেশন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ম্যালিশিয়াস নেটওয়ার্ক অ্যাক্টিভিটিও চালাতে পারে অ্যাপগুলি। আর সেই কারণেই কেন্দ্রের ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক এই ৫৪টি অ্যাপকে তড়িঘড়ি ব্যান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: ইনস্টার মতোই এবার বিশ্বের ১৫০ দেশে এসে গেল ফেসবুক রিলস
আরও পড়ুন: জীবাণু রুখবে টি-শার্ট! ভারতে অ্যান্টি-ভাইরাল টি-শার্ট বিক্রি করছে শাওমি, দাম কত জানেন?
আরও পড়ুন: মাসে ৫০০ টাকারও কম খরচে ফাইবার ব্রডব্যান্ড প্ল্যান! তালিকায় কোন কোন সংস্থা রয়েছে?