ওয়ালমার্ট-এর নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম ফ্লিপকার্ট (Flipkart) তার ইউজারদের জন্য অনবদ্য স্কিম লঞ্চ করেছে, যার নাম ফ্লিপকার্ট সেল ব্যাক স্কিম(Flipkart Sell Back Scheme)। এর দ্বারা গ্রাহকরা কী ভাবে উপকৃত হবেন? গ্রাহকরা যে কোনও ব্র্যান্ড নির্বিশেষে নিজেদের পুরনো স্মার্টফোন বিক্রি (Sell Your Used Smartphone) করতে সক্ষম হবেন এই সেল ব্যাক স্কিমের দৌলতে। ফলে, পুরাতন স্মার্টফোন ও অন্যান্য গ্যাজেটস দ্বারা সৃষ্ট ই-বর্জ্যর পরিমাণ অনেকটাই কম হবে। আপাতত এই স্কিমের মাধ্যমে গ্রাহকরা কেবল মাত্র ব্যবহৃত স্মার্টফোনই বিক্রয় করতে পারবেন। যদিও সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, স্মার্টফোন ব্যতিরেকে অন্যান্য গ্যাজেটসও এই সেল ব্যাক স্কিমে বিক্রি করতে পারবেন ইউজাররা। কয়েকদিন আগেই ইলেকট্রনিক্স রি-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইয়ান্ত্রা অধিগ্রহণ করেছে ফ্লিপকার্ট। আর তারপরই সেল ব্যাক স্কিম নিয়ে হাজির হল ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি, কলকাতা, পাটনা-সহ দেশের মোট ১৭০০ পিন কোডে ফ্লিপকার্টের এই সার্ভিস উপলব্ধ হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।
ফ্লিপকার্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, সেল ব্যাক প্রোগ্রামটি সংস্থার অ্যাপে উপলব্ধ হয়ে গিয়েছে। অ্যাপের ঠিক নীচে একটি বারে রয়েছে অপশনটি। ফ্লিপকার্ট ইলেকট্রনিক গিফট ভাউচারের মতোই একটি বিশেষ ধরনে গ্রাহক তার বাই-ব্যাক ভ্যালু অর্থাৎ স্মার্টফোন বিক্রি করে তার বিক্রয়মূল্যটি পেয়ে যাবেন। যাঁরা ফোন বিক্রি করবেন, সেই ফোনের জন্য তাঁরা কত টাকা দাম চাইছেন, তার জন্য তাঁদের কাছে কয়েকটি সহজ প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইবে ফ্লিপকার্ট এবং তার পরে হ্যান্ডসেটটির জন্য তাঁরা কত টাকা দাম চাইছেন, তাও উল্লেখ করতে হবে বিক্রয়কারীকে। ফ্লিপকার্টের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম যে ভাবে হয়ে থাকে, ঠিক সেই ভাবেই হতে চলেছে এই সেল ব্যাক স্কিমও। সমস্ত তথ্য ঠিকঠাক ভাবে দেওয়ার মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই একজন এগজ়িকিউটিভ এসে ফোনটি নিয়ে যাবেন গ্রাহকের কাছ থেকে। সবকাজ ঠিকঠাক ভাবে হয়ে গেলে প্রডাক্ট ভেরিফাই করবে ফ্লিপকার্ট এবং কাস্টমারের কাছে একটি ই-ভাউচারও পাঠিয়ে দেওয়া হবে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মটির তরফে।
এই সেল ব্যাক স্কিম নিয়ে ফ্লিপকার্টের তরফ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেখানে আইডিসি রিপোর্ট উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে ভারতে প্রায় ১২৫ মিলিয়ন ব্যবহৃত ফোন রয়েছে, যার মধ্যে কেবল মাত্র ২০ মিলিয়ন ফোন রিফারবিশড মার্কেটে পৌঁছয়। প্রায় ৮৫ শতাংশ ফোন গারবেজে পড়ে থেকেই শেষ হয়, যা পরিবেশে ই-বর্জ্যের পরিমাণ আরও ব্যাপক ভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই প্রোগ্রাম লঞ্চ করার পিছনে ফ্লিপকার্টের দুটি উদ্দেশ্য রয়েছে। প্রথমত, দেশে ই-বর্জ্যের পরিমাণ আরও কমানো এবং দ্বিতীয়ত, গ্রাহকদেরও একটা বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্মও তৈরি করে দেওয়া, যেখানে তাঁরা তাঁদের পুরনো ফোন বিক্রি করতে পারেন।
আপনার ব্যবহৃত ফোনটি ফ্লিপকার্টে কী ভাবে বিক্রি করবেন
১) প্রথমে আপনার ফোন থেকে ফ্লিপকার্ট ব্যাপটি খুলুন এবং মেনু বারে চলে যান। সেখানেই ‘সেল ব্যাক’ অপশনটি দেখতে পাবেন।
২) সেখানে ট্যাপ করলেই আপনাকে ফ্লিপকার্টের ‘সেল ব্যাক প্রোগ্রাম’ পেজে নিয়ে যাওয়া হবে।
৩) এবার প্রক্রিয়াটি শুরু করতে ‘সেল নাও’ ট্যাবে ট্যাপ করুন। তার পরে ফোনের ব্র্যান্ড, আইইএমআই নম্বর-সহ ইত্যাদি প্রশ্নগুলির উত্তর দিয়ে দিন।
৪) এবার আপনার এলাকা বেছে নিন এবং প্রক্রিয়াটির টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনসও মেনে নিন। এখানে আপনার ব্যবহৃত ফোনের দাম উল্লেখ করা হবে। কনফার্ম করে দিন, এক বা দুই দিনের মধ্য়েই ফ্লিপকার্টের এগজ়িকিউটিভ আপনার কাছ থেকে ফোনটি এসে নিয়ে চলে যাবে।
আরও পড়ুন: চুপিসাড়ে আগমন নোকিয়া জি১১ ফোনের! ১০২০০ টাকা খরচে ৯০ হার্ৎজ় ডিসপ্লে ও ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা
আরও পড়ুন: ভারতে লঞ্চ হয়েছে দু’টি গেমিং ফোন আসুস ROG ফোন ৫এস এবং আসুস ROG ফোন ৫এস প্রো, দেখুন দাম ও ফিচার
আরও পড়ুন: ভারতে মোটোরোলা এজ ৩০ প্রো ফোনের দাম কত হতে পারে? জেনে নিন আনুষ্ঠানিক লঞ্চের আগে