5G In India Reality Check: ঝড়ের গতিতে ইন্টারনেট! কিন্তু ভারতে ৫জি চালু হলে কতজন ব্যবহার করবেন? নতুন রিপোর্টে সংশয়
4G vs 5G In India: ভারতে ৫জি রোলআউট হলে কতজন ব্যবহার করতে পারেন? নোকিয়ার একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ৫জি ভারতে চালু হলেও বেশির ভাগ মানুষ এখনও ৪জি-তেই থাকবেন। কেন এমনটা বলা হচ্ছে সেই রিপোর্টে, জেনে নিন।
৫জি (5G) কবে আসছে, এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে দেশের মানুষের মনে। আর তার কারণ হল একটাই, বিদ্যুৎ গতির ইন্টারনেট স্পিড (Internet Speed) উপভোগ করা। সেই সঙ্গেই আবার সারা বিশ্বে যখন মেটাভার্স নিয়ে নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, ভার্চুয়াল ও অগমেন্টেড রিয়্যালিটির দ্বারোদঘাটন হয়েছে – সেখানে মানুষের অবাধ বিচরণে ৫জি কতটা প্রভাবিত করতে পারে, তাও দেখে নিতে চাইছেন অনেকে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ভারতে এই মুহূর্তে বা আগামী আর মাস তিনেকের মধ্যে ৫জি রোলআউট হলে কী হতে পারে? ৪জি-র থেকে ৫জি (4G vs 5G) না হয় ইন্টারনেট স্পিডের দিকে অনেকটাই এগিয়ে। কিন্তু দেশের কতজন মানুষ ৫জি ফোন ব্যবহার করেন? আর ৫জি রোল আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বা কতজন ৫জি সাপোর্টেড স্মার্টফোন ক্রয় করবেন?
এই পরিস্থিতির রিয়্যালিটি চেক করে দেখেছে নোকিয়া। সংস্থাটির তরফে দাবি করা হচ্ছে, এই মুহূর্তে দেশের ৮০ শতাংশ ডিভাইসই ৪জি নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করে। পরিসংখ্যান দিয়ে নোকিয়া আরও জানিয়েছে যে, দেশের মোট ৭৬৫ মিলিয়ন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর মধ্যে ডেটা ও কলিংয়ের জন্য ৭৪২ মিলিয়ন মানুষই ৪জি নেটওয়ার্কের উপরে ভরসা করেন। নোকিয়া এমবিট রিপোর্টের নবতম সংস্করণে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
বিস্ময়কর এই সংখ্যাগুলি একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, ভারতে ৫জি-র আত্মপ্রকাশ যথেষ্ট উত্তেজনাপূর্ণ হতে চলেছে। কিন্তু দেশের অধিকাংশ মানুষই আগামী অন্তত কয়েকটা বছরের জন্য ৪জি সিমের উপরেই সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করতে চলেছেন, তাও একপ্রকার পরিষ্কার। সম্প্রতি নোকিয়ার এমবিট রিপোর্টের নবম এডিশন প্রকাশ করার সময় দেশবাসীর এই অনুভূতির কথা তুলে ধরেছেন সংস্থার এসভিপি ও মার্কেট হেড সঞ্জয় মালিক।
৫জি নেটওয়ার্কের স্পিড খুবই বেশি, ৪জি-র থেকে অন্তত কয়েক গুণ বেশি। কিন্তু এত স্পিড হওয়া সত্ত্বেও কেন ৫জি-র প্রতি দেশবাসীর এমন মনোভাব? তার সবথেকে বড় কারণ, দেশের কোনও টেলিকম সংস্থার তরফে এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার ভাবে জানানো হয়নি যে, ৫জি রিচার্জ প্ল্যানের জন্য কত টাকা খরচ করতে হতে পারে। ৫জি প্ল্যানের খরচ সম্পর্কে টেলিকম সংস্থাগুলি একটা শব্দ খরচ না করলেও, ৪জি-র থেকে তার খরচ যে বেশি হবে, তা একদম পরিষ্কার।
সেই কারণেই মনে করা হচ্ছে, মানুষের দৈনন্দিন যে সব কাজ ৪জি নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই হয়ে যাচ্ছে, তাঁরা কেন বেশি টাকা খরচ করে ৫জি ব্যবহার করতে যাবেন? আর যদি একান্তই তাঁদের ৫জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতেও হয়, তাহলে তাঁরা তার খরচ নিয়েও প্রশ্ন তুলবেন। এই সব দিক বিচার করেই মনে করা হচ্ছে যে, ভারতে ৫জি রোল আউট হওয়ার পরবর্তী কয়েক মাস তা ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
সঞ্জয় মালিক আরও জানিয়েছেন যে, ২০২১ সালে ভারতে মোট ৩০ মিলিয়ন ডিভাইস শিপিং করা হয়েছে, যার মধ্যে কেবল মাত্র ১০ মিলিয়ন ইতিমধ্যে সক্রিয় রয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে যে, এগুলির মধ্যে কোনওটিতেই সক্রিয় ৫জি নেটওয়ার্ক নেই, কারণ দেশে তো এখনও পর্যন্ত ৫জি রোল আউটই হয়নি। নোকিয়া এমবিট রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ২০২৬ সালের মধ্যে ভারতে ৩৫০ মিলিয়ন ৫জি সাবস্ক্রাইবার হয়ে যাবে। আর সেই সূত্র ধরেই রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০২১ সালে যেখানে একজন ভারতীয় প্রতি মাসে গড় ১৭জিবি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, ঠিক সেখানেই ২০২৬ সালের মধ্যে একজন ভারতীয় প্রতি মাসে গড়ে ৪০জিবি ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন।
আরও পড়ুন: প্রিয়জনের সঙ্গে নেটফ্লিক্স অ্যাকাউন্ট শেয়ার করেন? আপনাকে এবার অতিরিক্ত টাকা গুনতে হবে
আরও পড়ুন: এই প্রথম ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ স্মার্টওয়াচ নিয়ে এল বোট, দাম ৩,১৯৯ টাকা, দেখা যাবে ক্রিকেট স্কোর