বেশ কিছু জরুরি ফিচার্স নিয়ে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। বৃহস্পতিবারই বিশ্বের জনপ্রিয় এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের তরফ থেকে বলা হয়েছে, একটা গ্রুপ ভয়েস কলে (Group Voice Call) ৩২ জন মানুষকে যোগ করা, ২ জিবি পর্যন্ত ফাইল শেয়ারিং (Large File Sharing), ইত্যাদি একাধিক সুবিধা খুব শীঘ্রই আসছে হোয়াটসঅ্যাপে। এই মুহূর্তে মেটা-র এই নিজস্ব মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে কেবল মাত্র ৮ জন মানুষকে নিয়ে একটি গ্রুপ ভয়েস কল করা যায়। অন্য দিকে হোয়াটসঅ্যাপে ১জিবি-র বেশি কোনও ফাইল শেয়ার করা যায় না। তবে শুধু এই দুটি ফিচারই নয়। সেই সঙ্গে আবার আরও একটি নতুন ফিচার যোগ করা হবে, যার মাধ্যমে কোনও একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিনিস্ট্রেটররা যে কোনও চ্যাট ডিলিট করতে পারবেন। সংস্থার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন যে, সেই ডিলিট করা সেই চ্যাটটি গ্রুপের কোনও সদস্যই দেখতে পাবেন না।
একটি পোস্টের মাধ্যমে মেটা প্ল্যাটফর্মস-এর সিইও মার্ক জ়াকারবার্গ বলছেন, “আমরা হোয়াটসঅ্যাপ কমিউনিটি তৈরি করি যাতে গ্রুপ চ্যাট অর্গ্যানাইজ় করা যায় এবং সেখানকার সমস্ত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। এবার একটা কমিউনিটির ভিতরেই বিভিন্ন গ্রুপকে জুড়ে দেওয়া যাবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, একটা স্কুলের বিভিন্ন ক্লাসের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলি এবার একটা কমিউনিটির আন্ডারেই থাকতে পারবে, যেখানে স্কুলের অ্যাডমিনদের তরফ থেকে বিভিন্ন আপডেট এবং জরুরি তথ্য জেনে নিতে অভিভাবক ও পড়ুয়াদের সুবিধা হবে।”
মার্ক জ়াকারবার্গ আরও যোগ করে বললেন, “এর পাশাপাশিই আমরা হোয়াটসঅ্যাপের গ্রুপগুলির জন্যও নতুন ফিচার্স যোগ করছি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মেসেজ রিঅ্যাকশন, বড় ফাইল শেয়ার করা এবং একটা গ্রুপ কলে আরও অনেক মানুষকে যোগ করার সুবিধা।”
আর একটি ব্লগপোস্টে হোয়াটসঅ্যাপের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, অন্যান্য অ্যাপগুলি যেখানে ১০০ থেকে ১০০০ মানুষকে নিয়ে গ্রুপ চ্যাট করে থাকে, আমরা সেখানে এমনই গ্রুপ চ্যাটের পরিষেবা নিয়ে এসেছি, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। “এবার আমরা ওয়ান-ট্যাপ ভয়েস কলিং ফিচার নিয়ে আসছি, যেখানে সম্পূর্ণ ভাবে একটি নতুন ডিজ়াইনে ৩২ জন মানুষকে যোগ করা যাবে”, ব্লগপোস্টে লেখা হয়েছে।
ধীরে ধীরে এই ফিচারগুলি এক এক করে একাধিক আপডেটের মাধ্যমে ইউজারদের কাছে পৌঁছে দেবে হোয়াটসঅ্যাপ। সেই সঙ্গেই আবার হোয়াটসঅ্যাপ আর একটি অপশনও যোগ করবে, যার মাধ্যমে একাধিক সমগোত্রীয় গ্রুপকে একটি কমিউনিটির ছাতার তলায় নিয়ে আসা যাবে। যেমন একটা স্কুল, রেসিডেনশিয়াল সোসাইটি, স্কুল-কলেজের বন্ধুবান্ধব – এমনই সব কমিউনিটি ক্রিয়েট করা যাবে।
ব্লগপোস্টটিতে হোয়াটসঅ্যাপ লিখছে, “কমিউনিটিগুলির অ্যাডমিনের হাত শক্ত করতে সেখানে আমরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু টুলস যোগ করব। তার মধ্যে রয়েছে অ্যানাউন্সমেন্ট মেসেজেস বা ঘোষিত কোনও বার্তা, যা গ্রুপের সবার কাছে পৌঁছে যাবে। আবার কোন গ্রুপ একটা কমিউনিটিতে যোগ করা যাবে, তার কন্ট্রোলও থাকবে অ্যাডমিনের হাতে। আমরা মনে করি যে, একটা কমিউনিটি তৈরি করলে স্কুলের প্রিন্সিপালের জন্য তা বিভিন্ন দিক থেকে সহায়ক হবে। জরুরি কিছু আপডেট বা কোনও বার্তা, নির্দিষ্ট ক্লাসের জন্য এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি – এমনই নানাবিধ দিক থেকে একটা কমিউনিটি একটা স্কুলের জন্য খুব সুবিধার হবে।”
আরও পড়ুন: পয়লা টেক: আপনার প্রথম স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও হেডফোন কেমন হতে পারে?
আরও পড়ুন: বৈধতা ৩০ দিন, ৯০জিবি ডেটা, মাত্র ১৯ টাকা থেকে শুরু হচ্ছে খরচ, বিএসএনএল-এর বাম্পার প্ল্যান!