Black Hole Sound: ব্ল্যাক হোলের বিকট শব্দ শোনাল Nasa, একবার শুনবেন নাকি?

শুক্রবার নাসা একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছে। সেই ভিডিয়োতে মহাকাশ সংস্থাটি একটি সোনিফিকেশন কৌশল প্রকাশ করেছে, যেখানে ব্ল্যাক হোলের চারপাশে আলোর প্রতিধ্বনিকে শব্দ তরঙ্গে রূপান্তরিত করা হয়েছে।

Black Hole Sound: ব্ল্যাক হোলের বিকট শব্দ শোনাল Nasa, একবার শুনবেন নাকি?
কৃষ্ণগহ্বরের শব্দ যেরকম শোনায়। ছবি: নাসা।Image Credit source: NASA
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 27, 2022 | 4:54 PM

ব্ল্যাক হোল কী, তার আচরণই বা কীরকম, কেমনই বা তার অস্তিত্বের প্রকৃতি— মহাকাশের এই ঘটনা নিয়ে গবেষকদের পাশাপাশিই মহাকাশ উৎসাহীদের মধ্যেই প্রচুর মুগ্ধতা রয়েছে। গত শুক্রবার নাসা একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছে। সেই ভিডিয়োতে মহাকাশ সংস্থাটি একটি সোনিফিকেশন কৌশল প্রকাশ করেছে, যেখানে ব্ল্যাক হোলের চারপাশে আলোর প্রতিধ্বনিকে শব্দ তরঙ্গে রূপান্তরিত করা হয়েছে। ঠিক এই ভাবেই মহাকাশ সংস্থাটি আলোক তরঙ্গকে শব্দ তরঙ্গে রূপান্তরিত করেছে, যাতে বিষয়টা সহজে বোধগম্য হয়— কীভাবে ব্ল্যাক হোলের চারপাশে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ আচরণ করে।

এই ভিডিয়ো শেয়ার করে নাসা লিখছে, “এই নতুন সোনিফিকেশন ব্ল্যাক হোল থেকে আলোর প্রতিধ্বনিকে শব্দে পরিণত করে।” সেখানে আরও যোগ করে বলা হয়েছে, “ব্ল্যাক হোলগুলি তাদের থেকে আলো (যেমন রেডিও, দৃশ্যমান এবং এক্স-রে) পালাতে না দেওয়ার জন্য কুখ্যাত। তবে পার্শ্ববর্তী উপাদান ইলেকট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণের তীব্র বিস্ফোরণ তৈরি করতে পারে। আর যখন তারা বাইরের দিকে যাত্রা করে, তখন এই আলোর আবক্ষগুলি মহাকাশে গ্যাস এবং ধুলোর মেঘকে উড়িয়ে দিতে পারে। ঠিক যেভাবে গাড়ির হেডলাইটের আলোর রশ্মিগুলি কুয়াশা থেকে বিচ্ছুরিত হয়।”

View this post on Instagram

A post shared by NASA (@nasa)

নাসা যে ভিডিয়োটি শেয়ার করেছে, সেখানে যেমন একটি ক্লিপ দেখা যাচ্ছে তেমনই শোনা যাচ্ছে সেই ব্ল্যাক হোলের চারপাশের বিকট শব্দ! সোশ্যাল মিডিয়ার ওই পোস্টে নাসা ঘটনার বিবরণ করে লিখছে, “লাল রঙের বৃত্তাকার ব্যান্ডগুলি তারার পটভূমি দ্বারা বেষ্টিত। নীল ব্যান্ডগুলি ব্ল্যাক হোল সিস্টেমের ভিতরের এবং নীচের অংশগুলিকে হাইলাইট করে। সোনিফিকেশনের সময় কার্সারটি একটি বৃত্তের কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকে সরে যায়, ভিডিয়োতে যেমনটা দেখা যাচ্ছে। যখন এটি এক্স-রে সনাক্ত করা আলোর প্রতিধ্বনির মধ্য দিয়ে যায় (ছবিতে চন্দ্র দ্বারা নীল এবং সুইফট দ্বারা লালকেন্দ্রিক বলয় হিসাবে দেখা যায়), তখন যে তারা এক্স-রে এবং উজ্জ্বলতার তারতম্য ডিটেক্ট করেছে, তা বোঝাতে টিক-এর মতো শব্দ এবং ভলিউম পরিবর্তিত হয়।”

ভিডিয়োতে ব্ল্যাক হোলের অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে। নাসা উল্লেখ করেছে যে, এই সিস্টেমটি পৃথিবী থেকে প্রায় 7,800 আলোকবর্ষ দূরে এবং একটি ব্ল্যাক হোল রয়েছে, যার ভর সূর্যের থেকে পাঁচ থেকে দশ গুণ বেশি। শুধু তাই নয়। এর মধ্যে একটি সহচর নক্ষত্রও রয়েছে। এর চারপাশে কক্ষপথ একটি ব্ল্যাক হোলের আবাস যা সহচর নক্ষত্র থেকে পদার্থ শোষণ করে বলে জানিয়েছে নাসা। এখানে নাক্ষত্রিক-ভর হল ব্ল্যাক হোলের ওই ডিস্ক, উপাদানটি যেখানে নির্দেশিত হয়, ঠিক সেখানেই ঘিরে রয়েছে।

ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গের প্রতিধ্বনি সম্পর্কে ডেটা সংগ্রহ করতে ব্যবহৃত টেলিস্কোপগুলিও প্রকাশ করেছে নাসা। মহাকাশ সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, “এই সোনিফিকেশন চন্দ্র এক্স-রে এবং সুইফট উভয়েই এক্স-রে ডেটা শব্দে অনুবাদ করে। দুটি টেলিস্কোপের ডেটার মধ্যে পার্থক্য করার জন্য চন্দ্র ডেটা উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি টোন দ্বারা উপস্থাপিত হয়, যখন সুইফট ডেটা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম।”

ভিডিয়োতে রেকর্ড করা ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গের বর্ণালী সম্পর্কে বর্ণনা করে NASA জানিয়েছে, এক্স-রে ছাড়াও এই ছবিতে ডিজিটাইজড স্কাই সার্ভে থেকে অপটিক্যাল ডেটা রয়েছে যা ব্যারগ্রাউন্ডের তারাগুলি দেখায়। অপটিক্যাল আলোতে প্রতিটি তারা একটি মিউজিক্যাল নোট ট্রিগার করে। আর সেই নোটের ভলিউম এবং পিচ তারার উজ্জ্বলতা দ্বারা নির্ধারিত হয় বলে জানিয়েছে নাসা।