AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Colliding Galaxies: ছায়াপথের সংঘর্ষ! একটি গ্যালাক্সির মধ্যে ডুবে যাচ্ছে আর একটি! আসল রহস্য জানাল নাসা

এই অপূর্ব দৃশ্য ধরা পড়েছে নাসার হাব্বল স্পেস টেলিস্কোপে।

Colliding Galaxies: ছায়াপথের সংঘর্ষ! একটি গ্যালাক্সির মধ্যে ডুবে যাচ্ছে আর একটি! আসল রহস্য জানাল নাসা
ছায়াপথের সংঘর্ষ। ছবি সৌজন্যে- ইনস্টাগ্রাম (nasahubble)
| Edited By: | Updated on: Jan 12, 2022 | 1:55 PM
Share

নাসা সম্প্রতি একজোড়া ছায়াপথের ছবি প্রকাশ করেছে। এই কসমিক ডুয়ো অফ গ্যালাক্সি বা ছায়াপথ দু’টি পৃথিবী থেকে আনুমানিক ২১৫ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। হাব্বল টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে এই ছবি। নাসার এই স্পেস টেলিস্কোপই প্রথম জানিয়েছিল যে আকাশগঙ্গা ছায়াপথ বা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি ছাড়াও ছায়াপথ রয়েছে মহাকাশে। হামেশাই বিভিন্ন মহাজাগতিক অত্যাশ্চর্য ছবি প্রকাশ হাব্বল টেলিস্কোপ। এবারও তার অন্যথা হয়নি।

আপাতত মহাকাশের গভীর দুনিয়ার বিভিন্ন রহস্য সমাধানে ব্যস্ত রয়েছে নাসার স্পেস টেলিস্কোপ হাব্বল। আর সেই ছানবিনের সময়েই এই ছবি ধরা পড়েছে হাব্বল টেলিস্কোপে। এই ছবি দেখে মনে হচ্ছে যেন দুটো গ্যালাক্সি একে অন্যের মধ্যে ডুবে যাচ্ছে। তবে বাস্তবে একটি ছায়াপথের অবস্থান অন্যটির থেকে অনেক দূরে। ছবিতে যে মূল স্পাইরাল বা সর্পিল ছায়াপথ দেখা যাচ্ছে তার নাম এনজিসি ১০৫। এর প্রতিবেশী ছায়াপথ এই সর্পিল গ্যালাক্সির প্রান্তদেশ স্পর্শ করছে বলে ছবিতে মনে হচ্ছে। তবে নাসা জানিয়েছেন, এতা শুধুমাত্র দৃষ্টিভঙ্গির একটি পরিস্থিতি। আদতে দুটো ছায়াপথের মধ্যে যথেষ্ট দূরত্ব রয়েছে। ফরাসি নভশ্চর Edouard Stephan ১৮৮৪ সালে এই গ্যালাক্সি আবিষ্কার করেছিল। তবে এর পার্শ্ববর্তী গ্যালাক্সি সম্পর্কে বেশি কিছু তথ্য পাওয়া যায়নি।

দেখুন দুই গ্যালাক্সি একে অন্যের সংস্পর্শে থাকার সেই ছবি

এটাই প্রথম নয়। এর আগেও মহাকাশের অসাধারণ সব ছবি প্রকাশ করেছে মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসার হাব্বল স্পেস টেলিস্কোপ। ৩০ বছরের পুরনো এই দৈত্যাকার টেলিস্কোপে নাসা এবং ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি যৌথভাবে নির্মাণ করেছিল। ১৯৯০ সালে এই স্পেস টেলিস্কোপ মহাকাশে লঞ্চ করা হয়েছিল। তারপর থেকে একের পর এক মহাজাগতিক বিস্ময়ের ছবি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছে এই হাব্বল টেলিস্কোপ। এ যাবৎ এই টেলিস্কোপ ১.৩ মিলিয়নের বেশি পর্যবেক্ষণ করেছে মহাকাশে। বর্তমানে মহাকাশের গভীর অঞ্চল পর্যবেক্ষণ করছে হাব্বল টেলিস্কোপ। ইউনিভার্সের বয়স কত তা নির্ধারণে এবং মহাকশের বিভিন্ন গ্রহ, নক্ষত্র ও সৌরমণ্ডলের উপর জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের নজর রাখতে সাহায্যে করে এই স্পেস টেলিস্কোপ।

মহাকাশের বিস্তীর্ণ অংশ ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য নাসার মূল হাতিয়ার হল এই স্পেস টেলিস্কোপ। দীর্ঘদিন ধরে মহাকাশের বিভিন্ন বিস্ময়কর ছবি আমাদের সামনে তুলে ধরেছে এই স্পেস টেলিস্কোপ। জ্যোতির্বিজ্ঞানে বিপ্লব আনতেই এই টেলিস্কোপের উদ্ভাবন হয়েছিল। মহাকাশ, ছায়াপথ, গ্রহ-নক্ষত্র… এইসব প্রসঙ্গে আদি ধারণা পরিবর্তন করে, নতুনভাবে সকলের কৌতূহল নিবারণের জন্যই আবিষ্কার করা হয়েছিল Hubble স্পেস টেলিস্কোপ। মিল্কি ওয়ে বা আকাশগঙ্গা ছাড়াও মহাকাশে যে আরও অসংখ্য ছায়াপথ রয়েছে সেই ধারণা দিয়েছে নাসার এই Hubble স্পেস টেলিস্কোপ।

আরও পড়ুন- Giant Red Star Explode: মৃত্যুর ঠিক আগের মুহূর্তে ভয়াবহ বিস্ফোরণ! প্রথমবার দৈত্যাকার লাল নক্ষত্রের মৃত্যু পর্যবেক্ষণ করলেন বিজ্ঞানীরা