মহাকাশের বিস্তীর্ণ অংশ ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য নাসার মূল হাতিয়ার হল Hubble Space Telescope। আর এই স্পেস টেলিস্কোপেই নতুন করে গন্ডগোল দেখা গিয়েছিল। প্রযুক্তিগত এই গোলযোগের কারণে বর্তমানে ‘সেফ মোড’- এ রয়েছে নাসার এই গুরুত্বপূর্ণ স্পেস টেলিস্কোপ। বিজ্ঞানীরা একপ্রকার বাধ্য হয়েছেন এই Hubble স্পেস টেলিস্কোপকে সেফ মোডে পাঠাতে। শুধুমাত্র মহাকাশ নয়, তার বাইরের অংশ আউটার স্পেসেরও অনেক রহস্যজনক ঘটনার সমাধান করেছে এই স্পেস টেলিস্কোপ। স্থিতিশীল এই টেলিস্কোপ জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মহলে সবসময়ই ভরসাযোগ্য।
আপাতত এই টেলিস্কোপে কী সমস্যা দেখা দিয়েছে তার জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং পর্যবেক্ষণ শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। ঠিক কীকারনে এই স্পেস টেলিস্কোপ স্বাভাবিক ভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে বাধা পাচ্ছে, সেটা খুঁজে বের করাই এখন বিজ্ঞানীদের মূল লক্ষ্য। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসার তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে যে এই Hubble স্পেস টেলিস্কোপে ‘synchronisation issues’ দেখা দিয়েছে। Hubble টেলিস্কোপের অন্তর্বির্তী কমিউনিকেশনের সঙ্গে মূলত এই synchronisation issues বা সমস্যা দেখা দিয়েছে। আপাতত এই সমস্যার সমাধান করে ৩০ বছরের পুরনো স্পেস টেলিস্কোপকে সঠিক জায়গায় ফিরিয়ে আনা নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে এখন একটা চ্যালেঞ্জ।
Hubble টেলিস্কোপ আসলে মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসা এবং ইউরোপীয়ান স্পেস এজেন্সির যৌথ উদ্যোগে নির্মিত একটি স্পেস টেলিস্কোপ। ১৯৯০ সালে প্রথম এটি লঞ্চ করা হয়েছিল। তারপর থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত ১.৩ মিলিয়নেরও বেশি পর্যবেক্ষণ করেছে এই স্পেস টেলিস্কোপ। কয়েক মাস আগেও একবার গোলযোগ দেখা দিয়েছিল Hubble স্পেস টেলিস্কোপে। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে প্রায় একমাস বন্ধ ছিল Hubble টেলিস্কোপের মহাকাশ পর্যবেক্ষণ। তবে আশা হারাননি নাসার বৈজ্ঞানিকরা। তাঁদের প্রচেষ্টায় ফের সফল ভাবে কাজ শুরু করেছিল Hubble টেলিস্কোপ।
জ্যোতির্বিজ্ঞানে বিপ্লব আনতেই এই টেলিস্কোপের উদ্ভাবন হয়েছিল। মহাকাশ, ছায়াপথ, গ্রহ-নক্ষত্র… এইসব প্রসঙ্গে আদি ধারণা পরিবর্তন করে, নতুনভাবে সকলের কৌতূহল নিবারণের জন্যই আবিষ্কার করা হয়েছিল Hubble স্পেস টেলিস্কোপ। মিল্কি ওয়ে বা আকাশগঙ্গা ছাড়াও মহাকাশে যে আরও অসংখ্য ছায়াপথ রয়েছে সেই ধারণা দিয়েছে নাসার এই Hubble স্পেস টেলিস্কোপ। Hubble স্পেস টেলিস্কোপের সাকসেসর হিসেবে James Webb স্পেস টেলিস্কোপও নির্মাণ করেছে নাসা। আগামী দিনে এই স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমেও মহাকাশের নতুন সব অত্যাশ্চর্য্য ছবি বিশ্ববাসী চাক্ষুষ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে মার্কিন স্পেস এজেন্সি।
আরও পড়ুন- Blue Origin: ব্যক্তিগত স্পেস স্টেশন ‘অরবিটাল রিফ’ লঞ্চ করতে চলেছে জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিন সংস্থা
আরও পড়ুন- আকাশগঙ্গা ছায়াপথের বাইরে প্রথম গ্রহের সন্ধান পেয়েছে নাসা!
আরও পড়ুন- Artemis 1: নাসা পিছিয়ে দিল Artemis- এর অভিযান, ২০২২ সালে হবে প্রথম উড়ান