মঙ্গলগ্রহে নতুন গন্তব্যের দিকে এগোচ্ছে রোভার পারসিভের্যান্স, ১২তম উড়ানের প্রস্তুতি নিচ্ছে Ingenuity
১২তম উড়ানের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে মার্স হেলিকপ্টার Ingenuity। ইতিমধ্যেই লালগ্রহে 174th sol (martian days) কাটিয়ে ফেলেছে এই হেলিকপ্টার। বর্তমানে মঙ্গলগ্রহের 'South Séítah এলাকা পর্যবেক্ষণ করছে Ingenuity।
লালগ্রহের পৃষ্ঠদেশে নতুন গন্তব্যের দিকে এগোচ্ছে নাসার পাঠানো রোভার পারসিভের্যান্স। এবার নতুন এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে এই রোভার। উল্লেখ্য, এর আগে মার্সিয়ান সয়েল বা মঙ্গলগ্রহের মাটি সংগ্রহে একবার ব্যর্থ হয়েছে পারসিভের্যান্স। তাই এবারের অভিযানে সফল হলে প্রথমবারের জন্য লালগ্রহের পৃষ্ঠদেশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে রোভার। আর পারসিভের্যান্সের সংগ্রহ করা এই নমুনা ফিরে আসবে পৃথিবীতে। এর আগের অভিযানের ব্যর্থতার কারণ হিসেবে নাসা বলেছিল, অদ্ভুত এক ধরনের নরম পাথর থাকায় সঠিক ভাবে নমুনা সংগ্রহ করতে পারেনি রোভার।
নাসার বিজ্ঞানীদের কথায়, প্রথমবার পারসিভের্যান্স যে পাথর সংগ্রহ করতে গিয়েছিল তা যথেষ্ট পরিমাণে শক্তিশালী ছিল না। ফলে ‘কোর স্যাম্পেল’ হিসেবে পরিগণিত হয়নি। আর ছোট ছোট পাউডারের গুঁড়োর মতো যে উপাদান গর্তের মধ্যে অবস্থিত ছিল তা পাথর ভঙ্গুর হয়ে যাওয়ার ফলেই সৃষ্টি হয়েছিল। প্রায় ৮ সেন্টিমিটার গভীর গর্ত খোঁড়া হয়েছিল মঙ্গলের বুকে। কিন্তু এই গর্ত সঠিকভাবে খোঁড়া হলেও, সফল ভাবে নমুনা সংগ্রহ সম্ভব হয়নি। এবার তাই আর কোনও সুযোগ রাখতে চায় বা রোভার। কয়েক সপ্তাহ আগে বর্তমান অবস্থান থেকে কিছুটা দূরে আস্তরণ পড়ে যাওয়া পাথরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। অনুমান এগুলো সেডিমেন্টারি রক। আপাতত সেদিকে অগ্রসর হচ্ছে মঙ্গলগ্রহে পাঠানো নাসার রোভার পারসিভের্যান্স। উল্লেখ্য, আগামী এক দশকের মধ্যে মঙ্গলগ্রহের থেকে ৩৫টি স্যাম্পেল সংগ্রহ করে পৃথিবীতে আনার পরিকল্পনা রয়েছে মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসার।
অন্যদিকে ১২তম উড়ানের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে মার্স হেলিকপ্টার Ingenuity। ইতিমধ্যেই লালগ্রহে 174th sol (martian days) কাটিয়ে ফেলেছে এই হেলিকপ্টার। বর্তমানে মঙ্গলগ্রহের ‘South Séítah এলাকা পর্যবেক্ষণ করছে Ingenuity। এই ১২তম উড়ানের ক্ষেত্রে দশম উড়ানের মতো বেশ কিছু location scouting পারফর্ম করা হবে। নতুন উড়ানের পর ফলাফল আরও নিখুঁত ভাবে পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা। একই ভাবে এই উড়ান বেশ জটিলও হতে চলেছে বলে শোনা গিয়েছে। এবারের উড়ানের যুক্ত থাকছে AutoNav capability। এর সাহায্যে রোভার পারসিভের্যান্স দ্রুত উত্তর-পূর্বে অগ্রসর হতে পারবে, দক্ষিণের ridge of Séítah (white path) বরাবর অগ্রসর হলে আগামী দিনে Ingenuity- র কাছাকাছি পৌঁছে যাবে রোভার। আপাতত পারসিভের্যান্স হেলিকপ্টার Ingenuity থেকে বেশ কিছুটা দূরে রয়েছে।
মঙ্গলগ্রহের দক্ষিণে থাকা Séítah এলাকার যে অংশের প্রতি বৈজ্ঞানিকদের সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ সেটি রয়েছে Séítah- এর পূর্ব ও উত্তরপূর্বে। লালগ্রহের পৃষ্ঠদেশ থেকে ১০ মিটার উঁচু দিয়ে প্রায় ২৩৫ মিটার অগ্রসর হয়ে ওই এলাকার কাছাকাছি পৌঁছবে মার্স হেলিকপ্টার Ingenuity। তারপর সারফেস টেরেনের স্পষ্ট ছবি তুলবে। স্টিরিও কিংবা থ্রিডি ইমেজ তোলা যাবে। দশ রঙের সংমিশ্রণের ছবি তুলতে আগ্রহী ইঞ্জিনিয়াররা। পর্যবেক্ষণ হয়ে গেলে আবার পূর্বের জায়গাতেই ফিরে আসবে Ingenuity।
আরও পড়ুন- সুমেরুপ্রভার অসাধারণ টাইমল্যাপস ভিডিয়ো দেখে স্বস্তির শ্বাস ফেলছেন নেটিজ়েনরা!