NASA X SpaceX: এবার নাসার তরফ থেকে পিঁপড়েকে মহাকাশে পাঠানো হল

কোভিডের প্যান্ডেমিকের কারণে অনেকটা দেরি হয়ে যায় এই প্রক্রিয়ার। কোভিড চলাকালীন স্পেসএক্সকে নানান বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হয়েছিল।

NASA X SpaceX: এবার নাসার তরফ থেকে পিঁপড়েকে মহাকাশে পাঠানো হল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 30, 2021 | 2:18 PM

স্পেসএক্স রবিবার দিন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের দিকে অ্যান্টস, অ্যাভোকাডো এবং মানুষের আকারের রোবট প্রেরণ করেছে।

এই ডেলিভারিটি নাসার জন্য কোম্পানির তরফ থেকে পাঠানো ২৩ তম প্রোডাক্ট। এই সমস্ত প্রোডাক্টগুলি সোমবার স্পেশ স্টেশনে পৌঁছে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

একটি রিসাইকেলেবেল ফ্যালকন রকেট নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে আকাশের দিকে রওয়ানা দেয়। ড্রাগন ক্যাপসুল আকাশ পথে রওয়ানা দেওয়ার পর, প্রথম পর্যায়ের বুস্টার স্পেসএক্সের নতুন ওয়েভের প্ল্যাটফর্মে সোজা অবতরণ করে, যার নাম দেওয়া হয় “A Shortfall of Gravitas“। স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্ক প্রয়াত বিজ্ঞান কথাসাহিত্যিক আইয়ান ব্যাঙ্কসকে বিশেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। মাস্ক তাঁর কালচারাল সিরিজের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বুস্টার-পুনরুদ্ধারের জাহাজগুলির নামকরণ করে ব্যক্তির বিজ্ঞআন জগতের অবদানকে স্মরণ করেছেন।

ড্রাগন প্রায় ৪,৮০০ পাউন্ড ওজনের (২,১৭০ কিলোগ্রাম) সরবরাহ বহন করছে। এছাড়াও এর মধ্যে সাতজন নভোচারীর জন্য অ্যাভোকাডো, লেবু এবং এমনকি আইসক্রিম সহ তাজা খাবার রাখা হয়েছে। এছাড়াও স্পেশ স্টেশনের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী আর পরীক্ষা নিরীক্ষার সরঞ্জামও থাকছে এর মধ্যে।

গার্ল স্কাউটরা পরীক্ষার বিষয় হিসাবে পিঁপড়ে ছাড়াও ব্রাইন চিংড়ি এবং উদ্ভিদ পাঠাচ্ছে। অন্যদিকে উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা মাউস-ইয়ার ক্রেস থেকে বীজ পাঠিয়েছেন। এটি মূলত জেনেটিক গবেষণায় ব্যবহৃত একটি ছোট ফুলের আগাছা। কংক্রিট, সোলার সেল এবং অন্যান্য উপকরণের নমুনাগুলিও ওজনহীনতায় প্রভাব ফেলবে।

একটি জাপানি স্টার্ট-আপ কোম্পানির পরীক্ষামূলক রোবটিক আর্ম এসবের মধ্যেই একটি বিশেষ কাজে ব্যস্ত থাকবে। এই রোবটটি কক্ষপথে অভিষেকের সময় আইটেমগুলিকে একসাথে স্ক্রু দিয়ে জোড়ার চেষ্টা করবে। এছাড়াও অন্যান্য মহাজাগতিক কাজগুলি করবে যা সাধারণত মহাকাশচারীদের করতে হয়। প্রথমদিকের পরীক্ষাগুলি স্পেশ স্টেশনের ভিতরে করা হবে। গিটাইয়ের রোবটের ভবিষ্যত প্রজন্মের মডেলগুলি স্যাটেলাইট এবং অন্যান্য মেরামতের কাজ করবে। এসব করার জন্য এরা মহাকাশের শূন্যতায় প্রবেশ করবে বলেই জানিয়েছেন প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা টয়োতাকা কোজুকি।

২০১৫ সালের প্রথম দিকে, এই যন্ত্রের একটি দল চাঁদে নিজেদের ঘাঁটি তৈরি করেছিল। এখানে মূল্যবান সম্পদের জন্য চাঁদের জমি খোদাই করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

কোভিডের প্যান্ডেমিকের কারণে অনেকটা দেরি হয়ে যায় এই প্রক্রিয়ার। কোভিড চলাকালীন স্পেসএক্সকে নানান বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হয়েছিল।

এই লঞ্চ ছিল দ্বিতীয় প্রচেষ্টা। তাদের শনিবারের প্রচেষ্টা ঝড়ো আবহাওয়ার জন্য ব্যর্থ হয়েছিল।

২০১১ সালে স্পেস শাটল কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর নাসা স্পেসএক্স এবং অন্যান্য ইউএস কোম্পানিকে স্পেস স্টেশনে কার্গো এবং ক্রু সরবরাহ করার জন্য আবেদন জানিয়েছিল।

আরও পড়ুন: গগনযানের প্রপালসান সিস্টেমের ‘হট টেস্ট’ সফল, আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে নাসা