আল্লু অর্জুন
আল্লু অর্জুন। প্রাথমিকভাবে তিনি তেলুগু ছবির অভিনেতা হলেও, এখন প্যান ইন্ডিয়া সুপারস্টার। ‘পুষ্পা’ই যেন তাঁর পরিচিতি। সঙ্গে কাল্ট ডায়লগ ‘ঝুঁকেগা নহি’। তেলুগু এই স্টারের হাত ধরেই সেরা অভিনেতা বিভাগে জাতীয় পুরস্কার প্রথমবার ঝুলিতে পুরেছে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কেরালাতে তিনি নিজেকে ‘মল্লু অর্জুন’ বলেই পরিচয় দেন। আল্লু একটা সময় পর্যন্ত ছিলেন সিনেপাড়ার ‘চকোলেট বয়’। সেই খোলস ছেড়ে নিজেকে সম্পূর্ণ পাল্টে ফেলে এখন সারা দেশের হার্টথ্রব। ভালবেসে বিয়ে করেন স্নেহা রেড্ডিকে। তাঁদের এক পুত্র ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে। দক্ষিণী তারকাদের মধ্যে তিনিই প্রথম, যাঁর নাম ‘ফোর্বস ম্যাগাজিন’-এ ওঠে (সর্বোচ্চ আয়ের নিরিখে)। ১৯৮৫ সালে ‘বিজেতা’ ছবি দিয়ে তাঁর সিনেদুনিয়ায় যাত্রা শুরু। ‘পুষ্পা’ ছবি তাঁর কেরিয়ারের অন্য়তম মাইল স্টোন। দক্ষিণী স্টার রাম চরণ, চিরঞ্জীবী তাঁর পরিবারের সদস্য। তাঁর ঠাকুরদা ছিলেন বিখ্যাত কমেডিয়ান আল্লু রামালিঙ্গাইয়া। এখন সিনেপাড়ায় আল্লু অর্জুনের চাহিদা তুঙ্গে। ‘পুষ্পা’র পর আল্লুর জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়েছে যে, এক লাফে দ্বিগুণ হয়েছে তাঁর পারিশ্রমিক। গানের গলাও নেহাতও খারাপ নয় আল্লুর। দু’টি গানও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে, যা মুক্তি পেয়েছিল যথাক্রমে ২০১০ ও ২০১২ সালে। আল্লুর কেরিয়ারে রয়েছে একের পর এক ব্লকবাস্টার ছবি। ‘পুষ্পা’-র নাম তুঙ্গে থাকলেও রয়েছে ‘সারাইনড়ু’, ‘আর্য’, ‘ডিজে ধুভাদা জগন্নাধাম’, ‘বদ্রীনাথ’, ‘রুদ্রমাদেবী’র মতো ছবি। তাঁর লাইফ স্টাইল রীতিমত অবাক করে অনুরাগীদের। আল্লুর কাস্টমাইজ়়ড সিগনেচার ‘AA’ গাড়ির চাকা থেকে শুরু করে তাঁর বাড়ির সর্বত্র নজরে আসে।