ISRO Space Tourism: ২০৩০-এই মহাকাশ ভ্রমণে যেতে পারবেন ভারতীয়রা!
ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, ভারতে ‘স্পেস ট্যুরিজম’ চালুর পরিকল্পনা চলছে। এমনকী মহাকাশ ভ্রমণের জন্য টিকিটের মূল্যও নির্ধারণ করা হয়ে গিয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যেই ভারতে শুরু হয়ে যাবে স্পেস ট্যুরিজম
আর কিছুদিনের মধ্যেই মহাকাশ ভ্রমণের সুযোগ পাবেন আপনিও। মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর সৌজন্যে ২০৩০ এর মধ্যেই মহাকাশ ভ্রমণে যেতে পারবেন ভারতীয়রা। ঘোষণা ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর আধিকারিকদের । ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, ভারতে ‘স্পেস ট্যুরিজম’ চালুর পরিকল্পনা চলছে। এমনকী মহাকাশ ভ্রমণের জন্য টিকিটের মূল্যও নির্ধারণ করা হয়ে গিয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যেই ভারতে শুরু হয়ে যাবে স্পেস ট্যুরিজম। স্পেস টুরিজমের নিজস্ব মডিউল থাকবে ইসরোর কাছেও। আর ৭ বছরের মধ্যে মহাকাশযানে চেপে স্পেস স্যুট পরে ঘুরে আসতে পারবেন মহাকাশ থেকে। যাঁরা এই স্পেস ট্যুরিজমের অংশ হবেন, তাঁদের নাম সরাসরি যুক্ত হয়ে যাবে অ্যাস্ট্রোনটদের সঙ্গে। মহাকাশে বেড়াতে গেলে আপনাকে ৬ কোটি টাকা দিয়ে আসন বুক করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই টাকার অঙ্কে সাব অরবিটাল স্পেসেই ট্যুর করাবে ইসরো।
যদিও এই টিকিটের মূল্য গ্লোবাল মার্কেট খতিয়ে দেখেই নির্ধারণ করা হয়েছে। টেলসার মালিক ইলন মাস্ক বলেছিলেন আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মানুষ মঙ্গলে পৌঁছে যাবে। সেই এলন মাস্কেরও রয়েছে ‘স্পেস ট্যুরিজম’-এর ব্যবসা। সংস্থার নাম স্পেসএক্স আরও দু’টি সংস্থা রয়েছে যারা এই স্পেস ট্যুরিজমে ব্লু অরিজিন ও ভার্জিন গ্যালাকটিক । ৪৫০,০০০ ডলার ভারতীয় মূল্যে প্রায় ৪ কোটি টাকা থেকে শুরু হয় স্পেসফ্লাইটের টিকিট। ২০২১-এ যখন ভার্জিন গ্যালাকটিকের ফ্লাইট প্রায় ৫৩ মাইল পৌঁছে গিয়েছে, তখন ব্লু অরিজিনের ফ্লাইট উড়ছিল ৬২ মাইল উপরে । ব্লু অরিজিন ২০২১ এ তিনটি ফ্লাইটে ১৪ জন মানুষকে মহাকাশে পাঠিয়েছিল। ২০২২ এ প্রথম ছ’জন পর্যটককে ব্লু অরিজিন নিয়ে নিউ শেপার্ড-২০ মিশনে গিয়েছিল। প্রায় দুই দশকের প্রচেষ্টার পর ব্লু অরিজিন এখন স্পেস ট্যুরিজম প্রধান মুখ। এবার সেই স্পেস ট্যুরিজমে নিজের জায়গা করে নিতে চলেছে ইসরো ।