কুমারটুলিতে কি টোল বসেছে? মাটির প্রতিমার জায়গায় এ যে দেখি জ্যান্ত সরস্বতী-গণেশ
১১ বছরের ছেলেকে নিয়ে শহরের এক প্রান্তে বেহালা থেকে অন্য প্রান্ত কুমোরটুলিতে এসেছেন তার মা সুনন্দা সেন। জানালেন,"একে লকডাউন ঘরবন্দি। তার ওপর অনলাইন পড়াশোনা।
কুমোরটুলির পাঠশালায়। ঠাকুর তৈরির পাঠশালা।
অবাক হচ্ছেন? আরও অবাক হবেন যদি শোনেন এদের অভিভাবকের কথা।
যিনি শেখাচ্ছেন তিনি মালা দিদিমণি। মালা পাল। কুমারটুলির মহিলা শিল্পী। এর জায়গায় আরও কয়েকটা মূর্তি গড়ে ফেললে হতো না? অনেকে বড় হয়ে ঠাকুর তৈরির কাজ করছেন। মালা পাল বলেন, “এই সময়টা পুজোর কাজের সময় । কিন্তু এই ছেলেমেয়েরা মাটির ঠাকুর তৈরি করতে খুব উৎসাহী। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম তৈরি করতে গেলে এদের অবহেলা করি কী করে।”
১১ বছরের ছেলেকে নিয়ে শহরের এক প্রান্তে বেহালা থেকে অন্য প্রান্ত কুমোরটুলিতে এসেছেন তার মা সুনন্দা সেন। জানালেন,”একে লকডাউন ঘরবন্দি। তার ওপর অনলাইন পড়াশোনা। মাটি নিয়ে ঘাঁটতে মাটির মূর্তি তৈরী করতে খুব ভালবাসে। মাঝে করোনার জন্য শিখতে আসা বন্ধ হয়েছিল। অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হতেই আর ধরে রাখা যায়নি ছেলেকে। মালাদির এই পাঠশালায় চলে এসেছে।”
কুমোরটুলিতে সবাই যান থাকুর গড়া দেখতে। কিন্তু ঠাকুর গড়া শিখতে কুমোরটুলি যেতে দেখেছেন কাউকে? মাঝে মাঝে মালা পালের স্টুডিওতে গেলে সেটা নজরে পড়বে আপনার। ছোট্ট স্টুডিওর সামনে ছোট-ছোট জুতো ছাড়া। হচ্ছেটা কী ভেতরে? ঠাকুর গড়া শিখছে ছোটরা।