Howrah Murder News: চলছিল বিচ্ছেদ মামলা,তারমধ্যেই…

TV9 Bangla Digital | Edited By: Tapasi Dutta

Aug 28, 2023 | 5:04 PM

বছর দেড়েক আগে ডোমজুড়ের শলপ হাজরা পাড়া বাসিন্দা অনুশ্রী হাজরা (২৪) সঙ্গে পাশের সলপ বটতলা পাড়ার চন্দন মাঝির বিয়ে হয়। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও দুই পরিবারের সম্মতিতেই এই বিয়ে। অনুশ্রী নাচতে ভালবাসতেন। তার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরাও তা জানতো। অনুশ্রীর পরিবারের লোকের অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই তাকে অনুষ্ঠানে নাচতে বাধা দিত।

বছর দেড়েক আগে ডোমজুড়ের শলপ হাজরা পাড়া বাসিন্দা অনুশ্রী হাজরা (২৪) সঙ্গে পাশের সলপ বটতলা পাড়ার চন্দন মাঝির বিয়ে হয়। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও দুই পরিবারের সম্মতিতেই এই বিয়ে। অনুশ্রী নাচতে ভালবাসতেন। তার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরাও তা জানতো। অনুশ্রীর পরিবারের লোকের অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই তাকে অনুষ্ঠানে নাচতে বাধা দিত। এমনকি তাকে বেধড়ক মারধর করত। শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মাস ছয় আগে সে বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন। সেখান থেকে সে মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভের চাকরি করত। এছাড়াও বাচ্চাদের নাচ শেখাতেন। গত শনিবার তার জন্মদিন ছিল। গতকাল সেই জন্মদিন অনুষ্ঠান করার জন্য বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনদের নিমন্ত্রণ করেন। বাড়িতে কেক এবং বিরিয়ানির ব্যবস্থা করেন। কিন্তু গতকাল রাতে খুন হয়ে যাবার পর সেগুলো একই অবস্থায় পড়ে আছে।

কি ঘটেছিল গতকাল রাতে? পরিবারের লোকজন জানাচ্ছেন বন্ধুর বাড়িতে যাবার জন্য অনুশ্রী সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। গতকাল রাত আটটা নাগাদ সে বাড়িতে ফিরছেন বলে মায়ের সঙ্গে কথা হয়। এরপরই ঝালুয়ারবেড় এলাকায় নির্জন এবং অন্ধকার রাস্তায় মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপে খুন হন অনুশ্রী। তার রক্তাক্ত দেহ পড়েছিল একসরা রোডে। কাপড় দিয়ে চোখ বাধা ছিল। দেহের পাশে পড়েছিল একটি ভ্যানিটি ব্যাগ। সেই ব্যাগে পাওয়া আধার কার্ড থেকে মৃতার পরিচয় পায় পুলিশ। এরপরই ডোমজুড় থানার পুলিশ ওই পরিবারকে ফোন করে থানায় ডাকে। পুলিশ তাদের দ্রুত ডোমজুড় থানায় আসতে বলে। সেখানে গিয়েই ওই পরিবার জানতে পারে তাদের আদরের মেয়ে আর নেই। তাকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে ডোমজুড় থানার পুলিশ তার স্বামী চন্দন মাঝিকে আটক করে। ইতিমধ্যেই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে চন্দনকে । প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝামেলা চলছিল। তাকে সে সন্দেহ করত। এর জেরে খুন কিনা খতিয়ে দেখছে ডোমজুড় থানার পুলিশ।সরাসরি চন্দন এই খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কিনা বা অন্য কেউ খুন করল কিনা।পাশাপাশি খুনের সময় কি অস্ত্র ব্যবহার করাহয়েছিল তা জানতে চন্দনকে আগামীকাল হাওড়া আদালতে তোলা হবে এবং পুলিশি হেফাজতের জন্য আবেদন করা হবে।