লকডাউনে বিপন্ন মানুষের ছবি এঁকে তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন শিল্পী
৪২টা পোট্রেট একটা পুরানো ডায়েরিতে এঁকেছিলেন বহরমপুরের শিল্পী কৃষ্ণজিৎ সেনগুপ্ত।যখন তাঁদের দেখেছেন কৃষ্ণজিৎ তখনই ঠিক করেছেন রেখার আঁচড়ে ধরে রাখবেন তাঁদের বিপন্নতা। কিন্তু তা বলে কখনওই যেন বেআব্রু না হয়ে পড়ে তাঁদের পরিচয়। তাই একটু-আধটু বদলে দিলেন স্কেচ। ওই ডায়েরিই হয়ে উঠল পূর্ণাঙ্গ বই 'নিরন্ন কর্মহীন'।
লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত যাঁদের জীবন ও জীবিকা তাঁদের ৪২টা পোট্রেট একটা পুরানো ডায়েরিতে এঁকেছিলেন বহরমপুরের শিল্পী কৃষ্ণজিৎ সেনগুপ্ত। যখন তাঁদের দেখেছেন কৃষ্ণজিৎ তখনই ঠিক করেছেন রেখার আঁচড়ে ধরে রাখবেন তাঁদের বিপন্নতা। কিন্তু তা বলে কখনওই যেন বেআব্রু না হয়ে পড়ে তাঁদের পরিচয়। তাই একটু-আধটু বদলে দিলেন স্কেচ। ওই ডায়েরিই হয়ে উঠল পূর্ণাঙ্গ বই ‘নিরন্ন কর্মহীন’। কৃষ্ণজিৎ ও তাঁর বন্ধুরা ঠিক করলেন পিডিএফ ফাইল তৈরি করে শুভ্যানুধায়ীদের কাছে আশি টাকায় বিক্রি করবেন। আর সংগৃহিত অর্থ দিয়ে সাহায্য করা হবে সেইসব মানুষকেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় ৪২ পাতার পিডিএফ বইটি। কলকাতা, মুম্বই, দিল্লি, হায়দরাবাদ, আসাম ছাড়াও দেশের বাইরে থেকে আসতে থাকে অনুদান। লস এঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, সুইৎজারল্যান্ড, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর থেকেও আসে অনুদান। প্রায় ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ওঠে চোখের নিমেষে। ওই টাকায় প্রাথমিক ভাবে কিছু মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার ও জীবিকার সামগ্রী কেনার পর কৃষ্ণজিৎরা বানিয়ে ফেলেন একটা প্রকল্প। লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের বিনা সুদে দেওয়া শুরু হল ঋণ। বেশ কিছু নিরন্ন কর্মহীনের মুখে আশার আলো দেখাল ৪২ পাতার সেই ছোট্ট পিডিএফ ফাইল।