প্রতি মুহূর্তে প্রাণের ভয়, খুনের হুমকি নিয়ে দিন কাটানো। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম – একই অবস্থা। অন্তবর্তী সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে রাস্তায় নামলেন বাংলাদেশের হিন্দুরা। শুক্রবার চট্টগ্রামে প্রায় ৩০ হাজার হিন্দু মিছিলে হেঁটেছেন। আগামীদিনে বাংলাদেশে অন্য শহরগুলিতেও প্রতিবাদ-বিক্ষোভে সামিল হবেন সেদেশের সংখ্যালঘুরা। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সংগঠনগুলোর অভিযোগ শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকে হিন্দুদের উপর নির্যাতন থামছে না। সরকারি, বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। ঘরবাড়ি দখল হয়ে যাচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসন পাশে দাঁড়াচ্ছে না। এইরকম বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে সরকারকে গুচ্ছ, গুচ্ছ চিঠি দিয়েও লাভ হয়নি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সবচেয়ে বড় সংগঠন, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ইউনিটি কাউন্সিল বলছে, সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর, সম্পত্তির দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে দুষ্কৃতীরা। ইতিমধ্যেই কয়েকশো পরিবারকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে হয়েছে। ওদেশে ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে হিন্দুদের সংখ্যা কমবেশি ১ কোটি ৩০ লক্ষ। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরই নিয়ম করে হিন্দুদের আশ্বাস দিয়ে আসছে অন্তবর্তী সরকার। কিন্তু বাস্তবটা একেবারে উলটো বলেই অভিযোগ সেদেশের সংখ্যালঘু সংগঠনগুলোর।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সরকারের উপর আমেরিকার প্রভাব আমাদের কারও অজানা নয়, কিন্তু ভোটের মুখে তাদের বোধহয় এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গ খুঁচিয়ে তুলেছেন বটে। কিন্তু আমি একে মার্কিন মুলুকের হিন্দু ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই বলতে পারছি না। অন্যদিকে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকার ঠিক কী করতে চাইছে, সেটা ওদেশের বহু মানুষ বুঝতে পারছেন না। সরকার জানিয়েছিল আগে নির্বাচনী সংস্কার, তারপর ভোট। বাংলাদেশের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল আবার তাতে নারাজ। বিএনপি তো খোলাখুলি বলছে যে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করার জন্যই অন্তবর্তী সরকার গঠন করা হয়েছিল। অথচ ভোট নিয়ে তেমন কোনও তত্পরতাই দেখা যাচ্ছে না। এর মধ্যে আবার জাতীয় পার্টির অফিসে আগুনও লাগানো হয়েছে। খাবার-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম বাড়া নিয়ে ৩ মাসের মধ্যেই ইউনুস প্রশাসনের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভও ক্রমশ চড়ছে। এখানেই শেষ নয়। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে নতুন করে বিদ্যুত্ বিপর্যয়ের মুখেও পড়তে চলেছে বাংলাদেশ। বকেয়া টাকা না পেলে বিদ্যুত্ সরবরাহ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কাটছাঁট করার ইঙ্গিত দিয়েছে আদানি গ্রুপ। সেটা হলে বাংলাদেশের বড় অংশে আবার লোডশেডিং শুরু হবে। সরকারও আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে পারছে না।
প্রতি মুহূর্তে প্রাণের ভয়, খুনের হুমকি নিয়ে দিন কাটানো। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম – একই অবস্থা। অন্তবর্তী সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে রাস্তায় নামলেন বাংলাদেশের হিন্দুরা। শুক্রবার চট্টগ্রামে প্রায় ৩০ হাজার হিন্দু মিছিলে হেঁটেছেন। আগামীদিনে বাংলাদেশে অন্য শহরগুলিতেও প্রতিবাদ-বিক্ষোভে সামিল হবেন সেদেশের সংখ্যালঘুরা। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সংগঠনগুলোর অভিযোগ শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকে হিন্দুদের উপর নির্যাতন থামছে না। সরকারি, বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। ঘরবাড়ি দখল হয়ে যাচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসন পাশে দাঁড়াচ্ছে না। এইরকম বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে সরকারকে গুচ্ছ, গুচ্ছ চিঠি দিয়েও লাভ হয়নি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সবচেয়ে বড় সংগঠন, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ইউনিটি কাউন্সিল বলছে, সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর, সম্পত্তির দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে দুষ্কৃতীরা। ইতিমধ্যেই কয়েকশো পরিবারকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে হয়েছে। ওদেশে ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে হিন্দুদের সংখ্যা কমবেশি ১ কোটি ৩০ লক্ষ। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরই নিয়ম করে হিন্দুদের আশ্বাস দিয়ে আসছে অন্তবর্তী সরকার। কিন্তু বাস্তবটা একেবারে উলটো বলেই অভিযোগ সেদেশের সংখ্যালঘু সংগঠনগুলোর।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সরকারের উপর আমেরিকার প্রভাব আমাদের কারও অজানা নয়, কিন্তু ভোটের মুখে তাদের বোধহয় এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গ খুঁচিয়ে তুলেছেন বটে। কিন্তু আমি একে মার্কিন মুলুকের হিন্দু ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই বলতে পারছি না। অন্যদিকে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকার ঠিক কী করতে চাইছে, সেটা ওদেশের বহু মানুষ বুঝতে পারছেন না। সরকার জানিয়েছিল আগে নির্বাচনী সংস্কার, তারপর ভোট। বাংলাদেশের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল আবার তাতে নারাজ। বিএনপি তো খোলাখুলি বলছে যে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করার জন্যই অন্তবর্তী সরকার গঠন করা হয়েছিল। অথচ ভোট নিয়ে তেমন কোনও তত্পরতাই দেখা যাচ্ছে না। এর মধ্যে আবার জাতীয় পার্টির অফিসে আগুনও লাগানো হয়েছে। খাবার-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম বাড়া নিয়ে ৩ মাসের মধ্যেই ইউনুস প্রশাসনের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভও ক্রমশ চড়ছে। এখানেই শেষ নয়। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে নতুন করে বিদ্যুত্ বিপর্যয়ের মুখেও পড়তে চলেছে বাংলাদেশ। বকেয়া টাকা না পেলে বিদ্যুত্ সরবরাহ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কাটছাঁট করার ইঙ্গিত দিয়েছে আদানি গ্রুপ। সেটা হলে বাংলাদেশের বড় অংশে আবার লোডশেডিং শুরু হবে। সরকারও আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে পারছে না।