Bankura Farmers: আমন চাষে মাথায় হাত!

TV9 Bangla Digital | Edited By: সুপ্রিয় ঘোষ

Jul 20, 2023 | 5:20 PM

গতবছর বৃষ্টি না পেয়ে জেলার পঞ্চাশ শতাংশেরও বেশি জমি থেকে গিয়েছিল অনাবাদী। বাঁকুড়া জেলায় বৃষ্টির ঘাটতি ৬০ শতাংশ। আমন চাষ নিয়ে শঙ্কায় জেলার কয়েকলক্ষ আমন চাষী।

গতবছর বৃষ্টি না পেয়ে জেলার পঞ্চাশ শতাংশেরও বেশি জমি থেকে গিয়েছিল অনাবাদী। এবার জুলাই শেষ হতে চললেও ভারী বৃষ্টির দেখা নেই বাঁকুড়া জেলায়। কৃষি দফতরের হিসেবে এখনো পর্যন্ত বাঁকুড়া জেলায় বৃষ্টির ঘাটতি ৬০ শতাংশ। ফলে জুলাইয়ের শেষেও মাত্র ৩ শতাংশ জমিতে আমন রোপণের কাজ শেষ হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে সিঁদূরে মেঘ দেখছেন জেলার আমন চাষীরা। যদিও বাঁকুড়া জেলা কৃষি দফতর জানিয়েছে এখনই আশঙ্কার মতো পরিস্থিতি তৈরী হয়নি। এখনো ভারী বৃষ্টি হলে আমন চাষ হবে স্বাভাবিক ভাবেই।

বাঁকুড়া জেলার অধিকাংশ জমিতেই সেচের তেমন সুবিধা নেই। ফলে এই জেলার অধিকাংশ জমির আমন চাষ বৃষ্টি নির্ভর। গতবছর এল নিনোর প্রভাবে সময়ে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় অধিকাংশ জমিতে ধান রোপণের কাজ করতে পারেননি জেলার অধিকাংশ কৃষক। এবার জুলাই এর দুই তৃতীয়াংশ পেরিয়ে গেলেও এখনো ভারী বৃষ্টি না পাওয়ায় আমনের জমি তৈরীর কাজ শুরুই করতে পারেনি জেলার আমন চাষীরা। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গেছে জুন ও জুলাই মাস মিলিয়ে বাঁকুড়া জেলায় সাধারণত বৃষ্টিপাত হয় ৫৪৬ মিলিমিটার। এর মধ্যে শুধুমাত্র জুলাই মাসেই বৃষ্টি হয় ৩১৯ মিলিমিটার। এবছর জুন ও জুলাই মিলিয়ে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ২১৪ মিলিমিটার। শুধুমাত্র জুলাই মাসে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ১০১ মিলিমিটার। অর্থাৎ বর্ষার দুমাস মিলিয়ে জেলায় বৃষ্টির ঘাটতি প্রায় ৬০ শতাংশ। কৃষি দফতর চলতি বছর জেলায় আউশ ও আমন মিলিয়ে খারিফ চাষের লক্ষমাত্রা স্থির করেছে ৩ লক্ষ ৩৯ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে মাত্র ১০ হাজার হেক্টর জমিতে ধান রোপনের কাজ হয়েছে। অর্থাৎ জুলাই এর ২০ তারিখ পর্যন্ত মোট লক্ষমাত্রার মাত্র ৩ শতাংশ জমিতে ধান রোপন সম্ভব হয়েছে। কৃষি দফতরের দাবী এর বেশিরভাগ অংশই সেচসেবিত জমি। এদিনে জলের অভাবে রোপনের জমি তৈরী না হওয়ায় অধিকাংশ বীজতলায় ধানের চারার বয়স ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেশি বয়সের চারা রোপন করলে সেক্ষেত্রে ফলন হ্রাস পাওয়ার যেমন সম্ভাবনা থাকছে তেমনই ভারী বৃষ্টি না হলে চারা আদৌ রোপণ করা যাবে কিনা তা নিয়েও চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা তৈরী হয়েছে। যদিও কৃষি দফতর জানিয়েছে ধান রোপনের জন্য এখনো অনেকটা সময় হাতে রয়েছে। এর মধ্যে ভারী বৃষ্টি হলেই রোপন প্রক্রিয়া গতিলাভ করবে। স্বাভাবিক ভাবেই সেই ভারী বৃষ্টির অপেক্ষাতেই এখন হা পিত্যেশ করে বসে রয়েছে জেলার লক্ষ লক্ষ আমন চাষী।