BUDGET 2023: ‘ম্যাডাম, আমাদের জন্য সহজে ঋণের ব্যবস্থা করুন’, নির্মলাকে খোলা চিঠি এক স্বনির্ভর যুবকের

Jan 19, 2023 | 6:57 PM

Union Budget 2023: উত্তরপ্রদেশের বেরিলির বাসিন্দা সচিন সারস্বত। উচ্চ মাধ্যমিক পাস তিনি। তিনি স্বনির্ভর, সোনার আংটি তৈরি করেন। সহজে ঋণ পাওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে খোলা চিঠি লিখলেন তিনি।

Follow Us

নমস্কার নির্মলা ম্যাডাম,

প্রথমেই আপনাকে জানাই আসন্ন বাজেটের জন্য আগাম শুভেচ্ছা। আমি সচিন সারস্বত, উত্তরপ্রদেশের বেরিলির বাসিন্দা। আমি দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছি। পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে শেখা দক্ষতার উপর নির্ভর করে কোনওমতে সংসারের হাল ধরেছি আমি। আমি সোনার আংটি বানাই। শহরের সেরা কারিগরদের মধ্যে আমি একজন। আমার ভাই শিবমও আমার সঙ্গে এই আংটি তৈরির কাজ করে। আর সে আমার চেয়েও ভালো কারিগর। আগে
আমরা একটা দোকানে কাজ করতাম। কিন্তু বছর খানেক আগে আমরা দু-ভাই, নিজেরাই ব্যবসা শুরু করি। যখন দোকানে কাজ করতাম, তখন ভালই রোজগার হত। কিন্তু লকডাউন ও করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে সেই কাজের পরিবেশও শেষ হয়ে যায়। তারপর আমরা নিজেরাই ব্যবসা শুরু করি। আমাদের যা সঞ্চয় ছিল তাও শেষ হয়ে গিয়েছে নতুন ব্যবসা শুরু করতে গিয়ে। এ ছাড়াও, আমরা দেড় লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছি। সেই বোঝাও রয়েছে আমাদের মাথায়।

আমার বাড়িতে মা, বাবা, বোন রয়েছে। আমার বাবা সম্প্রতি একটি ছোট সংস্থায় সিকিউরিটি গার্ডের কাজ শুরু করেছেন। স্থানীয় একটি এটিএমের বাইরে তাঁর দৈনিক ১২ ঘণ্টা ডিউটি। আর মাসের শেষে হাতে আসে মাত্র সাড়ে আট হাজার টাকা। মা ও বোন বাড়তি কিছু রোজগারের আশায় বাড়িতে সেলাইয়ের কাজও শুরু করেছে। কোনওরকমে আমাদের সংসার চলছে। আগে আমরা দু-ভাই বাবা-মাকে কোনও কাজ করতে দিতাম না। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে, তাই বাবা-মাকেও কাজ করতে হচ্ছে।

এখন বাজারে সোনার আংটির চাহিদা আছে। কিন্তু আংটি তৈরি করতে যে পরিমাণ কাঁচা সোনার প্রয়োজন হয়, তা ধারে দিতে কেউ রাজি নয়।
আমাদের হাতে কোনও পুঁজিও নেই। তাই আমরা যদি এখন ৫-৬ লাখ টাকা পাই, তাহলে ব্যবসাটাকে একটু দাঁড় করাতে পারি। অনেক সুন্দর আংটি আমরা বাজারে বানাতে পারি। যা সকলেই পছন্দ করবে।

ম্যাডাম, ব্যাঙ্কে আমাদের মত স্ব-নির্ভর মানুষদের জন্য ঋণের বিশেষ কোনও প্রকল্প নেই। ফলে আমরা মহাজনের কাছ থেকে অনেক বেশি সুদে ঋণ নিতে বাধ্য হই। সেই সুদ পরিশোধের পর হাতে প্রায় কিছুই থাকে না। আমরা যেখানে মাল সরবরাহ করে থাকি, সেখানকার দোকানদাররাও এখন কঠোর হয়ে গিয়েছেন। তাঁরা আমাদের কাছ থেকে মাল নিয়ে কিস্তিতে টাকা দেন। এতেও আমরা সমস্যায় পড়েছি।

ম্যাডাম, এবারের বাজেটে এমন কিছু করুন যাতে আমরা কাজ করার জন্য কিছু পুঁজি হাতে পাই। আমাদের মতো মানুষদের জন্যও সহজ কিস্তিতে ঋণ নেওয়ার পথ আপনি এই বাজেটে দেখাবেন আশা রাখছি। আমরা সততার সঙ্গে সময়ে ঋণ পরিশোধ করব। কিন্তু আপনি কিছু করুন, নতুবা না খেতে পেয়ে আমরা মারা যাব।

ম্যাডাম আমি মাঝরাতে ঠান্ডায় বসে এই চিঠি লিখছি। আমার হাতে আংটি তৈরির জন্য এখন কোনও পুঁজি নেই। তাই হাতে কাজও নেই। আমি আর শিবম কিছু টাকার জন্য আজ সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছি, কিন্তু কোথাও এর সুরাহা হয়নি। এই বাজেট নিয়ে আপনার কাছে আমাদের অনেক আশা। আশা করি আপনি আমার মত লক্ষ লক্ষ মানুষকে হতাশ করবেন না।

আপনার অনুগত
সচিন

নমস্কার নির্মলা ম্যাডাম,

প্রথমেই আপনাকে জানাই আসন্ন বাজেটের জন্য আগাম শুভেচ্ছা। আমি সচিন সারস্বত, উত্তরপ্রদেশের বেরিলির বাসিন্দা। আমি দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছি। পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে শেখা দক্ষতার উপর নির্ভর করে কোনওমতে সংসারের হাল ধরেছি আমি। আমি সোনার আংটি বানাই। শহরের সেরা কারিগরদের মধ্যে আমি একজন। আমার ভাই শিবমও আমার সঙ্গে এই আংটি তৈরির কাজ করে। আর সে আমার চেয়েও ভালো কারিগর। আগে
আমরা একটা দোকানে কাজ করতাম। কিন্তু বছর খানেক আগে আমরা দু-ভাই, নিজেরাই ব্যবসা শুরু করি। যখন দোকানে কাজ করতাম, তখন ভালই রোজগার হত। কিন্তু লকডাউন ও করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে সেই কাজের পরিবেশও শেষ হয়ে যায়। তারপর আমরা নিজেরাই ব্যবসা শুরু করি। আমাদের যা সঞ্চয় ছিল তাও শেষ হয়ে গিয়েছে নতুন ব্যবসা শুরু করতে গিয়ে। এ ছাড়াও, আমরা দেড় লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছি। সেই বোঝাও রয়েছে আমাদের মাথায়।

আমার বাড়িতে মা, বাবা, বোন রয়েছে। আমার বাবা সম্প্রতি একটি ছোট সংস্থায় সিকিউরিটি গার্ডের কাজ শুরু করেছেন। স্থানীয় একটি এটিএমের বাইরে তাঁর দৈনিক ১২ ঘণ্টা ডিউটি। আর মাসের শেষে হাতে আসে মাত্র সাড়ে আট হাজার টাকা। মা ও বোন বাড়তি কিছু রোজগারের আশায় বাড়িতে সেলাইয়ের কাজও শুরু করেছে। কোনওরকমে আমাদের সংসার চলছে। আগে আমরা দু-ভাই বাবা-মাকে কোনও কাজ করতে দিতাম না। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে, তাই বাবা-মাকেও কাজ করতে হচ্ছে।

এখন বাজারে সোনার আংটির চাহিদা আছে। কিন্তু আংটি তৈরি করতে যে পরিমাণ কাঁচা সোনার প্রয়োজন হয়, তা ধারে দিতে কেউ রাজি নয়।
আমাদের হাতে কোনও পুঁজিও নেই। তাই আমরা যদি এখন ৫-৬ লাখ টাকা পাই, তাহলে ব্যবসাটাকে একটু দাঁড় করাতে পারি। অনেক সুন্দর আংটি আমরা বাজারে বানাতে পারি। যা সকলেই পছন্দ করবে।

ম্যাডাম, ব্যাঙ্কে আমাদের মত স্ব-নির্ভর মানুষদের জন্য ঋণের বিশেষ কোনও প্রকল্প নেই। ফলে আমরা মহাজনের কাছ থেকে অনেক বেশি সুদে ঋণ নিতে বাধ্য হই। সেই সুদ পরিশোধের পর হাতে প্রায় কিছুই থাকে না। আমরা যেখানে মাল সরবরাহ করে থাকি, সেখানকার দোকানদাররাও এখন কঠোর হয়ে গিয়েছেন। তাঁরা আমাদের কাছ থেকে মাল নিয়ে কিস্তিতে টাকা দেন। এতেও আমরা সমস্যায় পড়েছি।

ম্যাডাম, এবারের বাজেটে এমন কিছু করুন যাতে আমরা কাজ করার জন্য কিছু পুঁজি হাতে পাই। আমাদের মতো মানুষদের জন্যও সহজ কিস্তিতে ঋণ নেওয়ার পথ আপনি এই বাজেটে দেখাবেন আশা রাখছি। আমরা সততার সঙ্গে সময়ে ঋণ পরিশোধ করব। কিন্তু আপনি কিছু করুন, নতুবা না খেতে পেয়ে আমরা মারা যাব।

ম্যাডাম আমি মাঝরাতে ঠান্ডায় বসে এই চিঠি লিখছি। আমার হাতে আংটি তৈরির জন্য এখন কোনও পুঁজি নেই। তাই হাতে কাজও নেই। আমি আর শিবম কিছু টাকার জন্য আজ সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছি, কিন্তু কোথাও এর সুরাহা হয়নি। এই বাজেট নিয়ে আপনার কাছে আমাদের অনেক আশা। আশা করি আপনি আমার মত লক্ষ লক্ষ মানুষকে হতাশ করবেন না।

আপনার অনুগত
সচিন

Next Video