Dilip Ghosh News: দিলীপ ঘোষকে নিয়ে জাগো বাংলায় লেখা, দলে টানতে চায় ‘সহানুভূতিশীল’ তৃণমূল?

Aug 24, 2022 | 4:34 PM

Trinamool On Dilip Ghosh: পরপর তিনদিন সিবিআই নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ। তাঁর বেফাঁস মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপিও। এই পরিস্থিতিতেই আসরে তৃণমূল। দিলীপের প্রতি সহানুভূতিশীল লেখা তৃণমূলে মুখপত্র জাগো বাংলায়।

কলকাতা: পরপর তিনদিন সিবিআই নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ। তাঁর বেফাঁস মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপিও। ঘটনার সূত্রপাত ২১ অগস্ট। একটি সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “সবার একটা পেট আছে। সবাই বিক্রি হয়। তার দাম থাকে। কেউ লক্ষে, কেউ কোটিতে। সবাই বিক্রি হচ্ছে, এটা সরকার বুঝেছে। আমি যতদূর শুনেছি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বিশেষ প্রয়াসে ইডি এসেছে। তারপর কাজ শুরু হয়েছে। আর যাঁরা সেটিং করছিলেন তাঁদের কেউ কেউ এখানে মন্তব্য করেছেন, এতদিন তো কোর্টের আদেশে সিবিআই তদন্ত করছিল, ইডি কোথা থেকে চলে এল”।

এরপর আবার ২২ অগস্ট তিনি বলেন, “অন্যান্য পার্টি সিবিআই বা ইডির জন্য কোর্টে গিয়েছে। আমারাও ভরসা রেখেছি, কিন্তু সেই ভরসা কতদিন রাখব, সেই প্রশ্ন আমার মনে এসেছে।” এই মন্তব্যের পরই ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে এই বিষয়ে রিপোর্টও তলব করা হয়। যদিও শোকজের পরও দিলীপ আছেন দিলীপেও। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দলের সঙ্গে এই ব্যাপারে মতপার্থক্যের ব্যাপার নেই। আমি যেটা ঘটনা সেটা বলেছি। আমি যখন সভাপতি ছিলাম, আমাদের উপর অত্যাচার হয়েছে। ২০০ কার্যকর্তা খুন হয়েছেন। কতজন নিহত কর্মীর পরিবারকে আমরা বিচার দিতে পেরেছি? এই প্রশ্ন কি আমি করতে পারি না? তাতে যদি কারও খারাপ লাগে লাগতেই পারে, আমরা কাউকে খুশি করার জন্য রাজনীতি করছি না।”

এই পরিস্থিতিতেই আসরে তৃণমূল। দিলীপের প্রতি সহানুভূতিশীল লেখা তৃণমূলে মুখপত্র জাগো বাংলায়। সেখানে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতিকে নিয়ে লেখা হয়, “ভোটের লড়াইয়ে সফল দিলীপ ঘোষকে কোণঠাসা করার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। হেস্টিংস পার্টি অফিসে বৈঠক চলছে, তাঁর থাকার কথা, অথচ তাঁকে ডাকা হচ্ছে না। কে করছেন? অমিত মালব্য। কার প্ররোচনায় করছেন? বর্তমান রাজ্য সভাপতি”।

ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য মদন মিত্রের গলাতেও। এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “দিলীপ ঘোষের মেডিসিনটা কিন্তু এই মুহূর্তে বিজেপির হাতে নেই। মেডিসিনটা যাদের কাছে আছে, দিলীপ ঘোষ দ্রুত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আর সেটা কারা তা দিলীপ ঘোষ নিশ্চয়ই ভাল বুঝতে পারবেন”। এরপরই রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা, তবে কি দিলীপকে দলে টানতে চাইছে তৃণমূল? যদিও এই প্রসঙ্গে দিন কয়েক আগে দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছিলেন, “এই রকম খবর আছে যে, বিজেপিতে অনিশ্চিত বোধ করছিলেন দিলীপ ঘোষ। যদিও তৃণমূলের সঙ্গে কথাবার্তা এগোয়নি”।

তবে সৌগত রায়ের মন্তব্যে বেজায় চটেছিলেন দিলীপ। প্রত্যুত্তরে তিনি বলেন, “এই বয়সে রাজনীতি করা উচিত নয়। কারণ, মাথার ঠিক থাকে না”। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠল সেই বিতর্ক, নেপথ্যে জাগো বাংলার একটি লেখা। সেই লেখায় দিলীপ ঘোষকে নিয়ে সহানুভূতি সুলভ বার্তা।