E-Commerce Pollution: অনলাইন শপিংয়ে বাড়ছে দূষণ, বিষাক্ত হচ্ছে কলকাতা!
Pollution In India: ভারতের মধ্যে দূষিত শহরের তালিকায় দিল্লি, মুম্বইয়ের পর তিন নম্বরে আমাদের কলকাতা। ভারতে পার্সেল প্রতি দূষণের মাত্রা প্রায় ২৮৫ গ্রাম!
কলকাতা: হিসেব বলছে এই মুহূর্তে আমাদের কলকাতার বুকে অন্তত ৩০ কোটি মানুষ অনলাইনে কেনাকাটি করেন। ছুঁচ, খাতা, পেন থেকে শুরু করে রান্নাঘরের চিমনি থেকে সব সময়ের সঙ্গী মোবাইল বা প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক ডিভাইস, কোটি কোটি মানুষ এখন অনলাইন শপিংয়েই অভ্যস্ত। এমনকি ফ্যাশনের ক্ষেত্রেও অনেকেরই ভরসা অনলাইন শপিং। পছন্দমতো জিনিসও যেমন অর্ডার করা যায়, তেমনই মেলে প্রচুর অফার। কোথাও যেতেও হয় না। আর প্রোডাক্ট পছন্দ না হলে একেবারেই বাড়ি থেকেই ফেরতের সুবিধা। কিন্তু সবটাই কি ভাল? না। জানলে অবাক হবেন, এই অনলাইন শপিংয়ের ফলেই ব্যাপক হারে বাড়ছে পরিবেশ দূষণের মাত্রা। আর এই ই-কমার্স দূষণে ভারতের পরিস্থিতি বেশ শোচনীয়।
সম্প্রতি, দুই মার্কিন সংস্থা স্ট্যান্ড আর্থ রিসার্চ গ্রুপ ও ক্লিন মোবিলিটি কালেক্টিভের যৌথ সমীক্ষার রিপোর্টের তথ্য কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলতে বাধ্য। সমীক্ষার বিষয় ছিল, ই-কর্মাস ও তার সঙ্গে যুক্ত ডেলিভারি সংস্থার পরিবহনের মাধ্যমে কতটা বিষিয়ে উঠছে পরিবেশ। সমীক্ষা চালানো হয়, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও ভারতের ৯০টি ক্যুরিয়ার সংস্থার উপর। আর সেই রিপোর্টেই দেখা যাচ্ছে, ই-কমার্স দূষণে ভারতের পরিস্থিতি শোচনীয়। আবার ভারতের মধ্যে দূষিত শহরের তালিকায় দিল্লি, মুম্বইয়ের পর তিন নম্বরে আমাদের কলকাতা। ভারতে পার্সেল প্রতি দূষণের মাত্রা প্রায় ২৮৫ গ্রাম! যেখানে বিশ্বব্যাপী পার্সেল প্রতি দূষণের মাত্রা প্রায় ২০৪ গ্রাম। স্বাভাবিকভাবেই ভারতের ই-কমার্স দূষণের মাত্রা অনেকটাই বেশি। অথচ, ইউরোপ, আমেরিকার থেকে অনেক কম পার্সেল ডেলিভারি হয় ভারতে।
কীভাবে ছড়ায় ই-কমার্স দূষণ?
অনলাইনে কোনও অর্ডার দেওয়া মাত্র সেটা দোকান বা সেলারের কাছ থেকে পৌঁছায় ওয়্যার হাউসে। সেখান থেকে বিমান বা ট্রেনে অর্ডার করা সামগ্রী আসে নির্দিষ্ট শহরে। সেখান থেকে পার্সেল যায় ডেলিভারি সংস্থার গোডাউনে, তারপর এলাকায় আর সবশেষে অর্ডারকারীর বাড়ি, তার হাতে। এতেই লুকিয়ে বায়ুদূষণের মতো ভয়াবহ বিপদ। রিপোর্টের দাবি, বিশ্বের ৬টি ক্যুরিয়ার সংস্থা সবথেকে বেশি দূষণ ছড়ায়, যার মধ্যে একটি ভারতীয় ক্যুরিয়ার সংস্থা। ওই সংস্থা বছরে প্রায় ৫০০ হাজার টন কার্বন ডাই অক্সাইড ছড়ায়। আর তার মধ্যে ৬০ হাজার টন কার্বন ডাই অক্সাইড মেশে আমাদের কলকাতার বাতাসে।
বাঁচার উপায়?
তথ্য বলছে, ভারতে প্রতি এক মাসে নয়া ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ে প্রায় এক কোটি করে। খুব স্বাভাবিকভাবেই, আগামী দিনে ই-কমার্স লেনদেনের সংখ্যা বাড়বে আরও কয়েক গুণ। পাল্লা দিয়ে বাড়বে পরিবেশ দূষণ। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের দাবি, দূষণ কমাতে সিএনজি ই-গাড়ির ব্যবহার করুক ক্যুরিয়ার সংস্থাগুলি। আর পেট্রোল চালিত গাড়ি ব্যবহার করলেও গাড়ির পলিউশন সংক্রান্ত কাগজ ঠিক আছে কি না তাতে নজরদারি করুক পুলিশ প্রশাসন। না হলে বিশ্ব উষ্ণায়ন যে বাড়তেই থাকবে তা বলাই বাহুল্য।