Cold Drinks Side Effects: ঠান্ডা পানীয় বাড়াচ্ছে বিপদ!
এই ধরনের পানীয় পান করার পরে, আপনার পেশিতে খিঁচুনি ও ক্লান্তির মতো উপসর্গ লক্ষ্য করতে পারেন। এই ধরনের মিষ্টি পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে সুক্রোজ থাকে। নিয়মিত এই ধরনের পানীয় পান করলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এতে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি তৈরি হয়। যদি আপনি প্রিডায়াবেটিক বা ডায়াবেটিসের রোগী হন,তাহলে সম্পূর্ণরূপে এই ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত
গরম বাড়তে মানুষের মধ্যে বেড়েছে ঠান্ডা পানীয় পান করার প্রবণতা। সন্ধেবেলা কাজ সেরে বাড়ি ফিরে চুমুক দিচ্ছেন ঠান্ডা বিয়ারে। আপনাকে ডিহাইড্রেটেড করে দিতে পারে চিলড বিয়ার। প্রখর রোদে বেরিয়ে তৃষ্ণার্ত বোধ করলে, জল,ডাবের জল,ফলের রস,ঘোল ইত্যাদি খাওয়া উচিত। এতে যেমন আপনি হাইড্রেটেড থাকবেন,তেমনই দেহে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় থাকবে। ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখা ভীষণ জরুরি। তা না হলেই বাড়তে পারে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। সোডাযুক্ত মিষ্টি পানীয় ও চিলড বিয়ারের মতো পানীয়তে ইলেক্টোলাইট থাকে না। এই পানীয় পান করে, কোনও লাভ নেই। এই ধরনের পানীয় পান করার পরে, আপনার পেশিতে খিঁচুনি ও ক্লান্তির মতো উপসর্গ লক্ষ্য করতে পারেন। এই ধরনের মিষ্টি পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে সুক্রোজ থাকে। নিয়মিত এই ধরনের পানীয় পান করলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এতে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি তৈরি হয়। যদি আপনি প্রিডায়াবেটিক বা ডায়াবেটিসের রোগী হন,তাহলে সম্পূর্ণরূপে এই ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত। চাঁদিফাটা রোদে বেরিয়ে ঠান্ডা ও সোডাযুক্ত পানীয় পান করাও উচিত নয়। গরমের মধ্যে হঠাৎ করে ঠান্ডা পানীয় পান করলে, ক্ষতিগ্রস্ত হয় গলা বা শ্বাসনতন্ত্র। আমাদের নাক ও গলায় অসংখ্য ‘সিলিয়া’ থাকে। গরমের মধ্যে এই ধরনের পানীয় পান করলে এই সব সিলিয়া নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এর জেরে টনসিলাইটস,ব্রংকাইটিস বা নিউমোনিয়ার মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আপনি যদি ঘন ঘন এই ধরনের সোডাযুক্ত মিষ্টি পানীয় পান করেন তাহলে বেড়ে যেতে পারে ওজন। এমনকী নিয়মিত ঠান্ডা পানীয় পান করলে বাড়ে দাঁতের এনামেল ক্ষয়ে যায়। এই ধরনের পানীয়তে ফসফরিক অ্যাসিড থাকে, যা হাড়ে ক্যালশিয়ামের ঘনত্ব হ্রাস করে। অল্প চোট পেলেই আপনার হাড় ভেঙে যেতে পারে।