Ghatal News: মাতব্বরের ‘দাদাগিরি’, ভস্মীভূত দোকানের জন্য ১ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের নিদান

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৌরভ পাল

Aug 18, 2022 | 3:36 PM

দোকানে আগুন লাগার ঘটনায় দুই ডেকরেটরের মধ্যে বিবাদ। সেই ঘটনা গড়াল সালিশি সভা পর্যন্ত। আর সেখানে অভিযুক্তের থেকে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করলেন মাতব্বর।

Follow Us

ঘাটাল: দোকানে আগুন লাগার ঘটনায় দুই ডেকরেটরের মধ্যে বিবাদ। সেই ঘটনা গড়াল সালিশি সভা পর্যন্ত। আর সেখানে অভিযুক্তের থেকে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করলেন মাতব্বর। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের দাসপুর গ্রামের। মাতব্বরের ‘দাদাগিরি’ করার সংবাদ শিরোনামে আসতেই অভিযোগ অস্বীকার!

৩০ জুলাই রাতে কাশীরাম চাকীর দোকানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ডেকরেটর কাশীরাম আশঙ্কা করেন, তাঁর প্রতিবেশী তারকনাথ আড়িই এই কাজ করে থাকতে পারেন। এরপর লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের করার আগেই গুনিনের (গণৎকার) কাছে যান কাশীরাম। সুকুমার মাইতি নামের গণৎকার কাশীরাম এবং তাঁর ২ সন্তানকে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কাঠগড়ায় দাঁড় করান। তারপরই তারকনাথ ও তাঁর ২ ছেলেকে নিয়ে গ্রামের মাতব্বরের দ্বারস্থ হন কাশীরাম। বসে সালিশি সভা। মাতব্বরের নিদান, ক্ষতিপূরণবাবদ ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এমনকি অপরাধ ‘কবুল’ করিয়ে সাদা পাতায় লিখিয়েও নেওয়া হয়। কেড়ে নেওয়া হয় কাশীরামের জমির দলিলও।

আক্রান্তের মা ও পরিবারের সদস্যের দাবি, প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জোর করে আগুন লাগানোর কথা স্বীকার করিয়ে নেওয়া হয়। আক্রান্তের অভিযোগ, সালিশি সভায় মোবাইল কেড়ে মারধর করে আমাদের থেকে সব লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভয়ে ঘরছাড়া তারকনাথ ও তাঁর ২ ছেলে। যদিও পুড়ে যাওয়া দোকানের মালিকের দাবি, “হিংসা থেকেই বাপবেটা মিলে এই কাজ করেছে।”

ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে আক্রান্তের পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে, TV9 বাংলাকে জানিয়েছেন এসডিপিও।

ঘাটাল: দোকানে আগুন লাগার ঘটনায় দুই ডেকরেটরের মধ্যে বিবাদ। সেই ঘটনা গড়াল সালিশি সভা পর্যন্ত। আর সেখানে অভিযুক্তের থেকে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করলেন মাতব্বর। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের দাসপুর গ্রামের। মাতব্বরের ‘দাদাগিরি’ করার সংবাদ শিরোনামে আসতেই অভিযোগ অস্বীকার!

৩০ জুলাই রাতে কাশীরাম চাকীর দোকানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ডেকরেটর কাশীরাম আশঙ্কা করেন, তাঁর প্রতিবেশী তারকনাথ আড়িই এই কাজ করে থাকতে পারেন। এরপর লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের করার আগেই গুনিনের (গণৎকার) কাছে যান কাশীরাম। সুকুমার মাইতি নামের গণৎকার কাশীরাম এবং তাঁর ২ সন্তানকে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কাঠগড়ায় দাঁড় করান। তারপরই তারকনাথ ও তাঁর ২ ছেলেকে নিয়ে গ্রামের মাতব্বরের দ্বারস্থ হন কাশীরাম। বসে সালিশি সভা। মাতব্বরের নিদান, ক্ষতিপূরণবাবদ ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এমনকি অপরাধ ‘কবুল’ করিয়ে সাদা পাতায় লিখিয়েও নেওয়া হয়। কেড়ে নেওয়া হয় কাশীরামের জমির দলিলও।

আক্রান্তের মা ও পরিবারের সদস্যের দাবি, প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জোর করে আগুন লাগানোর কথা স্বীকার করিয়ে নেওয়া হয়। আক্রান্তের অভিযোগ, সালিশি সভায় মোবাইল কেড়ে মারধর করে আমাদের থেকে সব লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভয়ে ঘরছাড়া তারকনাথ ও তাঁর ২ ছেলে। যদিও পুড়ে যাওয়া দোকানের মালিকের দাবি, “হিংসা থেকেই বাপবেটা মিলে এই কাজ করেছে।”

ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে আক্রান্তের পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে, TV9 বাংলাকে জানিয়েছেন এসডিপিও।

Next Video