Sundarbans Erosion: রাত জাগছে সুন্দরবন
সুন্দরবনের তিন নদীর একাধিক বাঁধের ৮০০ থেকে ৯০০ ফুট ধস, চিন্তার ভাঁজ সেচ দপ্তরের কপালে। বসিরহাটের সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সাণ্ডেলেরবিল গ্রাম পঞ্চায়েতের আমবেড়িয়া, বাঁকড়া, ডোবর ও ১৩নং সাণ্ডেলেরবিল সহ একাধিক এলাকার মানুষ বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে রাত জেগে নদী বাঁধের পাহারা দিচ্ছে।
সুন্দরবনের তিন নদীর একাধিক বাঁধের ৮০০ থেকে ৯০০ ফুট ধস, চিন্তার ভাঁজ সেচ দপ্তরের কপালে। বসিরহাটের সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সাণ্ডেলেরবিল গ্রাম পঞ্চায়েতের আমবেড়িয়া, বাঁকড়া, ডোবর ও ১৩নং সাণ্ডেলেরবিল সহ একাধিক এলাকার মানুষ বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে রাত জেগে নদী বাঁধের পাহারা দিচ্ছে।
ইছামতি, কালিন্দী ও রায়মঙ্গল এই তিনটি নদীর মোহনা আর ঠিক সেখানেই দেখা দিয়েছে নদী বাঁধের ভয়াবহ ফাটল। মাটির বাঁধের বড় বড় চাই ভেঙে পড়ছে নদীতে। ধস নেমে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। তার উপরে দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে গিয়েছে। আর নদীর যা জলের স্তর ও স্রোতের যে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এই নদীগুলি যেকোনো মুহূর্তে প্লাবিত হয়ে জল ঢুকতে পারে গ্রামে। প্লাবনের আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে স্থানীয়দের।
সাণ্ডেলেরবিল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পরিতোষ বিশ্বাস বলেন, “বর্তমানে নদী ভাঙতে ভাঙতে বড় রাস্তার ধারে এসে পৌঁছেছে। রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোন মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে গ্রামবাসীরা। আমি একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, আশা করছি সমস্যার সমাধান হবে।” নদী বাঁধের পাইলিং দেওয়ার জন্য সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে নদীর পাড়ে আনা হয়েছে বাঁশের পিন ও তারের জাল। ইট দিয়ে তারের জাল ও বাঁশের খাঁচা তৈরি করে নদীর পাড়ে বসিয়ে বাঁধ রক্ষার কাজ শুরু হবে। কিন্তু নদীর যা ভয়াবহ অবস্থা, যেভাবে জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে সেখানে বাঁশ ও তারের জাল দিয়ে ভয়াবহ ভাঙ্গন রক্ষা করা কি সম্ভব? প্রশ্ন তুলছে সুন্দরবনের নদী বাঁধ পাড়ের মানুষ। সামনে ভয়াবহ আমাবস্যার কোটাল। তার আগে এই বাঁধ কি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে? সেই দিকে তাকিয়েই প্রহর গুনছেন সুন্দরবনের মানুষ।