Basirhat News: মিলেটে জোর
পোলিও ও কলেরার মতো মহামারী ও বেশ কিছু ছোঁয়াচে রোগ আজ প্রায় নির্মূল হলেও বর্তমানে বেড়েই চলেছে মধুমেহ ও রক্তচাপ সহ নানাবিধ রোগ। সময়ের সাথে সাথে বদলেছে খাদ্যাভ্যাস। আর খাদ্যাভ্যাস বদলের সাথে সাথে বদলেছে রোগের ধরণও।
পোলিও ও কলেরার মতো মহামারী ও বেশ কিছু ছোঁয়াচে রোগ আজ প্রায় নির্মূল হলেও বর্তমানে বেড়েই চলেছে মধুমেহ ও রক্তচাপ সহ নানাবিধ রোগ। সময়ের সাথে সাথে বদলেছে খাদ্যাভ্যাস। আর খাদ্যাভ্যাস বদলের সাথে সাথে বদলেছে রোগের ধরণও। দু’দশক আগেও এ রাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে পেটের রোগের দাপট ছিল সব চেয়ে বেশি। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে এখন দোসর হয়েছে হয়েছে হৃদ্রোগ। দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে মৃত্যুর প্রধান কারণ হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ‘রেসপিরেটরি ইনফেকশন’ বা শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ। পশ্চিম বিশ্ব থেকে শুরু করে রাজ্যে হৃদ্রোগের অন্যতম কারণ স্বাস্থ্যকর খাবার না-খাওয়া। অতিরিক্ত তেলজাতীয় এবং ময়দার খাবার হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা ডেকে আনে। আর এই খাদ্যাভ্যাস বদলে সাধারণ মানুষের মধ্যে জন সচেতনতা বাড়াতে আসরে নামলো পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর। স্বাস্থ্য সুরক্ষা দফতর ও বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার উদ্যোগে আঁশ যুক্ত খাবার মিলেট নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ বাড়াতে বসিরহাটে শুরু হল মিলেট মেলা। জোয়ার, বাজরা ও রাগি সহ কয়েকটি ক্ষুদ্র দানা শস্যকে একত্রে মিলেট বলে। এই খাদ্যশস্যের গুণাগুণ সাধারণ মানুষজনের কাছে তুলে ধরতে এই মিলেট মেলার আয়োজন করা হয়। মিলেট প্রোটিন, ফাইবার ও আ্যন্টি অক্সিডেন্টের ভান্ডার। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রুগিরাও এই মিলেটকে খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করলে ভালো ফল মেলে। তবে পশ্চিমবঙ্গে সাধারণত মিলেট চাষ হয়না। এই মিলেটের বিভিন্ন গুণ সম্বন্ধে সচেতন করার পর পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের এই চাষ সম্বন্ধে অবহিত করা হবে। বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরের কনফারেন্স রুমে এই মিলেট মেলায় জোয়ার বাজরা রাগি ও আঁশযুক্ত খাবার দৈনন্দিন জীবনে কিভাবে ব্যবহার করা যাবে তা প্রদর্শনীর মাধ্যমে দেখানো হয়। যা দেখতে সেখানে স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় করেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের কমিশনার তপন কান্তি রুদ্র, বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ রবিউল ইসলাম গাইন ও বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক অপরাজিতা মজুমদার সহ স্বাস্থ্য জেলার একাধিক আধিকারিকরা। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বসিরহাটের মিষ্টি ব্যবসায়ীরাও। আধিকারিকরা জানান, ২০২৩ সাল আন্তর্জাতিক মিলেড বৎসর উদযাপন করা হচ্ছে। তাই মিলেট নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে তাদের এই উদ্যোগ। বসিরহাটের প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকাতেও যাতে মানুষ মিলেট জাতীয় খাদ্য খেয়ে স্বাস্থ্যকর থাকতে পারে তার জন্য তাদেরকে সচেতন করার জন্য সুন্দরবনেও আগামী দিনে মিলেট নিয়ে একাধিক ক্যাম্প করা হবে। পাশাপাশি মিষ্টির দোকানদার যারা আছেন তাদেরকেও বার্তা দেওয়া হয় তারা যেন চিনি বা ময়দার বদলে আটা বা গুড় ব্যবহার করেন। মিষ্টি ব্যবসায়ীরা বলেন, “মানুষের শরীরের স্বার্থে তারা ইতিমধ্যেই অস্বাস্থ্যকর সামগ্রিক গুলো বাদ দেওয়া শুরু করেছেন। তারা তাদের দোকানেও চিনি এবং ময়দা বাদে মিষ্টি আমদানি করা শুরু করেছেন।”