Mystery Of Earth’s Birth: উন্মোচন হল পৃথিবীর জন্ম রহস্য
আদিকাল থেকে মানুষের জিজ্ঞাসা পৃথিবীর জন্ম কীভাবে। দ্য রয়্যাল অ্যাস্ট্রনমিকাল সোসাইটি প্রকাশ করেছে ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা। সেই গবেষণায় আছে পৃথিবী জন্মের বেশ কটি সম্ভাবনার প্রসঙ্গ।
মহাকাশের কণায় কণায় কোনায় কোনায় লুকিয়ে রহস্য। আদিকাল থেকে মানুষের জিজ্ঞাসা পৃথিবীর জন্ম কীভাবে। সম্প্রতি একটি গবেষণা সেই বিষয়ে কিছুটা আলোকপাত করল। দ্য রয়্যাল অ্যাস্ট্রনমিকাল সোসাইটি প্রকাশ করেছে ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা। সেই গবেষণায় আছে পৃথিবী জন্মের বেশ কটি সম্ভাবনার প্রসঙ্গ। ১ম সম্ভাবনা – প্রোপ্ল্যানেটারি ডিস্ক থেকেই জন্ম গ্রহদের। নক্ষত্রের চারপাশে থাকা একটি ডিস্কে জমা হয় মহাজাগতিক উপাদান, গ্যাস, ধূলিকণা। একে নক্ষত্রের জরায়ু বলছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে গ্রহ। এই জরায়ু বিশ্লেষণে এসেছে আরও তথ্য। সেই তথ্যই ২য় সম্ভাবনা। নক্ষত্র ছাড়াও জন্মাতে পারে গ্রহ। বিজ্ঞানীরা বলছেন একে স্যান্ডউইচড প্ল্যানেট ফর্মেশন। দুটি বড় গ্রহের মাঝে জমে ধুলো, গ্যাস ও মহাজাগতিক উপাদান। দুই গ্রহের আকর্ষণ বল, চৌম্বক বল আর উত্তাপে জমাট বাঁধে ওই ঘুরতে থাকা উপাদান। আর তার থেকেই কোনও নক্ষত্র ছাড়াই তৈরি হয় নতুন গ্রহ। ওয়ারউইকের বিজ্ঞানীদের দাবি এভাবেই তৈরি হয়েছে বুধ ও নেপচুন। ৩য় তত্ত্ব বলছে নক্ষত্র থেকে জন্ম হয় না গ্রহের। প্রোপ্ল্যানেটারি ডিস্কের মাঝে থাকে কিছু শূন্যস্থান বা ভয়েড। সেই ভয়েড এবং সৌরজগতের বাইরের কিছু এক্সোপ্ল্যানেটের বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বলছেন। এক্সোপ্ল্যানেটদের চরিত্র স্যান্ডউইচড গ্রহদের মতোই। এর থেকেই ভেঙে যাচ্ছে চিরাচরিত ধারনা। তবে কি সূর্য থেকে জন্ম নয় পৃথিবীর? পৃথিবী কি শনি বা বৃহস্পতির মতো গ্রহের মাঝে জমাট বাঁধা মহাজাগতিক বস্তু থেকে সৃষ্ট? আরও গবেষণা উত্তর দেবে সেই প্রশ্নের মত মহাকাশ গবেষকদের ।