Naushad Siddiqui News: সব দল ছাড়াই সর্বদল: নওশাদ সিদ্দিকি

TV9 Bangla Digital | Edited By: Tapasi Dutta

Aug 29, 2023 | 6:27 PM

'সব দল ছাড়াই সর্বদল'। পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে নিশানা আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর। পহেলা বৈশাখের দিন পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে প্রস্তাবের সরাসরি বিরোধিতা করেন তিনি। মঙ্গলবার হাওড়ার বাঁকড়ায় একটি অনুষ্ঠানে এসে তিনি পরিষ্কার জানান, সমস্ত দলকে আমন্ত্রণ না করেই বৈঠক হচ্ছে।

‘সব দল ছাড়াই সর্বদল’। পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে নিশানা আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর। পহেলা বৈশাখের দিন পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে প্রস্তাবের সরাসরি বিরোধিতা করেন তিনি। মঙ্গলবার হাওড়ার বাঁকড়ায় একটি অনুষ্ঠানে এসে তিনি পরিষ্কার জানান, সমস্ত দলকে আমন্ত্রণ না করেই বৈঠক হচ্ছে। পঞ্চায়েতস্তর থেকে লোকসভা পর্যন্ত বিভিন্ন গণতন্ত্রমূলক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া অনেক দলই ব্রাত্য। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সেটা বিধানসভায় পাস করিয়ে নেওয়ার প্রবণতা। নিজেদের সিদ্ধান্তকে রাজ্যের মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাছাড়া পহেলা বৈশাখ বাঙালির কাছে আলাদা আবেগের জায়গা। পশ্চিমবঙ্গ দিবস কবে হওয়া উচিত তা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন। অনেকদিন রয়েছে যা পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসাবে প্রাধান্য পাওয়ার যোগ্য। এদিকে, ইন্ডিয়া জোট প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন নওশাদ। তিনি বলেন, আমি ইন্ডিয়াকে নিয়ে ভাবি। ইন্ডিয়া জোট নিয়ে ভাবনার জায়গা নেই। কারণ সেই জোটে এমন অনেক রাজনৈতিক জল রয়েছে যারা নিজেদের রাজ্যে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে। রাজ্যে বোমা নিয়ে গবেষণা চলছে। ল্যাব তৈরি হয়েছে। আর সেখানে উৎপাদিত বোমা সাপ্লাই করা হতো ভাঙ্গড়ে। অবিলম্বে গোটা ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া উচিত এন আই এর হাতে। বাজি কারখানা বিস্ফোরনকাণ্ডে কার্যত সরাসরি কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তদন্তের পক্ষে সওয়াল করেন আইএফএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। এই বোমা তৈরির সঙ্গে বাংলাদেশ বা অন্যান্য নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের যোগ থাকতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে বিধায়ক কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, রাজ্যে শিল্প নেই নেই করা হয়। অথচ মুখ্যমন্ত্রী এই নতুন শিল্প তৈরি করতে সফল হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকদের উচিত উনাকে পুরস্কার দেওয়া। উনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে খেলা আর মেলা নিয়ে ব্যস্ত। তাও যদি সেই খেলা গঠনমূলক বিষয় নিয়ে হত তাহলেও প্রশংসা করা যেত। কোটি কোটি টাকা অপাত্রে দান করা হচ্ছে। রাজ্যের অর্থনীতি ধুঁকছে। একটা সরকারের যা করা উচিত তা করছেনা। অর্থনীতিবিদদের নিয়ে কমিটি তৈরি করে রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দরকার।সমস্ত অবৈধ বাজি কারখানার জায়গা থেকে পুলিশ করে না। সেই টাকার ভাগ যায় মন্ত্রীদের কাছেও। কিন্তু ঘটনা ঘটার পর পুলিশ সাসপেন্ড হচ্ছে। আর মন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী পাশে রেখে দিচ্ছে। এলাকা জুড়ে দামাল ছেলেরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও নেতারা ফোন করে বলছে ও আমার ছেলে ছেড়ে দাও। চারিদিকে শুধু বিভিন্ন নেতাদের ছেলেরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। চারিদিকে খালি থানা বাড়ানো হচ্ছে। আর পুলিশ নিয়োগ হচ্ছে না। দেড় লক্ষর উপর শূন্য পদ।