Nadia News: শিক্ষক দিবসেও স্কুলে আতঙ্ক!
এক হাঁটু জল ভেঙে স্কুলে যেতে হয় ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীদের। টিফিনেও থাকতে হয় ঘরবন্দি। চারিদিকে যখন ডেঙ্গুর আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তখন স্কুলের মধ্যে জমা জলে জেরে আতঙ্কিত অভিভাবকরা। প্রশাসনকে জানিও বছরে পর বছর ধরে আজও মেলে নি কোন সুরাহা।
এক হাঁটু জল ভেঙে স্কুলে যেতে হয় ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীদের। টিফিনেও থাকতে হয় ঘরবন্দি। চারিদিকে যখন ডেঙ্গুর আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তখন স্কুলের মধ্যে জমা জলে জেরে আতঙ্কিত অভিভাবকরা। প্রশাসনকে জানিও বছরে পর বছর ধরে আজও মেলে নি কোন সুরাহা। অল্প বৃষ্টি হলেই স্কুলের মাঠে জল জমে যায় এক হাঁটু। সেই জল ভেঙ্গেই স্কুলের মধ্যে প্রবেশ করতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। বারবার প্রশাসনকে জানালেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি প্রশাসন। ক্ষোভ প্রকাশ এলাকার বাসিন্দাদের। ঘটনা পলাশীপাড়া এলাকার রুদ্রনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, পলাশী পাড়া এলাকার রুদ্রনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে এলাকার খুদেরা। এই স্কুলে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ১৪০ জন। স্থায়ী শিক্ষক আছেন ৩জন ও পার্শ্ব শিক্ষক আছেন একজন। স্কুলে লেখাপড়া করতে গিয়ে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। এই বছর বৃষ্টি কম হলেও সেই ভোগান্তি থেকে নিস্তার নেই খুদেদের। অল্প বৃষ্টিতেই স্কুলের মাঠে জল জমে যায়। সেই জল বেশ কয়েকদিন জমে থাকে স্কুলের মাঠে। সেই জল পেরিয়ে স্কুলের শ্রেণী কক্ষে যেতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। চরম অসুবিধায় পড়তে হয় ছাত্রছাত্রীদের। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা বলে, যে কয়েকদিন আগে যে বৃষ্টি হয়েছে তাতেই এখানও জল জমে আছে। আমরা সেই জমা জলের ভিতর দিয়ে ক্লাসে যাচ্ছি। আমাদের জামা প্যান্ট ভিজে যাচ্ছে। তাই নিয়েই আমরা ক্লাস করছি। স্কুলে মাঠে জল জমে থাকার জন্য আমরা টিফিনে বা ছুটির শেষে খেলা করতে পারছি না। এলাকার বাসিন্দা তথা অভিভাবক মুকুল শেখ বলেন, যে ভাবে স্কুলে জল জমে আছে তাতে আমরা আমাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভয় হচ্ছে। কারন ছেলে মেয়েদের স্কুলের পোশাক ভিজে যাচ্ছে। তারপরে জমা জলে ডেঙ্গু মশার উৎপত্তি। ডেঙ্গু নিয়ে এত প্রচার সরকার করলেও স্কুলে জল জমে আছে সে বিষয়ে প্রশাসন উদাসীন। অনেক বার আমরা ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীদের জমা জল থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। তাতেও কিছু হয় নি। ভোটের সময় জল জমে বলে সাময়িক কিছু কাজ করা হলেও স্থায়ী সমাধান করা হয় নি। এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শোভন কুমার মিস্ত্রি বলেন, আমার নিজের খুব খারাপ লাগে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা যে ভাবে স্কুল করছে। আমি এই সমস্যা সমাধানের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, বিডিও সহ অনেক জায়গায় লিখিত ভাবে জানিয়েছি। একবার নয় বেশ কয়েকবার, তবু এখনোও পর্যন্ত কোন রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করে নি প্রশাসন