কলকাতা: আজকের দিনটা ধরলে ৫৪০ দিন। ধর্মতলায় প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। এই প্রথম শুধু স্লোগানে স্লোগানে প্রতিবাদ নয়, অভিনব কায়দায় বিক্ষোভ কর্মসূচি সারলেন চাকরিপ্রার্থীরা। প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে পথনাটিকাকে বেছে নিলেন প্রতিবাদীরা। কেউ সাজলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, আবার কেউ সাজলেন প্রাক্তন পর্ষদ চেয়ারম্যান। সেই ধর্নামঞ্চেই হাজির বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে এসে বিস্ফোরক সিপিএম নেতা। প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে। আজ শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববাংলার মাঠ থেকে বাম আমলের নিয়োগ নিয়ে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি চাকরি দিতে চান, শুধু একটু সময় লাগবে। “৮৯,০০০ চাকরি দিতে ৮৯ বছর লাগবে। উনি ৯ জনকে বিনা টাকায় চাকরি দিয়ে দেখান”, খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ বিকাশবাবুর। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে প্রার্থীদের করা মামলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে কটাক্ষ করতে গিয়ে তাঁকে ‘নির্মম’ আখ্যাও দেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
এরপরই চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বারবার জোর দেন স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও। নিয়োগের সময় ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া রেকর্ড করারও পরামর্শ দেন তিনি। ‘যে সংখ্যক খালি পদ আছে তার অনেক বেশি চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা। তাই স্বচ্ছ নিয়োগ পদ্ধতি হলে বা পরীক্ষার ফল জানা থাকলে চাকরিপ্রার্থীরা নিজেদের ফলাফল নিয়ে মনে একটা শান্তি নিয়ে থাকতে পারবেন। নিয়োগ পদ্ধতি এমন হতে হবে যাতে কারও মনে কোনও সন্দেহ না থাকে’, জানালেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
বিকাশরঞ্জনের পাশাপাশি আজ ধর্না মঞ্চে পৌঁছে যান রুদ্রনীল ঘোষ। বাবা-মা শিক্ষক ছিলেন, তাই শিক্ষক দিবসে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনকে কুর্নিশ জানাতেই ধর্মতলায় পৌঁছে যান ‘শিল্পী’ রুদ্রনীল। আবারও কবিতার মাধ্যমেই ব্যক্ত করলেন তাঁর প্রতিবাদ। উপস্থিত আন্দোলনকারীদের হাতে তুলে পুস্তস্তবকও। আর চাকরি প্রার্থীরা? ‘আমরা এখনও আশাবাদী। যদিও প্রতিশ্রুতির ফলশ্রুতি ঘটবে কবে, তা জানি না। শুধু বলব পুজোর আগে আমাদের চাকরি দিয়ে আমাদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে দিন। শিক্ষক দিবসে এটাই অনুরোধ’, কাতর আর্তি চাকরিপ্রার্থীর কণ্ঠে।
কলকাতা: আজকের দিনটা ধরলে ৫৪০ দিন। ধর্মতলায় প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। এই প্রথম শুধু স্লোগানে স্লোগানে প্রতিবাদ নয়, অভিনব কায়দায় বিক্ষোভ কর্মসূচি সারলেন চাকরিপ্রার্থীরা। প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে পথনাটিকাকে বেছে নিলেন প্রতিবাদীরা। কেউ সাজলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, আবার কেউ সাজলেন প্রাক্তন পর্ষদ চেয়ারম্যান। সেই ধর্নামঞ্চেই হাজির বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে এসে বিস্ফোরক সিপিএম নেতা। প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে। আজ শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববাংলার মাঠ থেকে বাম আমলের নিয়োগ নিয়ে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি চাকরি দিতে চান, শুধু একটু সময় লাগবে। “৮৯,০০০ চাকরি দিতে ৮৯ বছর লাগবে। উনি ৯ জনকে বিনা টাকায় চাকরি দিয়ে দেখান”, খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ বিকাশবাবুর। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে প্রার্থীদের করা মামলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে কটাক্ষ করতে গিয়ে তাঁকে ‘নির্মম’ আখ্যাও দেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
এরপরই চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বারবার জোর দেন স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও। নিয়োগের সময় ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া রেকর্ড করারও পরামর্শ দেন তিনি। ‘যে সংখ্যক খালি পদ আছে তার অনেক বেশি চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা। তাই স্বচ্ছ নিয়োগ পদ্ধতি হলে বা পরীক্ষার ফল জানা থাকলে চাকরিপ্রার্থীরা নিজেদের ফলাফল নিয়ে মনে একটা শান্তি নিয়ে থাকতে পারবেন। নিয়োগ পদ্ধতি এমন হতে হবে যাতে কারও মনে কোনও সন্দেহ না থাকে’, জানালেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
বিকাশরঞ্জনের পাশাপাশি আজ ধর্না মঞ্চে পৌঁছে যান রুদ্রনীল ঘোষ। বাবা-মা শিক্ষক ছিলেন, তাই শিক্ষক দিবসে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনকে কুর্নিশ জানাতেই ধর্মতলায় পৌঁছে যান ‘শিল্পী’ রুদ্রনীল। আবারও কবিতার মাধ্যমেই ব্যক্ত করলেন তাঁর প্রতিবাদ। উপস্থিত আন্দোলনকারীদের হাতে তুলে পুস্তস্তবকও। আর চাকরি প্রার্থীরা? ‘আমরা এখনও আশাবাদী। যদিও প্রতিশ্রুতির ফলশ্রুতি ঘটবে কবে, তা জানি না। শুধু বলব পুজোর আগে আমাদের চাকরি দিয়ে আমাদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে দিন। শিক্ষক দিবসে এটাই অনুরোধ’, কাতর আর্তি চাকরিপ্রার্থীর কণ্ঠে।