Private Tution: স্কুল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে একজোট গৃহ শিক্ষকরা!
লে শিক্ষকতা করার পাশাপাশি বাড়তি টাকার উপার্জনের উদ্দেশ্য অনেক স্কুল শিক্ষক বেআইনি ভাবে গৃহ শিক্ষকতা করেন। অনেক শিক্ষিত বেকার যুবকরা যোগ্যতা থাকলেও সঠিক মূল্যায়নের অভাবে চাকরি না পেয়ে গৃহ শিক্ষকতা করেন, আবার কেও কেও পেশাটিকে ভালোবেসে বেছে নিয়েছেন।
স্কুলে শিক্ষকতা করার পাশাপাশি বাড়তি টাকার উপার্জনের উদ্দেশ্য অনেক স্কুল শিক্ষক বেআইনি ভাবে গৃহ শিক্ষকতা করেন। অনেক শিক্ষিত বেকার যুবকরা যোগ্যতা থাকলেও সঠিক মূল্যায়নের অভাবে চাকরি না পেয়ে গৃহ শিক্ষকতা করেন, আবার কেও কেও পেশাটিকে ভালোবেসে বেছে নিয়েছেন। এই টিউশনি যখন বেকার শিক্ষিত যুবকদের কিছুটা আশার পথ দেখায় ঠিক সেই সময় স্কুল শিক্ষকদের টিউশনিতে কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন গৃহশিক্ষকরা।
তারা অভিযোগ করেছেন, নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও শুধু বসিরহাটে নয়, গোটা রাজ্যে সরকারি শিক্ষকদের অনেকেই চুটিয়ে টিউশন করছেন। এতে তাদের মতো গৃহশিক্ষকদের রোজগারে টান পড়ছে। স্কুল শিক্ষকরা মাস গেলে মোটা অঙ্কের বেতন পান। আবার স্কুলের সময়টুকু বাঁচিয়ে বাড়িতে কিংবা কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট টিউশনিও করেন বেশ কিছু সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। স্কুলের যুক্ত থাকার কারণেই হোক কিংবা পড়ানোর গুণে, সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের কাছে ছেলে-মেয়ের প্রাইভেট পড়ানোর ঝোঁক থাকে অভিভাবকদেরও।
কিন্তু আদতে সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ও সরকার-পোষিত স্কুলের কোনও শিক্ষক আইনত প্রাইভেট টিউশন করতে পারেন না। কিন্তু অনেকেই এই নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করেন না বলে অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে গৃহ শিক্ষক সংগঠন টিউটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ারা উদ্যোগে বসিরহাটের খোলাপোতায় আয়োজিত সম্মেলন থেকে সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি সুজয় বর্মন জানান, “স্কুল শিক্ষকরা বেআইনিভাবে টিউশনি করছেন ও ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে পড়তে যেতে বাধ্য করছেন। গৃহশিক্ষকরা একতাবদ্ধ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।” সব মিলিয়ে স্কুল শিক্ষকরা মাস গেলে মোটা বেতনের পর বাড়িতি টাকার আশায় টিউশনিতে আদতে শিক্ষিত সমাজের একাংশ যে সমস্যায় পড়েছেন তা বলা বাহুল্য।