Police Viral Video: চেকিংয়ের নামে টাকা তোলা! চড় সিভিক পুলিশকে
চেকিংয়ের নামে মোটর বাইক ও গাড়ি চালকদের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গী ধাক্কাধাক্কি ক্ষুব্ধ জনতার। ঠাটিয়ে চড় সিভিককে। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
চেকিংয়ের নামে মোটর বাইক ও গাড়ি চালকদের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গী ধাক্কাধাক্কি ক্ষুব্ধ জনতার। ঠাটিয়ে চড় সিভিককে। সেই ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। গাড়ি চেকিংয়ের নাম করে আরোহীদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া বা টাকা তোলার অভিযোগ পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ারদের বিরুদ্ধে। কারণ এবং অকারণে বাইক আরোহী বা গাড়ি চালকদের সঙ্গে এমনটা করা হচ্ছে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ কর্মীকে ধাক্কা দেয়। এমনকি এক সিভিক কর্মীকে চড় মারে ক্ষুব্ধ জনতা। সোশাল মিডিয়ায় মারধর করার সেই ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। গতকাল ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের ভুতকুড়ি এলাকায়। বৃহস্পতিবার পুলিশকর্মীদের মারধর করার ভিডিও ভাইরাল হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় জেলা জুড়ে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে। এদিকে এনিয়ে ইতিমধ্যেই এদিন কুমারগঞ্জে পুলিশ কর্মীদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেন ডিএসপি ট্রাফিক বিল্বমঙ্গল সাহা। খতিয়ে দেখছেন ঘটনার সততা।
অভিযোগ, কুমারগঞ্জের ভুতকুড়ি মোড়ে মাঝে মধ্যে ফুলবাড়ি ট্রাফিক গার্ড পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ নাকা চেকিং চালানো হয়৷ যাতে করে অবৈধ কাগজপত্র নিয়ে কেউ মোটরবাইক বা অন্যান্য গাড়ি চলাচল করতে পারে। গতকাল নাকা চেকিংয়ের দায়িত্বে থাকা পুলিশ অফিসার ও সিভিক ভলেন্টিয়াররা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কেস দেওয়ার ভয় দেখিয়ে জোর করে টাকা তুলছিলেন। সেখান থেকেই বচসার সূত্রপাত। প্রথমে বচসা হলে পরেও পরে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। সেই সময়ের ঘটনা অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে। যার ফলে দ্রুত সেই ভিডিও ভাইরাল হয়। এমনকি পুলিশকর্মীদের জরিমানা করার মেশিন রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। সেখান থেকে বেশ কিছু ৫০০ টাকার নোট উদ্ধার হয়। টাকা উদ্ধার হতেই এনিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি৷ অনলাইনে জরিমানা নেওয়ার কথা। তাহলে ব্যাগে অত টাকা এলো কোথা থেকে। নিশ্চয় সেগুলি ঘুষের টাকা বলে প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে ভাইরাল ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ক্ষুব্ধ জনতা এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে সরাসরি চড় মারছেন এবং আরো দুই পুলিশ কর্মীর উপর চড়াও হচ্ছেন। করা হচ্ছে ধাক্কাধাক্কি। তাদের কাছে রীতিমতো কৈফিয়ত চাইছেন বিক্ষোভকারীরা। যে তাদের টাকা তুলতে বলেছে। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে জেলায়। সরব হয়েছে বিজেপি।
এবিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, সিভিক ভলেন্টিয়ার দিয়ে পুলিশ অফিসাররা ট্রাফিক সামলানোর নাম করে টাকা তুলছেন। এই ঘটনা নতুন নয়। জেলার প্রতিটা থানা এলাকাতেই একাধিক জায়গায় এইভাবে টাকা তোলার ঘটনা ঘটছে। সাধারণ মানুষকে হয়রানির শিকার করছে এক শ্রেণীর শ্রেণী ভলেন্টিয়ার ও পুলিশ কর্মী। মানুষ বাধ্য হয়েই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। স্বরূপ বাবুর আরো প্রশ্ন যেখানে অনলাইনে টাকা পেমেন্ট করার কথা সেখানে ভিডিওতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে ইলেকট্রনিক মেশিনের সঙ্গে গোছা গোছা টাকা। তাহলে এই টাকা এল কোথা থেকে অর্থাৎ পুলিশ যে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের দিয়ে ঘুষ খাচ্ছিল একথা স্পষ্ট।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকি অবশ্য ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এবং তিনি বলেছেন এই ভাইরাল ভিডিও তিনি দেখেছেন। কারো কারো উস্কানিতে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের উচিত কড়া হাতে এর মোকাবিলা করা। যদি কোন অভিযোগ পুলিশকর্মী বা সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে থাকে সেটাও যেমন প্রশাসন দেখবে তেমনি কার উস্কানিতে এরকম পুলিশকে হেনস্থা করল সাধারণ মানুষ সেটাও খতিয়ে দেখা উচিত।
অন্যদিকে এবিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোথাকার ভিডিও সেই সবও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে৷