SSC Recruitment Scam: ‘আমি আর পারছি না’, অর্পিতা মুখার্জি নন, এ আৰ্তি বিধ্বস্ত এক চাকরিপ্রার্থীর
SSC Recruitment: 'মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছতে গেলে আধিকারিকরা বাধা দেয়। উনি তো মমতাময়ী মা, এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিন। আমরা আর পারছি না', চোখের কোণ চিকচিক করে উঠল পিয়ালির।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি ঘিরে রাজ্যে বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। প্রত্যহ নিত্যনতুন তথ্য সামনে হাজির করছেন ইডি গোয়েন্দারা। এরই মাঝে TV9 বাংলার স্টুডিয়োয় হাজির চাকরিপ্রার্থীরা।
লাগাতার ৫০৩ দিনের আন্দোলন। ঝড়, জল, বৃষ্টি হোক বা পুলিশের মার, দাবি আদায়ের সংগ্রাম থেকে পিছু হটেননি তাঁরা। সেই রক্ত জল করা আন্দোলনের কথা বলতে গিয়ে ঝরঝরিয়ে কেঁদে ফেললেন পিয়ালি গুছাইত। তালিকায় নাম থাকলেও চাকরি হয়নি পিয়ালির। নিজের হকটুকু বুঝে নিতে গিয়ে কোন দুর্বিষহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি?
‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছতে গেলে আধিকারিকরা বাধা দেয়। উনি তো মমতাময়ী মা, এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিন। আমরা আর পারছি না’, চোখের কোণ চিকচিক করে উঠল পিয়ালির। ধরা গলায় বলে উঠলেন, ‘আমাদের দোষটা কোথায়? টাকার বিনিময়ে আমাদের মেধা হারিয়ে গেছে। আমাদের কথা কে শুনবে?’
‘যখনই আন্দোলন করেছি, পুলিশ তুলেছে। পা টেনে চ্যাংদোলা করে ওরা তুলে নিয়ে গেছে। কালীঘাটে এমনভাবে টেনেছিল, আমার জামা ছিঁড়ে যায়, ওড়না গায়ে বাড়ি ফিরি’, বলতে বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পিয়ালি। ‘আমরা মালের বস্তা নই, চোর-ডাকাতও নই’, রাগ-অভিমান স্পষ্ট বিক্ষোভকারীর গলায়।
‘আমি আর পারছি না’, পিয়ালির মতো চাকরিপ্রার্থী হোক বা অর্পিতা মুখার্জির মতো অভিনেত্রী, সকলের গলাতেই ভেঙে পড়ার সুর কোথাও গিয়ে এক। যদিও পার্থক্য একটা জায়গাতেই, শ্রীজাতর ভাষায় ‘তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়।’ একদিকে একজনের বাড়িতে নিয়োগ দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা, অন্যদিকে কপর্দকশূন্য হয়ে যোগ্যরা ধর্না মঞ্চে। কবে মিলবে সুরাহা? সদুত্তর অধরা।