দু’ঘণ্টারও কম সময়ে ৩৬টা বই পড়েছে ৫ বছরের কিয়ারা! খুদে ‘বই পোকা’- র কাণ্ডে অবাক নেট দুনিয়া

৫ বছরের মেয়ের নাম কিয়ারা কউর। বই পড়ার দক্ষতায় বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে এই একরত্তি। ১০৫ মিনিট ধরে টানা ৩৬টা বই পড়া শেষ করেছে কিয়ারা। লন্ডনের ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডের পাশাপাশি এশিয়া বুক অফ রেকর্ডেও নাম উঠেছে এই খুদের।

দু'ঘণ্টারও কম সময়ে ৩৬টা বই পড়েছে ৫ বছরের কিয়ারা! খুদে 'বই পোকা'- র কাণ্ডে অবাক নেট দুনিয়া
জানা গিয়েছে, ছোট্ট মেয়ের ঠাকুরদাই তার নাতনির মধ্যে এমন সুন্দর স্বভাব তৈরি করে দিয়েছেন।
Follow Us:
| Updated on: Apr 12, 2021 | 12:06 PM

ছোট বয়স থেকেই মা-বাবারা বাচ্চাদের বই পড়ানোর অভ্যাস করে থাকেন। অনেক বাচ্চা সহোজাত স্বভাবেই একটু ধীর-স্থির, শান্ত হয়। ফলে বই নিয়ে নিজে থেকেই বসে পড়ে। আর একদল একেবারে উল্টো। পড়ার বই হোক কিংবা গল্পের বই, কোনও কিছুতেই তাদের মন বসে না। তবে একবার যার পড়ার অভ্যাস তৈরি হয়, আজীবন সেই অভিজ্ঞতা উপভোগ করে তারা।

এবার এমনই এক ‘বই পোকা’- র সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ৫ বছরের মেয়ের নাম কিয়ারা কউর। বই পড়ার দক্ষতায় বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে এই একরত্তি। ১০৫ মিনিট ধরে টানা ৩৬টা বই পড়া শেষ করেছে কিয়ারা। লন্ডনের ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডের পাশাপাশি এশিয়া বুক অফ রেকর্ডেও নাম উঠেছে এই খুদের। দু’ঘণ্টারও কম সময়ে ৩৬টা বই পড়ে ফেলেছে কিয়ারা! শুনেই অবাক হয়েছেন সকলে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এই রেকর্ড করেছে ৫ বছরের মেয়েড়ি। ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডস তাকে ‘child prodigy’ খেতাবও দিয়েছে ইতিমধ্যেই।

এত অল্প বয়সে কিয়ারার বই পড়ার এমন নেশা দেখে মুগ্ধ সকলেই। ভারতীয়-মার্কিন এই মেয়ে থাকে আবু ধাবিতে। সুযোগ পেলেই বসে পড়ে বই নিয়ে। স্থান-কাল-পাত্র বিবেচনা করার দরকার নেই। গাড়িতে করে সফরের সময় হোক বা নিজের বাড়িতে, হাতের সামনে বই পেলেও হলো। পড়তে বসে পড়ে ছোট্ট কিয়ারা। তার নার্সারি স্কুলের শিক্ষকই প্রথম পড়ার প্রতি তার নেশা নজর করেন। সেই সঙ্গে এও বুঝতে পারেন যে অসম্ভব দ্রুত পড়তে পারে কিয়ারা।

আরও পড়ুন- একাকীত্বের জীবনে সঙ্গীর খোঁজ, ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে ৬৯ বছরের বৃদ্ধের থেকে বিয়ের প্রস্তাব পেলেন ৭৩- এর বৃদ্ধা

আক্ষরিক অর্থেই বইয়ের পোকা কিয়ারা বলেছে, বই পড়তে দারুণ ভাল লাগে তার। সবচেয়ে মজার হল যেখানে-সেখানে বই সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া যায়। ফোনে ভিডিয়ো দেখা বা পড়ার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট প্রয়োজন। সেটা না থাকলে পড়া মুশকিল। কিন্তু বই তো সর্বক্ষণের সঙ্গী হতে পারে। কিয়ারা আরও জানিয়েছে, যেসব বইয়ে প্রচুর রঙিন ছবি থাকে এবং বড় হরফে লেখা থাকে সেইসব বই পড়তে ভাল লাগে তার। সিন্ডারেলা, এলিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড, লিটল রেড রাইডিং হুড— এইসব বই তার পছন্দের।

কিন্তু বই পড়ার নেশা কার থেকে পেয়েছে কিয়ারা? জানা গিয়েছে, ছোট্ট মেয়ের ঠাকুরদাই তার নাতনির মধ্যে এমন সুন্দর স্বভাব তৈরি করে দিয়েছেন। হোয়াটসঅ্যাপ কলে কিয়ারাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গল্প পড়ে শোনাতেন তার ঠাকুরদা। এর থেকেই পড়ার প্রতি এমন আকর্ষণ জন্মেছে কিয়ারার। ছোট্ট মেয়ে জানিয়েছে, বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায় সে।