একাকীত্বের জীবনে সঙ্গীর খোঁজ, ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে ৬৯ বছরের বৃদ্ধের থেকে বিয়ের প্রস্তাব পেলেন ৭৩- এর বৃদ্ধা

পেশায় শিক্ষিকা ছিলেন এই মহিলা। অবসর নিয়েছেন অনেকদিন হল। বাকি জীবন কাটানোর জন্য সঙ্গীর খোঁজে 'ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে' বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই ৬৯ বছরের এক ব্যক্তির থেকে বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন তিনি।

একাকীত্বের জীবনে সঙ্গীর খোঁজ, ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে ৬৯ বছরের বৃদ্ধের থেকে বিয়ের প্রস্তাব পেলেন ৭৩- এর বৃদ্ধা
একাকীত্বের জীবন সততই দুঃখের। সেই জন্যই ৭৩ বছরে পৌঁছেও সঙ্গীর খোঁজ করছিলেন মাইসুরু জেলার এই মহিলা।
Follow Us:
| Updated on: Apr 11, 2021 | 1:11 PM

প্রেমে পড়ার কোনও বয়স হয় না। আর সংখ্যায় বয়স যতই বাড়ুক না কেন, মনের বয়স কিন্তু সহজে বাড়ে না। বরং জীবনের শেষ অধ্যায়ে পৌঁছেও একজন সঙ্গীর প্রয়োজন হয়। কারণ একাকীত্বের জীবন সততই দুঃখের। সেই জন্যই ৭৩ বছরে পৌঁছেও সঙ্গীর খোঁজ করছিলেন মাইসুরু জেলার এক মহিলা। ওই মহিলা ঠিকই করে নিয়েছিলেন বাকি জীবনটা মোটেই একা একা কাটাবেন না। বরং একজন ভাল বন্ধুর সঙ্গে উপভোগ করবেন বাকি জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত।

পেশায় শিক্ষিকা ছিলেন এই মহিলা। অবসর নিয়েছেন অনেকদিন হল। বাকি জীবন কাটানোর জন্য সঙ্গীর খোঁজে ‘ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে’ বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই ৬৯ বছরের এক ব্যক্তির থেকে বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। অবসরের পর তিনিও একাকীত্বে ভুগছিলেন। আর তাই একজন জীবনসঙ্গিনীর খোঁজে ছিলেন। ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে মাইসুরুর মহিলাকে দেখে বুঝতে পারেন তাঁর সঙ্গে বাকি জীবনটা দিব্যি হেসেখেলে কাটানো যাবে। তাই আর কোনও কথা না ভেবে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে দিয়েছেন ওই ব্যক্তি।

মাইসুরুর মহিলা অবশ্য বিজ্ঞাপনে লিখেছিলেন, বয়সে বড় কাউকে সঙ্গী হিসেবে পেতে চান তিনি। সঙ্গে ছিল আরও দুট শর্ত। এক পাত্রকে ব্রাহ্মণ হতে হবে এবং তাঁর কমিউনিটির হতে হবে। আর মহিলা চেয়েছিলেন তাঁর সঙ্গী যেন সুস্থ হন। মহিলা সেই সঙ্গে এও জানিয়েছিলেন যে, প্রথম বিয়ের সফর মোটেই ভাল ছিল না তাঁর জীবনে। অনেক যন্ত্রণা নিয়ে বাধ্য হয়েই বিবাহবিচ্ছেদের পথে হেঁটেছিলেন তিনি। এতবছর তাই খানিকটা ভয়েই দ্বিতীয়বার বিয়ের কথা ভাবেননি। তবে এবার বুঝতে পেরেছেন যে জীবনে সকলেরই বোধহয় একজন সঙ্গীর প্রয়োজন হয়।

আরও পড়ুন- অন্ধ্রের ছেলের পাঞ্জাবি প্রেমিকা, বাবাকে জানালেন যুবক, কী হল তারপর…

ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে নিজের বিজ্ঞাপনে বারবারই ওই মহিলা বলেছিলেন যে, একাকীত্ব তাঁকে গ্রাস করছে। বাড়িতে একা থাকতে আর ভাল লাগে না তাঁর। নিজের মা-বাবাকেও হারিয়েছেন। নিজের বলতে এখন আর কেউ নেই। এমনকি বাড়ি থেকে বেরিয়ে কাছেই বাসস্ট্যান্ডেও একা যেতে ভয় করে। বয়সের ভারে শরীরে জোর কমেছে। মনে সাহসও কমেছে। তাই অবলম্বন হিসেবে একজন সঙ্গীর প্রয়োজন।

মহিলার পরিস্থিতি বুঝে তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েছেন ৬৯ বছরের ওই ইঞ্জিনিয়ার। আগামী দিনে তাঁরা গাঁটছড়া বাঁধবেন কিনা জানা নেই, তবে তাঁরা ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, এটাই আমাদের প্রার্থনা।