Viral Video: কুকুরের গায়ে আবির ছুঁড়ছে যুবকের দল! ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে ফুঁসছে নেট দুনিয়া
Viral Video: এই ভিডিয়ো দেখে রাগে, ক্ষোভে ফুঁসছেন সকলেই। ওই যুবকদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতেও সরব হয়েছেন সবাই।
কালীপুজো হোক বা হোলি (Holi) খেলা, অবলা জীবদের উত্যক্ত করতে সবসময়েই বারণ করেন পশুপ্রেমীরা। কিন্তু হাজার বারণ সত্ত্বেও একদল লোককে কিছুতেই আটকানো যায় না। তথাকথিত ভদ্র সমাজের জীব এই শ্রেণির মানুষরা। ইচ্ছে করে হোলির দিন পথচলতি কুকুর, বিড়ালদের আবির (Gulal) মাখিয়ে এক অনাবিল আনন্দ পান তাঁরা। আর ভয়ে, আতঙ্কে সিঁটিয়ে থাকে, অসুস্থ হয়ে পড়ে ওইসব অবলা। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে এমন একটি ভিডিয়ো ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে যা দেখে গর্জে উঠেছেন পশুপ্রেমীরা। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে একটি জায়গায় চেন দিয়ে বাঁধা রয়েছে ছোট্ট একটা কুকুর। আর তার উপর ক্রমাগত আবির ছুঁড়ে ছুঁড়ে মারছেন এক যুবক। হাজির রয়েছেন তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গোরাও। এমন ন্যাক্কারজনক কাজ করার পর বীরবিক্রমে বুক ফুলিয়ে তাঁরা আবার ভিডিয়োও করেছেন।
দেখুন সেই ভাইরাল ভিডিয়ো
View this post on Instagram
এই ভিডিয়ো দেখে রাগে, ক্ষোভে ফুঁসছেন সকলেই। ওই যুবকদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতেও সরব হয়েছেন সবাই। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, রঙ মাখা যুবকদের দেখেই ভয়ে চিৎকার করতে শুরু করেছে ছোট্ট কুকুরটি। আর তার উপর যখন ক্রমাগত মুঠো মুঠো আবির ছোঁড়া হচ্ছিল তখনও সাহায্যের জন্য ছোট্ট কুকুরের গলায় শোনা গিয়েছিল আর্তি। কিন্তু ওই যুবকদের এ হেন কুরুচিকর ভাবে হোলি খেলা বন্ধ হয়নি। নেটিজ়েনদের মনে এখন একটাই প্রশ্ন ঘুরছে, ‘এ হেন অসভ্যতামোর কি কোনও শাস্তি নেই?’ জানা গিয়েছে এই ঘটনা দেরাদুনের। পশুপ্রেমীদের অনেকেই বলছেন ওই কুকুরটির অসহায়তা দেখে চোখ ফেটে জল আসছে। একুশ শতকের তথাকথির সভ্য সমাজ যে এত নিম্নরুচির তা জানা ছিল না। কেউ বা বলছেন, আর কত অমানবিক হবে মানুষ? আর কত নীচে নামবে তারা?
ইনস্টাগ্রামে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিয়ো। ৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ ইতিমধ্যেই এই বর্বরতার নির্দশন দেখেছেন। আমআদমি থেকে তারকা মহল, সকলেই সরব হয়েছেন এই ভিডিয়ো দেখে। এমনিতেই আজকাল রঙ এবং আবিরের মধ্যে নানা ধরনের রাসায়নিক থাকে। তাই হোলি খেলার পর স্নান করে পরিষ্কার হলেও অনেকের অ্যালার্জি দেখা যায়। আর এই অবলা জীবরা তো নিজেদের পরিষ্কারও করতে পারে না। ফলে রঙ, আবিরে থাকা রাসায়নিক পদার্থের দরুণ অসুস্থ হয়ে পড়ে অনেক কুকুর বিড়ালই। বারবার সেই জন্যই এদের গায়ের রঙ দিতে বারণ করা হয়। কিন্তু শত বারণের পরেও দেরাদুনের এই যুবকদের মতো অনেকেই রয়েছেন আমাদের সমাজে যাঁরা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন।