অসম্মানিত হওয়ার থেকে খারাপ অনুভূতি সেই মানুষটার কাছে আর কিছু হতে পারে না। পৃথিবীর প্রতিটা মানুষই যে যে পেশায় রয়েছেন, যে ভাবেই রয়েছেন, অপর প্রান্তের মানুষের কাছ থেকে সামান্য সম্মানটুকু প্রত্যাশা করেন। একজন কৃষকের (Farmer) সঙ্গেও খুব খারাপ ভাবেই ব্যবহার করা হল। আরও একবার বেআব্রু হল দেশ। কিন্তু কৃষক সপাটে জবাব দিলেন। গত শুক্রবারের ঘটনা। কেম্পেগৌড়া আরএল নামের এক কৃষক, তাঁর বন্ধুদের নিয়ে নিজের জন্য একটি এসইউভি (SUV) গাড়ি বুক করতে গিয়েছিলেন। শোরুমের (Showroom) কর্মকর্তারা সেই সময় তাঁকে রীতিমতো হ্যাট করে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া সর্বপ্রথম এই খবরটি প্রকাশ করে। কর্নাটকের চিক্কাসান্দ্রা হোবলি অঞ্চলের বাসিন্দা কেম্পেগৌড়া শোরুমের কর্মকর্তাদের ব্যবহারে খুবই মর্মাহত হন। তার ঠিক ১০ মিনিট পরেই কেম্পেগৌড়া আবার সেই গাড়ির শোরুমে ফিরে আসেন। ১০ লাখ টাকা দেন এবং স্বপ্নের গাড়িটি নিয়ে চলে যান। ঠিক যেন একটা রিভেঞ্জ সিনেমা।
ঘটনার সূত্রপাত ওই কৃষক শোরুমে পদার্পণ করার সময় থেকেই। পছন্দের এসএইউভি মডেলটি যখন শোরুমের কর্মকর্তাদের কেম্পেগৌড়া দেখান, তখনই তাঁরা বলতে থাকেন, “পকেটে ১০ টাকা নেই। ১০ লাখ টাকার গাড়ি কিনতে এসেছে।”
তবে শোরুম ছাড়ার আগে কেম্পেগৌড়া এবং তাঁর বন্ধুরা সেখানকার কর্মচারীদর বলে যায়, “যদি টাকা নিয়ে আসি, তাহলে আজই এই গাড়ির ডেলিভারি দিতে হবে।” শোরুমের কর্মচারীরা যথারীতি তাঁকে চলে যেতে বলে। সংবাদমাধ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার কাছে কেম্পেগৌড়া দাবি করেছেন, “তিনি মনে করেছিলেন যে, আমি হয়তো অত টাকা একসঙ্গে আনতে পারব না। কারণ ততক্ষণে সব ব্যাঙ্কও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।”
১০ লাখ টাকা ক্যাশ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন কেম্পেগৌড়া। আর তাতে শোরুমের সকলেই একপ্রকার থ হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা সেই দিন তাঁকে গাড়িটি ডেলিভারি করতে পারেনি। শনি ও রবিবার সরকারি ছুটির দিন বলে শোরুমের কর্মকর্তারা কেবল নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছিল।
তাতে কেম্পেগৌড়া ও তাঁর বন্ধুরা আরও রেগে যায়। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে পুলিশকে পর্যন্ত ডাকে তাঁরা। শোরুম ছেড়ে যেতেও অস্বীকার করে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপেই বাড়ি যেতে রাজি হয় ওই কৃষক ও তাঁর বন্ধুরা।
কেম্পেগৌড়া দাবি করেছেন, “আমি সেলস এগজ়িকিউটিভ এবং শোরুম কর্তৃপক্ষকে আমাকে এবং আমার বন্ধুদের অপমান করার জন্য লিখিত ভাবে আমাদের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছি। এখন আমি গাড়িটি কেনার প্রতি আগ্রহই হারিয়ে ফেলেছি।”
আরও পড়ুন: বন্ধুদের স্মার্টফোনে দেখে অবাক বাঁদরের দল! মজাদার ভিডিয়োটি একবার দেখুন
আরও পড়ুন: লাইভ সম্প্রচারের সময় সজোরে গাড়ির ধাক্কা, রিপোর্টিং চালিয়ে গেলেন কর্তব্যে অবিচল সাংবাদিক