মাছও আবার হেঁটে চলে বেড়াতে পারে। ২২ বছর আগে এমন বিরল প্রজাতির এক মাছের সন্ধান মিলেছিল। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় আবারও এমন মাছ দেখা গিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সায়েন্স এজেন্সি, কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গ্যানাইজেশন (CSIRO)-এর তরফ থেকে তা নিশ্চিতও করা হয়েছে।
এই এজেন্সির তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, ২২ বছর আগে ১৯৯৯ সালে শেষ বারের মতো এমন মাছ দেখা গিয়েছিল। আর এবারও সেই অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়ান উপকূলবর্তী এলাকায় এমনই এক ধরনের বিরল প্রজাতির মাছের দেখা মিলল।
CSIRO-র একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, একটা সময় ছিল যখন হেঁটে চলা এই ধরনের মাছ দক্ষিণ থেকে উত্তর-পূর্ব তাসমানিয়ার উপকূলীয় জলে ব্যাপক পরিমাণে আসত। কিন্তু পরবর্তীতে মোহনার আশপাশে মানুষের বসবাস বাড়তে থাকা এবং ব্যাপক ভাবে দূষণের ফলে এই ধরনের মাছ ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে থাকে।
প্রসঙ্গত ২০১২ সালে এই বিরল প্রজাতিটিকে পরিবেশ সুরক্ষা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ আইনের অধীনে গুরুতর ভাবে বিপন্ন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। দীর্ঘ ২০ বছর পর্যবেক্ষণ এবং সংরক্ষণের পরে এই বিশেষ মাছগুলি তাসমানিয়ান উপকূলে ফের আসতে শুরু করেছে।
A very rare walking fish has been spotted for the first time in 22 years! Was that on your 2021 bingo card? ?
We’ve confirmed that the endangered pink handfish has been seen in a marine park off Tasmania’s south-west coast. https://t.co/nYFRsxk7Lf
— CSIRO (@CSIRO) December 23, 2021
বৃহত্তর পরিসরে এই প্রজাতির মাছ সংরক্ষণের ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা আশাবাদী। গোলাপি হ্যান্ডফিশের বিশেষত্ব হল, তাদের শরীরের প্রতিটি পাশে দুটি প্রসারিত পাখনা রয়েছে যা দেখতে ছোট হাতের মতো!
তাসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্টার্কটিক ও মেরিন স্টাডিজ় ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর নেভিলে বারেট বলছেন, “আমাদের বিশ্বাস সেখানে মাঝারি আকারের জনসংখ্যা রয়েছে এবং বর্তমানে আমরা সেখানে যে শীতল জল খুঁজে পেয়েছি তার কারণে এটি বেশ কার্যকরী এবং কিছু সময়ের জন্য টিকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।”
আরও পড়ুন: Viral Video: ঠিক যেন ‘আনন্দের কারখানা’! ভাইরাল এই ভিডিয়ো দেখে বড়দিন আরও ‘বড়’ হল নেটাগরিকদের
আরও পড়ুন: Viral Video: সুকৌশলে দুই সিংহীকে গ্রামছাড়া করল একটা ষাঁড়! গুজরাতের এই ভিডিয়ো এখনও নেটপাড়ায় ভাইরাল
আরও পড়ুন: Viral: কেএফসির হট উইংসে মুরগির মাথা! স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ঠোঁট-চোখ, ছবি ভাইরাল হতেই হইচই নেটপাড়ায়